X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বাপ্পির জন্য পরিবারের অপেক্ষা

বিনোদন রিপোর্ট
২১ আগস্ট ২০১৭, ২০:২৭আপডেট : ২১ আগস্ট ২০১৭, ২২:০৭

রাজ্জাক (১৯৪২-২০১৭) নায়করাজ রাজ্জাজের তিন ছেলে- বাপ্পারাজ, বাপ্পি ও সম্রাট। মেয়ে দুইজন- একজন থাকেন লন্ডনে, অন্যজন মারা গেছেন।

নায়করাজের প্রয়াণের পরপরই তাঁর প্রবাসী মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হলেও কানাডা প্রবাসী ছেলে বাপ্পির সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর। রাজ্জাকের পরিবারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাবার মৃত্যুর সংবাদটি দেরিতেই পেয়েছেন তিনি। তবে এখনও তিনি দেশে ফেরার জন্য উড়োজাহাজের টিকিট পাননি। ফলে কখন তিনি দেশে ফিরতে পারবেন, সেটা এখনই বলতে পারছেন না কেউ।

আর বাপ্পির দেশে ফেরার ওপরই নির্ভর করছে প্রয়াতর বাকি আনুষ্ঠানিকতা। সবাই এখন অপেক্ষা করছেন বাপ্পির ফেরার জন্য।

বাংলা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে দাপুটে ও শক্তিশালী অভিনেতা রাজ্জাক সোমবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান।

হাসপাতালে থাকা পরিবারসংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বিষয়টি এভাবেই ব্যাখ্যা করেন। তাই এখনও জানা সম্ভব হয়নি, কখন রাজ্জাকের মরদেহ বিএফডিসিতে নেওয়া এবং জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হবে।

নায়করাজের সন্তান সম্রাট, বাবার মৃত্যুর পর ইউনাইটেড হাসপাতালে রাজ্জাক; বাংলা চলচ্চিত্রকে অন্যন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া এ মানুষটির জন্ম পশ্চিমবঙ্গের (বর্তমান ভারতের) কলকাতার টালিগঞ্জে । নায়করাজ রাজ্জাক নামে সুপরিচিত হলেও তাঁর আসল নাম ছিল আব্দুর রাজ্জাক। কলকাতার খানপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় তাঁর অভিনয় জীবনের শুরু। সরস্বতী পূজার সময় মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের জন্য তাঁর গেম টিচার রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁকে বেছে নেন নায়ক অর্থাৎ কেন্দ্রীয় চরিত্রে। শিশু-কিশোরদের নিয়ে লেখা নাটক বিদ্রোহীতে গ্রামীণ কিশোর চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়েই নায়ক রাজের অভিনয়ে সম্পৃক্ততা।

১৯৬৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাড়ি জমান নায়করাজ। প্রথমদিকে রাজ্জাক তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে ‘ঘরোয়া’ নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হন। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি আব্দুল জব্বার খানের সঙ্গে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। সালাউদ্দিন প্রোডাকশন্সের ‘তেরো নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে শুরু তার ঢালিউডযাত্রা। প্রথম চলচ্চিত্রেই পরিচয় দেন নিজের মেধার। পরবর্তীকালে ‘কার বউ’, ‘ডাক বাবু’, ‘আখেরী স্টেশন’সহ আরও বেশ ক'টি ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয়ও করেন। পরে ‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রে তিনি নায়ক হিসেবে ঢালিউডে উপস্থিত হন সদর্পে। তিনি প্রায় তিনশ বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র।

১৯৯০ সাল পর্যন্ত বেশ দাপটের সাথেই ঢালিউডে সেরা নায়ক হয়ে অভিনয় করেন রাজ্জাক। এর মধ্য দিয়েই তিনি অর্জন করেন নায়করাজ রাজ্জাক খেতাব। অর্জন করেন একাধিক সম্মাননা। তিনি বেশ ক’বার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়াও তিনি জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করেছেন।

/এমএম/এম/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
বোনকে নিয়ে সনু নিগমের প্রথম গান!
বোনকে নিয়ে সনু নিগমের প্রথম গান!
বলিউডে কোণঠাসা প্রিয়াঙ্কা!
বলিউডে কোণঠাসা প্রিয়াঙ্কা!
একসঙ্গে এই অভিনেতারা...
একসঙ্গে এই অভিনেতারা...
শিল্পীদের সমস্যাগুলো সংসদে চিহ্নিত করতে চাই: ফেরদৌস
শিল্পীদের সমস্যাগুলো সংসদে চিহ্নিত করতে চাই: ফেরদৌস
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…