গোপালগঞ্জে তুহিন মোল্লা হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী আমেনা বেগম ওরফে পাখিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলা সদরের খাটিয়াগড় গ্রামের আত্মীয় মিন্টু মিয়ার বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গত ৩ জুলাই গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়নের চরবয়রা গ্রামে মসজিদ কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। ঘটনার দিন জুমার নামাজের সময় মিজানুর মোল্যা ও তার ভাই ছোটন মোল্লা নতুন কমিটি গঠনকারীদের গালিগালাজ করেন।
তখন আকরাম মোল্লা তাদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকেও গালিগালাজ করেন তারা। নামাজ শেষে আকরাম মোল্লার ছেলে তুহিন মোল্লা তার পিতাকে গালিগালাজ করার কারণ শুনতে গেলে মিজান মোল্লা ও তার ভাই ছোটন মোল্লার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা তুহিনকে মাছ কোপানোর ঝুপি (ফুলকুচি) দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় গত ৪ জুলাই নিহতের বড় ভাই আরেফিন মোল্লা বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় ১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, তুহিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান আসামি মিজান ও ১৫ নম্বর আসামি মিজান মোল্লার স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আজ সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আদালতে পাঠানো হয়েছে।