সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলার পরেও নদীতে ইলিশ শিকার করায় হাতেনাতে ধরা পড়া দুই জেলেকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পিরোজপুর ও খুলনায় এ দুটি ঘটনা ঘটে।
পিরোজপুর প্রতিনিধি জানান, পিরোজপুরের কাউখালীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরার অপরাধে সুশান্ত মালো (২৪) নামের এক যুবককে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাম্মাৎ খালেদা খাতুন রেখার ভ্রাম্যমাণ আদালত এ রায় প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সুশান্ত মালো উপজেলার ১নং সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের সোনাকুর গ্রামের রবীন্দ্রনাথ মালোর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকালে ওই যুবক ইলিশ মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সন্ধ্যা নদীতে মা ইলিশ শিকার করছিল। এ সময় ওই নদীতে টহলরত ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে আটক করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাম্মাৎ খালেদা খাতুন রেখা জানান, ওই যুবক পেশায় একজন জেলে। ওই দিন সকালে সে সন্ধ্যা নদীতে মা ইলিশ ধরছিল। এ অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে একমাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
খুলনা প্রতিনিধি জানান, দিঘলিয়া উপজেলার আতাই নদীতে অবৈধভাবে ইলিশ মাছ ধরার অপরাধে শুক্রবার রাতে এক জেলেকে আটক ও ১২ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুল আলম এ সাজার রায় দিয়েছেন।
দিঘলিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দণ্ড দেওয়া জেলেকে রাতে থানা হাজতে রাখা হয়। শনিবার তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুল আলম জানান, তার নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে উদ্ধার করা হয় অবৈধ কারেন্ট জাল। গ্রেফতার করা হয় তেরখাদা উপজেলার পারহাজী গ্রামের বাছির উদ্দিন শেখ নামের এক জেলেকে। তাৎক্ষনিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নাছির উদ্দিনকে ১২ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। উদ্ধারকৃত কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। জব্দকৃত ইলিশ পার্শ্ববর্তী এতিমখানায় প্রদান করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ চৌধুরী, স্থানীয় ইউপি সদস্য হায়দার আলী মোল্লা, ওমর আলীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।