খাগড়াছড়ি থেকে ফেনীতে বান্ধবীর বাড়ি যাওয়ার পথে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক তরুণী (১৮) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ওই তরুণীর মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তাকে নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে, দুই দফা ধর্ষণের অভিযোগে রিকশাচালক মো. রিয়াজ (২৬) ও সেলুন দোকানের কর্মচারী ছোটন চন্দ্র শীলকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রিকশাচালক রিয়াজের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগরে। তিনি ফেনী দেয়ানগঞ্জে বাবুল মিয়ার কলোনিতে থাকেন। আর সেলুন কর্মচারী ছোটন ফেনী পৌর এলাকার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের হাজারী রোডের একটি সেলুনে কাজ করে। সে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার ধর্মপুর গ্রামের সমীর চন্দ্র শীলের ছেলে।
ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ওমর হায়দার বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার ওই তরুণীর মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তাকে নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ওই তরুণী খাগড়াছড়ির বাসিন্দা। রবিবার রাতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে তিনি রাতে ফেনীতে এসে পৌঁছান। তার এক বান্ধবী ফেনী চাড়িপুরে বিসিক এলাকায় আবুল খায়ের ম্যাচ ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। তিনি বিসিকে যাওয়ার জন্য মহিপাল থেকে রিয়াজ নামে একজনের রিকশায় ওঠেন। তবে রিকশাচালক রিয়াজ তাকে বিসিক যাওয়ার কথা বলে ফেনী পৌর এলাকার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মোক্তার বাড়ি এলাকার একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এসময় তিনি কান্নাকাটি শুরু করলে গভীর রাতে রিয়াজ তাকে নিয়ে আবার বের হয়ে বিসিকের দিকে রওনা হয়। তবে ফেনী সদরের আমতলী রাস্তার মাথার কাছে পৌঁছালে সেলুন কর্মচারী ছোটন রিকশা থামিয়ে তাকে একটি ঘরে নিয়ে আরেক দফা ধর্ষণ করে।
সোমবার ওই তরুণী ফেনী মডেল থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ সোমবার রাত ৮টার দিকে মোক্তার বাড়ির কাছে দেয়ানগঞ্জের একটি মেস থেকে রিয়াজকে ও পরে আমতলী এলাকার একটি কলোনি থেকে ছোটনকে গ্রেফতার করে।