দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। হিমালয় থেকে ধেয়ে আসা হিমেল বাতাসে জেলাজুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। দুপুর পর্যন্ত চারদিক ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে। শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটাই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিকাল হতেই পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা কমতে থাকে। ভোর থেকে সকাল দশটা পর্যন্ত ঠান্ডার প্রকোপ থাকে। সকাল দশটার পর সূর্যের দেখা মিললেও কনকনে শীতে চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ। তারা সময়মতো কাজে যোগ দিতে পারছেন না। গরম কাপড়ের অভাবে শীতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানান, চলতি মাসে তাপমাত্রা আরও কমে যাবে। কুয়াশাও বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে শৈত্যপ্রবাহ।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার পাঁচটি উপজেলায় ও তিনটি পৌরসভায় প্রায় ৩৪ হাজার শীতবস্ত্র বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষদের মাঝে এগুলো বিতরণ করা হয়েছে। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে আরও শীতবস্ত্র চেয়ে চাহিদা পত্র পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
আজকের আবহাওয়ার খবর।
সারাদেশের তাপমাত্রার খবর।