X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

১১ বছরেও পূর্ণতা পায়নি স্বাধীনতা স্মৃতি সৌধ প্রকল্প

হেদায়েৎ হোসেন, খুলনা
০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১০:১১আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১৮:০১

‘গল্লামারী স্বাধীনতা স্মৃতি সৌধ’ প্রকল্প

১১ বছরেও পূর্ণতা পায়নি খুলনার বদ্ধভূমি ‘গল্লামারী স্বাধীনতা স্মৃতি সৌধ’ প্রকল্প। মূল স্তম্ভ নির্মিত হলেও বাকি কাজের কোনও অগ্রগতি নেই। অর্থ পেতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েও সাড়া পায়নি খুলনা জেলা পরিষদ।

খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, ২ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়ে আরও ১৬ লাখ ২৭ হাজার ৪৯৪ টাকা যোগ করে মূল স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। নকশা অনুযায়ী বাকি কাজ সম্পন্ন করতে আরও ৯ কোটি টাকা প্রয়োজন। এ অর্থ পেলে সৌধটির পূর্ণতা দেওয়া সম্ভব হবে। এখানে সীমানা প্রাচীর দিতে না পারায় মাদকসেবীদের আড্ডা হয়। প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।

‘গল্লামারী স্বাধীনতা স্মৃতি সৌধ’ প্রকল্প

স্থানীয় ফজলুল হক বলেন, সীমানা প্রাচীর না থাকায় স্মৃতিসৌধ চত্বরে অনাকাঙ্ক্ষিত লোকজনের পদচারণা, গবাদী পশু চারণ এবং মাদকসেবীদের আড্ডায় সৌধের পরিবেশ ও পরিচ্ছন্নতা নষ্ট হচ্ছে। এখানে থাকা উন্মুক্ত মঞ্চটি এখন আর ব্যবহার উপযোগী নেই। মেঝে ফেটে গেছে। মঞ্চ দেয়ালটিও খসে পড়ছে।     

জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, খুলনায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবহুল গল্লামারীতে স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধ নির্মাণ প্রকল্প ২০০৯ সালে গ্রহণ করা হয়। স্মৃতিসৌধটি নির্মাণে ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ১১ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় রয়েছে মূল স্তম্ভ নির্মাণ, স্বাধীনতাসৌধ অ্যাপ্রোচ সড়ক এবং পার্কিং ইয়ার্ড, সীমানা প্রাচীরসহ ফটক ও গার্ড/ওয়েটিং রুম ও রেস্টুরেন্ট এবং ম্যুরাল দিয়ে গেট নির্মাণ, বৃক্ষরোপন ও দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান তৈরি, চত্বরে পানির ফোয়ারা স্থাপন, বৈদ্যুতিকরণ ইত্যাদি। এর মধ্যে মূল স্তম্ভ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ১৬ লাখ ২৭ হাজার টাকা। প্রকল্পটি অনুমোদনের পর মূল স্তম্ভ নির্মাণে ২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। অর্থ বরাদ্দের পর স্তম্ভ নির্মাণে দুই দফা দরপত্র আহ্বান করে জেলা পরিষদ। ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তৎকালিন সরকারের উপদেষ্টা আনোয়ারুল ইকবাল। ২০০৯ সালের ২৩ জুন কাজটি পায় খুলনার আজাদ-ইলোরা জেভি প্রতিষ্ঠান। ২০০৯ সালের ১৫ নভেম্বর কার্যাদেশ পেয়ে মূল স্তম্ভ নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১০ সালের অক্টোবরে। ২০১১ সালের ৫ ডিসেম্বর কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক স্মৃতি সৌধটির উদ্বোধন করেন। 

‘গল্লামারী স্বাধীনতা স্মৃতি সৌধ’ প্রকল্প

এদিকে স্মৃতিসৌধের পূর্ণতা দিতে ২০১১ সালের মার্চে স্থানীয় সরকার বিভাগে বাকি ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ পেতে পত্র প্রেরণ করে জেলা পরিষদ। অর্থ বরাদ্দ চেয়ে ২০১৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অনুলিপি প্রেরণ করে জেলা পরিষদ। এরপর ধারাবাহিকভাবে চিঠি দেওয়া হয়।  কিন্তু এ বিষয়ে আর কোনও অগ্রগতি হয়নি।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী এ এস এম কবির হোসেন বলেন, এ স্মৃতি সৌধের সৌন্দর্য বর্ধনে তারা ২০১৯ সালে ৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকার কাজ করে। এছাড়া এ প্রকল্পে তাদের আর কোনও কাজ নেই।

‘গল্লামারী স্বাধীনতা স্মৃতি সৌধ’ প্রকল্প

প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক কাজী রিয়াজুল হক ও পুলিশ সুপার আওলাদ হোসেনের উদ্যোগে গল্লামারীর এ স্থানে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়। ১৯৯৫ সালের ২৬ মার্চ স্মৃতিসৌধের পরিকল্পনাকারী রিয়াজুল হক বিজয় মঞ্চের উদ্বোধন করেন।

 

 

/এসটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
এবার ‘হুব্বা’ নামে হলো গানচিত্র
এবার ‘হুব্বা’ নামে হলো গানচিত্র
আঙুরের গোড়া কালো হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন টিপস
আঙুরের গোড়া কালো হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন টিপস
টেকনাফে ১০ জন কৃষক অপহরণের ঘটনায় ২ জন আটক
টেকনাফে ১০ জন কৃষক অপহরণের ঘটনায় ২ জন আটক
এরদোয়ানের যুক্তরাষ্ট্র সফর, যা জানা গেলো
এরদোয়ানের যুক্তরাষ্ট্র সফর, যা জানা গেলো
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা