X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

চাকরি হারাতে চান না ২১১ জন আউটসোর্সিং কর্মচারী

খুলনা প্রতিনিধি
০২ ডিসেম্বর ২০২০, ২৩:২২আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২০, ২৩:২২

চাকরি হারাতে চান না ২১১ জন আউটসোর্সিং কর্মচারী

দেড় বছর ধরে চাকরি করে এখন তা হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন খুলনার ২১১জন আউটসোর্সিং কর্মচারী। তাদের অভিযোগ, নতুন ঠিকাদারের আওতায় চাকরি করতে গেলে ঘুষ দিতে হবে, নাহলে চাকরি থাকবে না বলে জানানো হয়েছে। তবে ঠিকাদার জানান, ঘুষের কোনও সুযোগ নেই। চাকরি বিধি মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

খুলনা জেনারেল হাসপাতালসহ সিভিল সার্জনের আওতাধীন বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত ২১১ জন কর্মচারী বুধবার (২ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন। খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, আউটসোর্সিং কর্মচারী মো. হাসিবুল ইসলাম। বলা হয়, ২০১৯ সালের মে মাসে ২১১ জন কর্মচারী নিয়োগ পায়। মেসার্স তাকবীর এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তারা চাকরিতে যোগদান করেন। ১৩ মাস পরে ২০১০ সালের জুলাই মাসে এসে তারা বেতন পান। কিন্তু এরপর থেকে আবারও বেতন বন্ধ হয়। সম্প্রতি মেসার্স তাকবীর এন্টারপ্রাইজকে বাদ দিয়ে নতুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়। নতুন ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে তাদের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করা হয়।

এর আগে সকাল থেকে আউটসোর্সিং করমচারীরা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন। পরে তারা সিভিল সার্জনের অফিস ঘেরাও করেন।

নতুন করে নিয়োগ পাওয়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কন্ট্রাক্ট ক্লিনিং সার্ভিসেস লিমিটেডের মালিক ফারুক হোসেন হেমায়েত জানান, আউটসোর্সিং কর্মীরা ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। তাদের অভিযোগের বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই। আমি ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি। কিন্তু এখনও আমার কাজই শুরু করিনি। কোনও শ্রমিকের সঙ্গে আমার এখনও কোনও যোগাযোগ হয়নি।

তিনি আরও বলেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে আমার প্রাতিষ্ঠানিক কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে এবং সরকারের নিয়ম এবং নিয়োগ বিধি মেনেই আমাকে এই কাজগুলো করতে হবে। আগে নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের অনেকে গত ছয় মাস ধরে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত আছেন। অনেকে চাকরিতে নিয়মিত নেই। আবার দেড় বছর কাজ করার ফলে অনেকেই অভিজ্ঞতা সম্পন্নও আছেন। সব কিছু নিয়ম নীতির মধ্যে রেখেই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। কারো কাছ থেকে কোনও উৎকোচ নেওয়ার বিধান বা সুযোগ নেই।

 

/এএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
ইউক্রেনের মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে স্বাক্ষর বাইডেনের
ইউক্রেনের মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে স্বাক্ষর বাইডেনের
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা