শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার লক্ষ্যে সরকার যোগ্য, আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক একটি জাতি গঠনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউএফটি) প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই আয়োজন করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি খাতে উচ্চশিক্ষায় অগ্রদূত ও বস্ত্রশিল্পে দক্ষ কর্মী তৈরিতে এক অনন্য দৃষ্টান্ত বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনলোজি। এই বিশ্ববিদ্যালয় একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং ২০৪১ সালের লক্ষ্য অর্জনে মানসম্পন্ন ও যুগোপযোগী শিক্ষাদানের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কিয়ার্যক্রমেও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করছে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জ্ঞান-বিজ্ঞানে অগ্রগামী, চিন্তা-চেতনায় প্রগতিশীল, সততা, মানবিকতা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ শরীর-মনে সুস্থ ও কর্মে উদ্যমী একটি প্রজন্ম গড়ে তুলতে চাই। শুধু সনদ লাভের জন্য নয়, সমাজের মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ড. মসিউর রহমানের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রধানমন্ত্রীর দক্ষিণ অঞ্চলের করপোরেশন সেলের এডিশনাল সেক্রেটারি সারোয়ার আলম। তিনি তার বক্তব্যে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ ও শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুজাফফর উদ্দিন সিদ্দিক বলেন, ‘দক্ষ ও যুগোপযোগী শিক্ষার্থী বিনির্মাণে বিইউএফটি বদ্ধপরিকর।’
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন– বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য ইঞ্জিনিয়ার আইয়ুব নবী খান, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য, সিন্ডিকেট ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদের করর্মকর্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
সমাবর্তনে পাঁচ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে স্নাতক সনদ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৫৩ জন শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়েছে।