যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে (২০ অক্টোবর) মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এরআগে নির্বাচনে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনি এলাকায় মোটরসাইকেলসহ গণপরিবহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এছাড়া ভোট গ্রহণের দিন উপজেলায় সাধারণ ছুটিও ঘোষণা করা হয়।
যশোর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে কেশবপুর সংসদীয় উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন শাহীন চাকলাদার। সেকারণে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ের পরে এ উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যশোর পৌরসভাসহ পুরো উপজেলায় ৫ লাখ ৬০ হাজার ৫২৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ভোট গ্রহণ করা হবে ১৭৫টি কেন্দ্রে।
এই আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরজাহান ইসলাম নীরা (নৌকা) ও বিএনপির প্রার্থী নুর উন নবী (ধানের শীষ)।
জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার হুমায়ুন কবির বলেন, ভোটকেন্দ্রে সার্বিক নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য ১৭৫ জন প্রিজাইটিং অফিসার ও ১ হাজার ১৩ জন পোলিং অফিসার কাজ করছেন।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় ২ জন জুডিসিয়াল ও ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছে। ১৫শ’ পুলিশ সদস্য, ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। ১৮টি মোবাইল টিম ও ৬টি স্ট্রাইকিং ফোর্সের ৬টি টিম নির্বাচনের মাঠে সারাদিন সার্বক্ষণিক কাজ করবে বলে জানান তিনি।