দুই ব্যবসায়ীকে আটক করার প্রতিবাদে রবিবার (২২ নভেম্বর) ভোর থেকে যশোরে ওষুধের দোকান বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা জানায়, পুলিশ হয়রানি করতে এই অভিযান চালিয়ে দুই ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। তবে পুলিশ বলছে, তাদের কাছ থেকে নকল ওষুধ পাওয়া গেছে বলে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ২১ নভেম্বর দুপুরে অভিযান চালিয়ে শহরের জেলরোড এলাকা থেকে কাশেমপুর সার্জিক্যাল অ্যান্ড মেডিসিন হাউজ থেকে ১৪৩ পিস নকল মনটেয়ার-১০ ট্যাবলেটসহ দোকানের মালিক ইব্রাহিম সরদার (৩৭) আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে, মাইকপট্টি এলাকার জমজম ড্রাগ হাউজ থেকে ১০টি মনটেয়ার-১০ ট্যাবলেটসহ ফার্মেসির মালিক জহিরুদ্দিন সুইটকে (৪২) আটক করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।
বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি যশোরের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ চাকলাদার ইদুল বলেন, ‘আমরা এখন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থান করছি। তাকে এ বিষয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। কোনও ফার্মেসিতে যদি নকল ও ভেজাল ওষুধ থাকে, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ওষুধ প্রশাসন অথবা ভ্রাম্যমাণ আদালত এই অভিযান পরিচালনা করতে পারেন। কিন্তু পুলিশ কীভাবে বুঝবে এটি নকল ওষুধ? কেননা আমরা কোম্পানির কাছ থেকে ওষুধ নিয়ে সেগুলো বিক্রি করি।’ তিনি অবিলম্বে আটক দুই ওষুধ ব্যবসায়ীর মুক্তি দাবি করেন।
জানতে চাইলে কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘নকল ওষুধ বিক্রি করলে পুলিশ তাদের আটক করবেই। এতে যদি তারা ধর্মঘট করে তাহলে কীই-বা বলার আছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওই দোকান দুটিতে ইনসেপ্টা কোম্পানির নকল মনটেয়ার ট্যাবলেট বিক্রি হচ্ছিল। অভিযানের সময় ইনসেপ্টা কোম্পানির প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।’
