X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

লকডাউনেও খোলা কোচিং সেন্টার

পাবনা প্রতিনিধি
১১ এপ্রিল ২০২১, ১৯:৪৭আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২১, ১৯:৪৮

করোনার বিস্তার রোধে দেশে সরকার ঘোষিত লকডাউন চলমান রয়েছে। এর মধ্যেই পাবনায় গোপনে খোলা রয়েছে কোচিং সেন্টার। যেখানে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি।

এ ধরণের অবহেলায় করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ মাত্রায় বাড়তে পারে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

সরেজমিনে রবিবার সকালে পাবনা জেলা স্কুল এলাকায় দেখা যায়, খোলা রয়েছে ওয়াজেদ গণিত কোচিং, শরিফ ইংলিশ টিচিং হোম, ইছামতি কোচিং সেন্টারসহ বেশ কয়েকটি কোচিং সেন্টার।

স্থানীয়রা জানান, গত প্রায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এসব কোচিংয়ে পড়াচ্ছেন শিক্ষকরা। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ব্যাচ করে পড়ানো হচ্ছে। প্রতি বেঞ্চে সাত থেকে আটজন শিক্ষার্থীরা ঘেঁষাঘেঁষি করে বসে পড়ছে। স্বাস্থ্যবিধি তো দূরের কথা, অনেকে মাস্কও পরেনি।

গণমাধ্যম কর্মীদের দেখে কোচিং সেন্টার খোলা রাখার কথা অস্বীকার করলেও একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের কথার গরমিলে তা স্বীকার করেন কোচিং সেন্টার মালিকরা। এসময় ‘অভিভাবকদের চাপে কোচিং খোলা রেখেছেন, লকডাউন শিথিল’- এমন নানা ধরণের উত্তরও দেন তারা।

ওয়াজেদ কোচিং সেন্টারের পরিচালক বলেন, লকডাউন শিথিল থাকায় বাচ্চাদের পড়াচ্ছিলাম। কঠোর লকডাউন হলে পড়াবো না। বাচ্চারা সংক্রমিত হলে তার দায় নেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি ভুল হয়েছে।

শরিফ ইংলিশ কোচিং সেন্টারের পরিচালক বলেন, আমাদের বিকল্প আয়ের উৎস নেই। ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও বাধ্য হয়েই বাচ্চাদের পড়াচ্ছিলাম। তবে কঠোর লকডাউনে কোচিং খোলা থাকবে না।

এদিকে, শিক্ষকরা পড়াচ্ছেন বলেই বাচ্চাদের কোচিংয়ে আনতে বাধ্য হয়েছেন বলে দাবি করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক। তিনি বলেন, কিছু অসচেতন অভিভাবককে ডেকে তাদের বাচ্চাদের নিয়ে পড়ানো শুরু করেছেন শিক্ষকরা। বাচ্চা পিছিয়ে পড়বে ভেবে পড়াতে এনেছি। বিষয়টি ঠিক হয়নি।

পাবনার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আবু জাফর বলেন, দ্বিতীয় ঢেউয়ের করোনায় কিশোর তরুণরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। এমন পরিস্থিতিতে যেকোনো মূল্যে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। বাচ্চারা যেহেতু দুরন্ত প্রকৃতির, তাদের প্রতি বাড়তি নজর দেয়া প্রয়োজন।

সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কোচিং সেন্টার ও বেসরকারি স্কুল খোলা রাখলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল ও কোচিংয়ে পাঠদানের সুযোগ নেই। প্রশাসন বিষয়টি মনিটরিং করছে। এরপরেও গোপনে অনেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ পেয়েছি। ধরা পড়লে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।

 

/এনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ
৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধির পূর্বাভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধির পূর্বাভাস
নানা কর্মসূচিতে পালিত হচ্ছে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস
নানা কর্মসূচিতে পালিত হচ্ছে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস
ইন্দোনেশিয়ায় মধ্যরাতে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় মধ্যরাতে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প
সর্বাধিক পঠিত
তাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকছেতাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে