বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শুভ দীপাবলি ও শ্রী শ্রী শ্যামা (কালী) পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে মঙ্গল প্রদীপের আলোয় আলোকিত করার জন্য দিনটিকে দীপাবলী, দিওয়ালী কিংবা দ্বিপান্বিতা হিসেবে পালন করছেন ভক্তরা।
কালভৈরব মন্দিরে উপস্থিত ভক্তরা জানান, অন্ধকার জগত থেকে আলোকময় জগতের প্রত্যাশার পাশাপাশি করোনা মহামারি থেকে মুক্তির জন্যও প্রার্থনা করেছেন তারা। এদিকে অন্ধকার ও অশুভ শক্তির হাত থেকে মুক্তির জন্য আজকের দিনে বিভিন্ন বাড়ি-ঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও মঙ্গল প্রদীপ জ্বালানো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শ্রীশ্রী কাল ভৈরব মন্দিরের পুরোহিত জীবন চক্রবর্তী জানান, ত্রেতাযুগে সীতাসহ অবতার শ্রীশ্রী রামচন্দ্র চৌদ্দ বছরের বনবাস থেকে অযোধ্যা রাজ্যে ফিরলে প্রজারা আনন্দ উল্লাসের পাশাপাশি প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্য দিয়ে প্রভু রামচন্দ্রসহ সীতাকে বরণ করে নেন। সেই থেকে দীপাবলি হিসেবে দিনটিকে পালন করে আসছেন ভক্তরা।
তিনি আরও জানান, আদ্যাশক্তি দেবী দুর্গার দশমহাবিদ্যার এক রূপ কালী। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে বার্ষিক শ্রীশ্রী কালীপূজা বা শ্রীশ্রী শ্যামা পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। দীপাবলিকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬ শতাধিক স্থায়ী অস্থায়ী মণ্ডপে কালীপূজার আয়োজন করা হয়েছে।