X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ফাঁসি, অপহরণের দায়ে যাবজ্জীবন পেলো আসামি

বরিশাল প্রতিনিধি
০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১৪:৪৫আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১৫:৩২

আদালত

বরিশাল নগরীর কাশিপুরে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সীমা আক্তারকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও হত্যা করে লাশ গুমের মামলায় আসামি আবুল কালাম আজাদ ওরফে কালুকে একইসঙ্গে ফাঁসি, যাবজ্জীবন ও সাত বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে দেড় লাখ টাকা ভিকটিমের পরিবারকে দেওয়ার আদেশ দেন আদালত।

শিশুটিকে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার দায়ে ফাঁসি ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অপহরণের দায়ে যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং মরদেহ গুমের জন্য ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

কালু নগরীর গনপাড়ার আব্দুল ওহাব খানের ছেলে। নিহত সীমা গনপাড়া এলাকার আব্দুল জব্বারের মেয়ে ও পূর্ব গনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর ফয়জুল হক ফয়েজ জানান, ২০১৮ সালের ১১ মার্চ বিদ্যালয়ের শৌচাগার বন্ধ থাকায় স্কুল সংলগ্ন আসামি কালুর বাড়ির শৌচাগারে যায় সীমা। এ সময় সীমাকে অপহরণ করে কালু নিজ ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের ঘটনা ফাঁস হওয়ার ভয়ে সীমাকে হত্যা শেষে লাশ বস্তাবন্দি করে গোরস্তানের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। ১৩ মার্চ ওই গোরস্তান থেকে সীমার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহতের মা মাহামুদা বেগম বাদী হয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওইদিনই কালুকে আটক করে। শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যার পর লাশ গুমের কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় কালু।

একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রহমান মুকুল একমাত্র কালুকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন। ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে শিশু সীমাকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও হত্যা করে লাশ গুমের চেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ওই রায় দেন।

বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোখলেচুর রহমান বাচ্চু বলেন, এ রায়ের পর আসামি উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন। ওই আপিলে তার ফাঁসির আদেশ বলবৎ থাকলে ফাঁসি কার্যকর করা হবে। আর ফাঁসিসহ অন্যান্য আদেশ পরিবর্তন হলে সেভাবে সাজাভোগ করতে হবে।

/এফএস/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ওসির বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজের অভিযোগ
ওসির বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজের অভিযোগ
মেলায় জাদু খেলার নামে ‘অশ্লীল নৃত্য’, নারীসহ ৫ জন কারাগারে
মেলায় জাদু খেলার নামে ‘অশ্লীল নৃত্য’, নারীসহ ৫ জন কারাগারে
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা