সাতক্ষীরায় এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম পারভিন আক্তার (২৪)। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৫ নভেম্বর) ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা নিহতের স্বামী আব্দুল খালেককে সকালে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
স্থানীয় লাবসা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আজিজুল ইসলাম জানান, রাজনগর গ্রামের আব্দুর রহিম সরদারের মেয়ে পারভিন আক্তার(২৪)কে হত্যা করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ শুনে সকালে তাদের বাড়িতে গিয়ে তিনি ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান এবং পুলিশে খবর দেন। পারভিনের ৫ বছর বয়সী কন্যা সন্তান আছে। নিহত পারভিনের স্বামী আব্দুল খালেক স্ত্রী সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতো। কিন্তু, স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর স্বামী আব্দুল খালেককে সেখানে পাওয়া যায়নি। এতে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। এলাকার মানুষ তাকে খোঁজা শুরু করে এবং ভাটপাড়া এলাকা থেকে পলাতক অবস্থায় আব্দুল খালেককে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে।
পারভিনের ভাই তরিকুল ইসলাম বলেন, তার বোন পারভিনের সাথে ২০১৩ সালে ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামের মৃত মোজাম কারিকরের ছেলে আব্দুল খালেকের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সে পারভিনকে নানাভাবে নির্যাতন করতো। বিয়ের দেড়বছরের মাথায় তাদের একটি কন্যা সন্তান হয়। তারপরও থামেনি নির্যাতন।
তরিকুল আরও জানান, পারভিন সাত মাসের গর্ভবতী ছিল। সকালে তার ঝুলন্ত মরদেহ নামানো হলে হাতে কাটার দাগ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট দেখা যায়।
সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পুলিশের ধারণা বুধবার ভোর রাতের কোনও একসময়ে গৃহবধূকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা’র প্রস্তুতি চলছে। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তেরও প্রস্তুতি চলছে।