X
বুধবার, ০১ মে ২০২৪
১৭ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁয় পানিফল চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের

নওগাঁ প্রতিনিধি
১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:২৮আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:৪১

পানিফলের গাছ (ছবি– প্রতিনিধি)

নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় পানিফল চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। উৎপাদন খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় অনেক কৃষক এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন পানিফল। আর এই ফল চাষ করে অনেক চাষির পরিবারে সুদিন ফিরেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, নওগাঁ সদরের খাগড়া বিল, মরা বিল, হাসাইগারি বিল ও দিঘীলীর বিলসহ বিভিন্ন খাল ও জলাশয়ে জমে থাকা পানিতে পানিফল চাষ করেছেন কৃষকেরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, এবছর জেলায় ৮৫ হেক্টর জমিতে পানিফল আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলাতে পানিফল চাষ হয়েছে ৫৪ হেক্টর জমিতে। এ ছাড়া, মান্দা, রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার কিছু বিল, খাল ও জলাশয়ে পানিফলের চাষ হয়েছে।

এ সূত্র আরও জানায়, গত বছর জেলায় পানিফলের চাষ হয়েছিল ৭২ হেক্টর জমিতে। মৌসুমের শুরুতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় সদর উপজেলার বিভিন্ন বিল সংলগ্ন জমিতে, খাল ও জলাশয়ে পানি চলে আসায় এবছর পানিফলের চাষ বেড়েছে।

চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জলাশয়ে জমে থাকা পানিতে তারা পানিফলের চারা ছেড়ে দেন। এর ২-৩ মাস পর ফল আসা শুরু হয়। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন পর পর জমি থেকে ফল সংগ্রহ করেন তারা। প্রতি মণ পানিফল একহাজার ৫০০ টাকা থেকে একহাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে বাজারে পানিফলের যোগান বেড়ে গেলে দাম কমে যায়।

সদর উপজেলার খাগড়া বিল সংলগ্ন দুর্গাপুর গ্রামের কৃষক আলতাফ আলী বলেন, ‘খাগড়া বিলে ৩ বিঘা জমি একবছরের জন্য ৫০ হাজার টাকায় ইজারা নিয়েছি। এবছর ওই ৩ বিঘা জমিতে পানিফলের চাষ করেছি। ইতোমধ্যে আমি প্রায় ২৫ মণ পানিফল বিক্রি করেছি। প্রতি মণ পানিফল বিক্রি করেছি একহাজার ৫০০ থেকে একহাজার ৬০০ টাকায়।’

বরুনকান্দি গ্রামের কৃষক সেবুর হোসেন জানান, ২২ কাঠা জমিতে পানিফলের চাষ করেছেন তিনি। কীটনাশক, শ্রমিকসহ অন্য উৎপাদন খরচ বাবদ তার প্রায় ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে ১০ মণ পানিফল বিক্রি করেছেন ১৫ হাজার টাকায়। সব মিলে প্রায় ৪০ হাজার টাকার পানিফল বিক্রি করবেন বলে তার আশা।

তিনি বলেন, ‘ওই জমিতে বছরে ৬ মাসই পানি জমে থাকে। পানিফল চাষ না করলে ওই জমি পতিত থাকতো। অল্প পরিশ্রম ও কম খরচে ২২ কাঠা জমি থেকে ৩০-৩২ হাজার টাকা আয় হচ্ছে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মনোজিৎ কুমার মল্লিক বলেন, ‘নওগাঁয় বেশ কিছু বিল রয়েছে, যেখানে বছরে পাঁচ থেকে ছয় মাস পানি জমে থাকে। ওই জমিতে ধান ও সবজি চাষ করা সম্ভব নয়। ওই জমিতে কৃষকেরা সাধারণত পানিফলের চাষ করছে। পানিফলের চাষ বেশ লাভজনক হওয়ায় দিন দিন কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। এই ফল লাভজনক হওয়ায় ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হওয়ায় কৃষিবিভাগ থেকে আমরা কৃষকদের সবসময় সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে আসছি।’

/এমএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বরগুনায় দুই সাংবাদিকসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা
বরগুনায় দুই সাংবাদিকসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা
ভিনিসিয়ুসের জোড়ায় প্রথম লেগে বায়ার্নকে জিততে দেয়নি রিয়াল
ভিনিসিয়ুসের জোড়ায় প্রথম লেগে বায়ার্নকে জিততে দেয়নি রিয়াল
দুই মাস পর ইলিশ ধরা শুরু
দুই মাস পর ইলিশ ধরা শুরু
ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি অনিক, সম্পাদক জাওহার
ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি অনিক, সম্পাদক জাওহার
সর্বাধিক পঠিত
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
সিস্টেম লস কমাতে সার্বক্ষণিক ম্যাজিস্ট্রেট চায় পেট্রোবাংলা
সিস্টেম লস কমাতে সার্বক্ষণিক ম্যাজিস্ট্রেট চায় পেট্রোবাংলা
এক ফ্রেমে এত ‘সুন্দরী’, স্মৃতিকাতর সকলেই!
এক ফ্রেমে এত ‘সুন্দরী’, স্মৃতিকাতর সকলেই!
সাতক্ষীরার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড 
সাতক্ষীরার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড 
আজকের আবহাওয়া: তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার আভাস