রমজান মাসে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম হাতের নাগালে রাখতে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সময়সীমা বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। আগামী ৫ মে পর্যন্ত আমদানির সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। ফলে রমজানে পেঁয়াজের দাম বাড়বে না।
এদিকে পুনরায় ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) দেওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে বন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের মাঝে। এতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মামুনুর রশীদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বন্দর দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। একই সঙ্গে ভারতের মোকামগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পেঁয়াজ লোডিং চলছে। যা দেশে আসার অপেক্ষায় ভারতের অভ্যন্তরে রয়েছে। ফলে গত দুই সপ্তাহ ধরেই পেঁয়াজের দাম ১৭ থেকে ২২ টাকার মধ্যে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘২৯ মার্চের পর থেকে আইপি প্রদান বন্ধের কারণে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যেতো। এতে আবারও দাম বৃদ্ধি পেতো। আমদানি বন্ধ হলে ভারতে আটকে পড়া পেঁয়াজের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হতাম। তবে আবারও ইমপোর্ট পারমিট দেওয়ায় আমাদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। এতে আমদানি অব্যাহত থাকবে এবং রমজান মাসে পেঁয়াজের দাম বাড়বে না।’
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আগে দেওয়া ইমপোর্ট পারমিটের মাধ্যমে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে ওই আইপিগুলোর মেয়াদ ২৯ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারণ করে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। সে মোতাবেক মঙ্গলবার থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি কৃষি মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছিল। যাতে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। ২৯ মার্চের পর আইপি ইস্যু না করলে বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আসন্ন রমজান ঘিরে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ঈদুল ফিতর পর্যন্ত আইপি ইস্যু অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। সেই মোতাবেক বুধবার থেকে কৃষি মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ আমদানির ইমপোর্ট পারমিট প্রদানের বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন করে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ইমপোর্ট পারমিট ইস্যু করা হবে; যার মেয়াদ আগামী ৫ মে পর্যন্ত থাকবে। ইতোমধ্যে বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে বুধবার থেকে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকবে। তবে পুরনো আইপিগুলোর মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত আমাদের জানাননি কর্তৃপক্ষ।’