রাজশাহীতে নিজ বাড়ির সামনে পৌঁছেই ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছেন রাজধানীর একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত এক দম্পতি। শুক্রবার (৬ জুন) সকালে নগরীর দেবীসিং পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারীদের হামলায় আহত হয়েছেন ওই দম্পতির স্ত্রী।
ভুক্তভোগী ওই দম্পতি হলেন ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান শাখায় কর্মরত রাশিদুর রহমান ও ফাহমিদা সুলতানা। তারা ঢাকায় কর্মরত থাকলেও ঈদ উপলক্ষে রাজশাহী নগরীর দেবীসিং পাড়ায় নিজ বাড়িতে এসেছিলেন।
রাশিদুর রহমান জানান, শুক্রবার ভোরে ফজরের নামাজের সময় তারা বাসে করে রাজশাহীর তালাইমারি মোড়ে নামেন। সেখান থেকে একটি রিকশা ভাড়া করে দেবীসিং পাড়ার দিকে রওনা হন। বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছালে তিনি রিকশা থেকে নেমে পড়েন, তখন তার স্ত্রী ফাহমিদা সুলতানা রিকশাতেই বসে ছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে দুই জন ছিনতাইকারী তাদের সামনে এসে ধারালো অস্ত্রের মুখে আটকায়।
ছিনতাইকারীরা তাদের কাছ থেকে ২৬ হাজার টাকা, দুটি মোবাইল ফোন, একটি মানিব্যাগ, ব্যাংকের আইডি কার্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইয়ের সময় ধস্তাধস্তিতে ফাহমিদা সুলতানার বাঁ হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত লাগে। সেই সঙ্গে ছিনতাইকারীরা তার পরনের বোরকাও ছিঁড়ে ফেলে।
রাশিদুর রহমানের অভিযোগ, ঘটনার সময় পাশেই একটি মাদ্রাসা মসজিদে নামাজ চলছিল। তিনি সাহায্যের জন্য চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। ফলে ছিনতাইকারীরা নির্বিঘ্নে সবকিছু লুট করে পালিয়ে যায়। ছিনতাইকারীদের একজনের মাথায় হেলমেট থাকলেও অন্যজন ছিলেন খালি মাথায়। সিসিটিভি ফুটেজে একজনকে শনাক্ত করা সম্ভব বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি মোস্তাক আহমেদ বলেন, ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে, রাজশাহীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা নতুন নয়। এর আগে গত ৩ জুন ভোরে নগরীর মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ছিনতাইকারীর রামদার কোপে আহত হন পুলিশ কর্মকর্তা রেজাউল করিম (৪৫)। তিনি বর্তমানে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।