X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষকদের বেতন দিতে না পারলে অধিভুক্তি বাতিল

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৬ জুন ২০২১, ১৮:৩১আপডেট : ২৬ জুন ২০২১, ১৮:৩১

বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স স্তরের যেসব বিষয়ের শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হবে না সেসব বিষয়ের অধিভুক্তি বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো মো. মশিউর রহমান।

শনিবার (২৬ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষকদের বেতন কলেজ থেকে দেওয়া হবে এই শর্তেই অধিভুক্ত নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। এখন শিক্ষকদের বেতন দিতে না পারলে অধিভুক্তি বাতিল করা হবে। কলেজগুলোকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। কলেজগুলো যেসব বিষয়ের শিক্ষকদের বেতন দিতে পারবে না, কেবল সেসব বিষয়ের অধিভুক্তিই বাতিল করা হবে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

গত ১৩ জুন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শন দফতর থেকে নোটিশে কলেজগুলোকে জানানো হয়, শিক্ষকদের বেতন না দেওয়া হলে অধিভুক্তি বাতিল করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জনবল কাঠামো অনুযায়ী ডিগ্রিস্তর পর্যন্ত পরিচালিত এমপিওভুক্ত কলেজগুলোয় ১৯৯৩ সালে অনার্স-মাস্টার্সের অনুমোদন দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বিধিবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত স্কেলে কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের মূল বেতন দেওয়ার শর্তে অনার্স-মাস্টার্সের বিষয় অনুমোদন পায়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কলেজের টিউশন ফি থেকে শিক্ষকদের বেতনভাতা দেওয়ার নির্দেশনা দেয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এই পর্যায়ে কলেজগুলোর জনবল কাঠামোতে স্থান পায় না অনার্স ও মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকদের পদ। ফলে সরকারি বিধিবিধানের আলোকে এমপিওভুক্ত হওয়ার সুযোগ বঞ্চিত হন তারা। এই পরিস্থিতিতে ২৯ বছর ধরেই বঞ্চিত হচ্ছেন অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকরা।

উল্লেখ্য, বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ আছে ২ হাজার ২৬০টি। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ৩০০ কলেজে অনার্স-মাস্টার্স স্তর আছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মোট শিক্ষার্থী প্রায় ২৯ লাখ।

 

/এসএমএ/এনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রৌমারীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা
রৌমারীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
‘স্বাভাবিক পরিবেশে বাঁচতে প্রত্যেককে গাছ রোপণ করতে হবে’
‘স্বাভাবিক পরিবেশে বাঁচতে প্রত্যেককে গাছ রোপণ করতে হবে’
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস