অতিবর্ষণ ও উজানের ঢলে বেড়েই চলেছে গাইবান্ধার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়াসহ সব নদ-নদীর পানি। এরমধ্যে করতোয়া নদীর পানি কাটাখালি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮১ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে পানিতে প্লাবিত হয়েছে জেলার সুন্দরগঞ্জ, সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা। তলিয়ে গেছে জেলার প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ধান, আখ ও শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসল। পাশাপাশি ভেসে গেছে অন্তত ২৫০টি ছোট-বড় পুকুর ও জলাশয়ে চাষ করা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
এদিকে, পানির প্রবল চাপে মঙ্গলবার দুই দফায় পলাশবাড়ির টোংরাদহে করতোয়া নদীর ২টি পয়েন্টে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার ভেঙে যায়। ফলে পানিতে প্লাবিত হয় কিশোরগাড়ি ইউনিয়নের অন্তত ৭টি গ্রামের বাড়িঘর ও বির্স্তীণ ফসলি জমি। এছাড়া গোবিন্দগঞ্জের বালুয়া এবং বোচাদহ এলাকার করতোয়া নদীর ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের অংশ দিয়ে বন্যার পানি ঢুকে গত দুদিনে তলিয়ে গেছে অন্তত ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘর।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি পয়েন্টে করতোয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৪ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা ও ঘাঘটসহ নদ-নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এতে জেলার চরাঞ্চল ও নিম্নঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় চতুর্থ বারের মতো বন্যা দেখা দিয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতির আশস্কা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ দফায় জেলায় আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পাশাপাশি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বন্যা কবলিত মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য ৫ মে. টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামকৃষ্ণ বর্মন।