শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হলো আমাদের ঘরের মধ্যেই গণতন্ত্রের চর্চা নেই। আমরা বাচ্চাদের ‘বলি এটা করো, ওটা করো’। বাচ্চারা যখন প্রশ্ন করে 'কেন' তখন আমরা বলে থাকি ‘বাবা বলেছে তাই’। আমরা কাউকে প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করি না। আমরা মানুষকে প্রশ্ন করা থেকে দূরে রাখতে চাই। ক্লাসের ক্ষেত্রেও একইভাবে প্রশ্ন করাটাকে নিরুৎসাহিত করি। আমরা ভাবি প্রশ্ন করবে শিক্ষক। শিক্ষার্থীরা কেন প্রশ্ন করবে? এভাবে আমরা গণতন্ত্রকে একেবারে মাঠে মেরে ফেলি। অথচ আমরা সারা দুনিয়ায় গণতন্ত্রের প্রসার চাই।
শনিবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘গণিতমুখী প্রজন্ম গঠনে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি (এমপি)।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সায়েন্স লাগবে, টেকনোলজি লাগবে। আমাদের সবই লাগবে কিন্তু এসবের আগে একটা ‘আ’ লাগবে। একজন মানুষের মধ্যে মানবিকতার জন্য আর্টস, আসথেটিক্স লাগবে। আর গণিতের মধ্যে যে মজা পাবে তার মধ্যে এসব অটোমেটিক্যালি চলে আসবে।
এসময় সাংবাদিক মতিউর রহমান লাল্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান ও ডুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে আলোচনা রেখেছেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, অন্যরকম গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সোহাগ, লেখক ও প্রকৌশলী চমক হাসান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন লেখক ও স্থপতি ফিরোজা বহ্নি, আদর্শ প্রকাশনীর প্রকাশক মাহাবুব রাহমান।
