রাজশাহীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হাতে ১২টি সোনার বারের একটি চালান ধরা পড়েছে। প্রায় ৮২ লাখ টাকা মূল্যের এই সোনার বারগুলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ যাচ্ছিল। বাসের এক যাত্রীর পায়ের চামড়ার স্যান্ডেলের ভেতর ছিল সোনাগুলো। এগুলোর ওজন এক কেজি ৩৯৯ গ্রামের একটু বেশি।
বিজিবির রাজশাহীর ১ ব্যাটালিয়নের একটি দল বুধবার (১৪ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর এলাকায় ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে অভিযান চালিয়ে সোনাগুলো উদ্ধার করে। এ সময় একজনকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুইজনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন-ঢাকার ধামরাই থানার চৌহাট এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে মো. আলাল (৪৫), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নয়নচুকা কামারপাড়া গ্রামের বাদল কর্মকারের ছেলে শুভ্র কর্মকার (২৭) এবং বারঘরিয়া হালদারপাড়া গ্রামের দিনেশ হালদারের ছেলে মিলন হালদার (২৮)।
বিজিবির রাজশাহীর ১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ জানান, ঢাকার আলাল সোনার বারের চালানটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাকে আটকের পর চোরাচালান সিন্ডিকেটের অন্য দুই সদস্যের খোঁজ পাওয়া যায়। এরপর অভিযান চালিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে তাদের আটক করা হয়।
তিনি জানান, আটকৃতরা উদ্ধার করা সোনার বারের বৈধ কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তাই সরকারি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে সোনা চোরাচালানের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির রাজশাহী শাখা বিজিবিকে জানিয়েছে, প্রতিটি সোনার বার ২৪ ক্যারেটের। এগুলোর মূল্য ৮১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। সোনাগুলো জেলা প্রশাসকের ট্রেজারি শাখায় জমা দেওয়া হবে। আটককৃতদের বেলপুকুর থানায় হস্তান্তর করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।