X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাবি’র সমাবর্তন ফের স্থগিত

রাবি প্রতিনিধি
১৩ মার্চ ২০১৮, ১৫:১৯আপডেট : ১৩ মার্চ ২০১৮, ১৫:২৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দশম সমাবর্তন ফের স্থগিত করা হয়েছে। আগামী ২৪ মার্চ এই সমাবর্তন হওয়ার কথা ছিল। তবে শিক্ষামন্ত্রীর অসুস্থ থাকা তথ্য জানিয়ে আপাতত সমাবর্তন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অনিবার্য কারণবশত ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম সমাবর্তন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। সমাবর্তনের পরবর্তী তারিখ যথাসময়ে জানানো হবে।’

এর আগে ২০১৭ সালের ২৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও প্রশাসনিক জটিলতায় তা স্থগিত হয়ে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এবারের সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রীকে সভাপতিত্ব করার দায়িত্ব দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকায় সমাবর্তন ২৪ মার্চ আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। পরবর্তী তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে।’

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ উপস্থিত থাকতে অপারগতা প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রীকে সভাপতিত্ব করার দায়িত্ব দেন। এরপর থেকেই শিক্ষার্থীরা সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্ব নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছেন। তারা দাবি করছেন, এবারের সমাবর্তনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশকে উপেক্ষা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭৩ এর ১০(১) ধারায় বলা আছে, রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন এবং তার অনুপস্থিতিতে উপাচার্য এরূপ সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষামন্ত্রী অতিথি হিসেবে আসতে পারেন। কিন্তু সভাপতিত্ব করতে পারেন না।

পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি গ্র্যাজুয়েদের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির উপস্থিতি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিতে গেলে উপাচার্য তা গ্রহণ করেননি। ফলে শিক্ষার্থীদের দাবি উপেক্ষা করেই ২৪ মার্চ সমাবর্তন আয়োজন করতে যাচ্ছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী অসুস্থ থাকায় ফের ঝুলে গেল সমাবর্তন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর থেকে ১০ম সমাবর্তনের নিবন্ধন শুরু হয়। নিবন্ধন চলে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। পরে নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে ১০ ডিসেম্বর করা হয়। ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়ে পিএইচডি, এমফিল, স্নাতকোত্তর এবং এমবিবিএস, বিডিএস ও ডিভিএম ডিগ্রি অর্জনকারীরা এ সমাবর্তনে নিবন্ধনের সুযোগ পান। নিবন্ধন শেষে সমাবর্তনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয় ২০১৭ সালের ২৪ জানুয়ারি। কিন্তু সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির শিডিউল ও সমাবর্তন বক্তা নিয়ে জটিলতায় পড়ে তৎকালীন প্রশাসন। ফলে ঝুলে যায় সমাবর্তন অনুষ্ঠান। এরপর ২০১৭ সালের ৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান দায়িত্ব পাওয়ার পর সমাবর্তন আয়োজনের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়। গত ২৩ জানুয়ারি সমাবর্তনের রেজিস্ট্রেশনে সময়সীমা আরেক দফা বাড়িয়ে ৩১ জানুয়ারি করা হয়। এতে মোট রেজিস্ট্রেশনকারী গ্র্যাজুয়েটের সংখ্যা দাড়ায় ৬ হাজার ৯ জন।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমাবর্তন বক্তা নির্ধারণ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও এমিরেটাস অধ্যাপক আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীনকে।

 

/এফএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত
ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
ওপারের গোলার বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে টেকনাফ
ওপারের গোলার বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে টেকনাফ
সর্বাধিক পঠিত
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন