বগুড়ার শিবগঞ্জে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাইফুল ইসলামকে (৬০) গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিচয় গোপন করে দীর্ঘ ২৬ বছর ঢাকা ও সিলেটে অবস্থান করেছেন তিনি। অবশেষে গোপনে বাড়িতে এসে ফেরার সময় ধরা পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) রাতে তাকে শিবগঞ্জের আমতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব-১২। তাকে শিবগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। র্যাব-১২-এর কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন শুক্রবার দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। সাইফুল ইসলাম বগুড়ার শিবগঞ্জের বিহার গ্রামের মৃত ছায়েদ আলীর ছেলে।
র্যাব জানায়, ১৯৯৭ সালে চালককে হত্যা করে তার অটোরিকশা চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করা হয়। সাইফুল ইসলাম ছিলেন মামলার দুই নম্বর আসামি। ২০০২ সালে বগুড়ার আদালত তাকে যাবজ্জীবন সাজা দেন। ঘটনার পরপরই পালিয়ে যান। পরিচয় গোপন করে ঢাকা ও সিলেটে রিকশা চালান। মাঝেমধ্যে গোপনে শিবগঞ্জের বাড়িতে আসতেন। কয়েকদিন বাড়িতে অবস্থান করে ফিরে যেতেন। এবার ২০ দিন আগে বাড়িতে আসেন। ঢাকায় ফিরে যাওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার রাতে আমতলি এলাকায় বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। গোপনে খবর পেয়ে র্যাব সদস্যরা তাকে সেখান থেকে গ্রেফতার করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। দীর্ঘ ২৬ বছর পরিচয় গোপন করে ও দাড়ি রেখে ঢাকা ও সিলেটে রিকশা চালিয়েছেন। পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে শিবগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
শিবগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রউফ জানান, ওই ব্যক্তি সাজাপ্রাপ্ত এটা ঠিক। কিন্তু যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রবিবার আদালতে তুললে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানা যাবে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।