X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘পোস্টারে ছবি দেওয়া দল সমর্থন করে না’

তুহিনুল হক তুহিন, সিলেট
২৩ জুলাই ২০১৮, ০১:৫০আপডেট : ২৩ জুলাই ২০১৮, ০১:৫০

ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খান সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খান। নির্বাচনে তার প্রতীক হাতপাখা। নির্বাচনি প্রচারণায় বিভিন্ন দলের মেয়র প্রার্থীরা তাদের নিজেদের ছবির পাশাপাশি দলীয় প্রধানের ছবি ব্যবহার করে পোস্টার সাঁটালেও মো. মোয়াজ্জেম তার পোস্টোরে নিজের ছবি ব্যবহার না করে শুধু প্রতীকের ছবি ছাপিয়েছেন। এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তরুণ প্রজন্মের ভোটাররা। তবে মোয়াজ্জেম জানিয়েছেন, তার দল কোনওভাবেই পোস্টারে ছবি ব্যবহারের পক্ষে নয়।
এদিকে তরুণ প্রজন্মের ভোটাররা মনে করছেন, সব দলের মতো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী পোস্টারে তাদের ছবি ব্যবহার করলে ভোটারদের জন্য অনেকটা সুবিধা হতো। যেখানে অন্যান্য দলের প্রার্থীরা তাদের ছবি ব্যবহার করছেন আর সেখানে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী তার ছবিবিহীন পোস্টার সাঁটিয়ে যেভাবে প্রচারণা করেছেন সেটা নির্বাচনি আমেজের মধ্যে পড়ে না বলে তারা মনে করেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খান বলেন, ‘আমাদের দল কোনওভাবেই পোস্টারে ছবি ব্যবহারের পক্ষে নয়। আমি যেহেতু ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত একজন মেয়র প্রার্থী, তাই দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার আমার কোনও সুযোগ নেই। দলের নিয়মনীতি মেনেই আমাকে সব কাজ করতে হবে।’
‘পোস্টারে ছবি দেওয়া দল সমর্থন করে না’ পোস্টারে ছবি না থাকায় তরুণ প্রজন্মের ভোটাররা আপনাকে চিনতে অনেকটা সংশয়ে পড়েছেন, এ প্রসংঙ্গে জানতে চাইলে মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়ার মালিক পোস্টারও না, লিফলেটও না। আল্লাহ চাইলে সবকিছুই পারেন। সর্বোচ্চ উলামা পরিষদে যারা আছেন তারা এখন আর পোস্টারে ছবি দেওয়ার পক্ষে নয়।’
মোয়াজ্জেম হোসেন আরও বলেন, ‘ভোটাররা যেহেতু আমাকে পোস্টারে দেখতে পাচ্ছে না, সেজন্য আমি অধিকাংশ সময় চেষ্টা করি ভোটারদের কাছাকাছি যেতে। এমনকি দেখা করে তাদেরকে আমি বলি “আমার পোস্টারে ছবি নাই যার কারণেই আমি ভোট চাইতে আপনাদের কাছে স্বশরীরে এসেছি”।
নির্বাচন নিয়ে কোনও শঙ্কা আছে কিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ দেখেছে খুলনা এবং গাজীপুর সিটি নির্বাচনে কী হয়েছে। তবুও এটা মেনে নিয়েই আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আমি মনে করি, গাজীপুর ও খুলনার চেয়ে একটু ভালো নির্বাচন সিলেটে অনুষ্ঠিত হবে।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইসলামী আন্দোলন ‘পীরভিত্তিক দল’ হওয়ায় অনুসারীদের সংখ্যা আনুপাতিক হারে বেশি। বিশেষ করে দেওবন্দ ও কওমি ঘরানার পীর হিসেবে ‘চরমোনাই ধারাটি’ গ্রহণযোগ্য বেশি। ‘পীরভিত্তিক’ দল হওয়ার কারণেই শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে দলটির জনপ্রিয়তা রয়েছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এটা তাদের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। এর বাইরে তিনি আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

/এআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পঞ্চম বারের মতো কমলো সোনার দাম
পঞ্চম বারের মতো কমলো সোনার দাম
নেত্রীর জন্য জান দেবেন আর সিদ্ধান্ত মানবেন না, সেটা উচিত না: দীপু মনি
নেত্রীর জন্য জান দেবেন আর সিদ্ধান্ত মানবেন না, সেটা উচিত না: দীপু মনি
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই বন্ধ করতে পারে: আব্বাস
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই বন্ধ করতে পারে: আব্বাস
টেন মিনিট স্কুলে বিকাশ পেমেন্টে ক্যাশব্যাক
টেন মিনিট স্কুলে বিকাশ পেমেন্টে ক্যাশব্যাক
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে