বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির মধ্যে দেশে করোনাভাইরাসের ৫০০টি জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন হয়েছে। ভৌগোলিক ও আবহাওয়াজনিত কারণে জিনের রূপান্তর হওয়ায় বাংলাদেশের সব জেলা থেকে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করেন দেশের বিজ্ঞানীরা। পরে সেগুলো বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ৫০০টি জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করা হয়। এসব জিনের সমন্বয়ে আবিষ্কৃত টিকা মানবদেহে ভালো ফলাফল দেবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিসিএসআইআর’র প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার ড. মো. আহসান হাবীব।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার শহীদ সুকান্ত আবদুল্লাহ অডিটোরিয়মে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত লাগসই প্রযুক্তির প্রয়োগ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনার ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্যে এসব তথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের জিন মানবদেহে বারবার রূপ পরিবর্তন করছে। এ অবস্থায় কার্যকরী টিকা আবিষ্কারে সময় লাগছে। তবে জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য বিজ্ঞানীদের কার্যকরি টিকা আবিষ্কারে সহায়তা করবে।
আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হাশেম মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বরিশাল জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, গৌরনদী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ। সেমিনারে বক্তারা স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন তার প্রয়োগ ও সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করে।
পরে অতিথিরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রদর্শনীর ৮টি স্টলে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত লাগসই প্রযুক্তির ব্যবহার করে তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র ও উপকরণ পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন:
করোনাভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্সিং উন্মোচন