X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১
চলচ্চিত্র রিভিউ

নোনা জলের কাব্য: কুসংস্কারই এই ছবির কেন্দ্রবিন্দু

স্বদেশ রায়
০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০৩আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ২১:২৮

বাংলাদেশ বদ্বীপ। এই দ্বীপটির নিজের নামে নিজস্ব দুটো সম্পদ আছে। একটি বঙ্গোপসাগর। অন্যটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার। কোনও জনগোষ্ঠীর যদি এমন দুটো সম্পদ থাকতো- তাহলে তাদের সাহিত্য, শিল্পকলাসহ জীবনের অনেকাংশজুড়ে থাকতো এ দুটি বিষয়। বাঙালি আধুনিক হওয়ার আগে, বিশেষ করে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে পশ্চিমা সাহিত্য ও শিল্পকলার অনুকরণে সাহিত্য ও শিল্পকলা তৈরির আগের চিত্রটি ভিন্ন। সে সময়ে তার যে সাহিত্য (যা আজ লোকসাহিত্য নামে পরিচিত), তার যে নাচ (যা আজ লোকনৃত্য নামে পরিচিত), তার যে ছবি (যা আজ পট বা নকশা নামে পরিচিত) সেখানে এই সমুদ্র ও বাঘ আছে বিশাল অংশজুড়ে। আমাদের রূপকথার একটি বড় অংশজুড়ে সমুদ্র, সুন্দরবন বা বাদাবন ও রয়েল বেঙ্গল টাইগার বা বাঘ মামা, নকশার বড় অংশজুড়ে সাগর, সুন্দরবন আর ওই বাঘ। এমনকি ধনের দেবী লক্ষ্মীর পটেও বাঘের ছবি, সমুদ্রের ছবি শোভা পেতো। 

ইংরেজি সাহিত্যের অনুকরণ ও তাদের শিল্পকলার ছায়ার দাপটে এই সমুদ্র ও সুন্দরবনের বাঘ- আমাদের সাহিত্য ও জীবন থেকে অনেকখানি চলে যায়। এর পরে মানুষ বৃদ্ধি আর জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে সমুদ্র ও সমুদ্রের পাশে থাকা মানুষ আর জঙ্গল- তার জীবজন্তু সবই আমাদের সাধারণের জীবন থেকে অনেক দূরে চলে যায়। তারপরে শহর ও নগরকেন্দ্রিক জীবন হওয়াতে গত কয়েকটি জেনারেশনের কাছে ওই সমুদ্র পাড়ের মানুষ ও তাদের জীবন আমাদের কাছে  ধীরে ধীরে অচেনা হয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক দশকের তীব্র জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সমুদ্র পাড়ের জীবনে কী প্রভাব ফেলছে তাও দেশের বেশিভাগ মানুষের কাছে অজানা। দৈনন্দিন রাজনৈতিক খবরের জবরদস্তি ঠেলে ওইসব অনাথা বন-পুষ্পদের খবর খুবই কম আসে মিডিয়ার পর্দায় বা পাতায়। ছবি ও চলচ্চিত্রসহ নানান শিল্পকলা ছেয়ে আছে ইউরোপীয় বাজারের আনুকূল্যের দিকে।

এমনই সময়ে একেবারেই তরুণ পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত তার প্রথম চলচ্চিত্রে নিয়ে এসেছে এই সমুদ্র পাড়ের মানুষকে। যেখানে মানুষেরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তাদের জীবন ও জীবিকা নিয়ে হুমকিতে। যে হুমকি তারা বুঝতেও পারে না। এই বার্তাটি নিয়ে আসা সুমিতের চলচ্চিত্রটির বাংলা নাম ‘নোনা জলের কাব্য’ আর ইংরেজি নাম ‘সল্ট ইন আওয়ার ওয়াটার’। সমুদ্র পাড়ের মানুষকে আনতে গিয়ে ‘লোনা জলের কাব্য’ চলচ্চিত্রের ফোকাল পয়েন্ট দৃশ্যত দুটো হয়ে গেছে। এক. কুসংস্কার, দুই. জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। পরিচালক রেজওয়ানের মতে, এই দুটো কেন্দ্রবিন্দু মূলত একটার সঙ্গে আরেকটি জড়িত। তাই দুটো শেষ অবধি একবিন্দুতে মেশে। পরিচালকের এই চিন্তাকে ফেলে দেয়া যায় না। কারণ, ওই সমুদ্র পাড়ের মানুষ যেমন কুসংস্কারের কারণে জীবনের অনেক সত্যকে বুঝতে পারে না। তেমনি তারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও বুঝতে পারে না। তবে সাধারণ দর্শক এখানে কেউ কেউ মাঝে মাঝে থমকে যেতে পারেন, ভাবতে পারেন, আসলে চলচ্চিত্রটি কোনদিকে এগুচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ক্ষতিকে দেখাতে না কুসংস্কার? বরং তাদের কাছে শুধু নয়, সকল দর্শকের কাছে মনে হবে কুসংস্কারই এই ছবির মূল কেন্দ্রবিন্দু। আর সেটাই যথার্থ হয়েছে। তা না হলে চলচ্চিত্রটি জলবায়ু পরিবর্তনের আরও হাজারটি ডকুমেন্টারির একটি হয়ে যেতে পারতো। যেমনটি আকর্ষণীয় ফিচার ফিল্ম হয়েছে, তা হতো না। বরং কুসংস্কারের ওপর ভর করে গল্প এগিয়ে যাওয়াতে গল্পের ভেতর দিয়েই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের বার্তাটি দেয়া সম্ভব হয়েছে ফিচার ফিল্মের অংশ হিসেবে।

কাহিনিকার, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত কেন কুসংস্কারকে দেখানোর জন্যে তার নায়ককে একজন ভাস্কর্যশিল্পী হিসেবে বেছে নিলেন, কেনই বা ওই প্রত্যন্ত সমুদ্রের পাড়ে নিয়ে গেলেন তাকে? আর তার ভাস্কর্য দেখে সেখানকার সাধারণ মানুষ বলতে শুরু করলো- এ তো মূর্তি। মূর্তি তাদের কাছে হারাম। কাহিনির এখানে এসে গল্পটিকে রাজনৈতিক মনে হতে পারে। কেউ কেউ মনে করতে পারেন, ভাস্কর্য নিয়ে সারাদেশে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে যে বিতর্ক চলছে সেটি থেকে প্রভাবিত এই কাহিনি।

কিন্তু একটু খেয়াল করে চলচ্চিত্রটি দেখলে বোঝা যাবে, ভাস্কর্য-বিতর্ক কিংবা এই অপরাজনীতির সঙ্গে ছবির কোনও সম্পর্ক নেই। বরং বঙ্গোপসাগর থেকে উত্থিত এই বদ্বীপের মানুষের রক্তের সংস্কৃতি যে এখনও সমুদ্র পাড়েই নিহিত- সেটাই তুলে এনেছে তরুণ সুমিত। শিল্পী রুদ্র সেখানে পৌঁছেই যখন সমুদ্র পাড়ে গেছে, সে দেখে বালক-বালিকারা সমুদ্রের চড়ার মাটি ও বালু দিয়ে নানান মূর্তি ও মিনার গড়ছে। যারা বাংলাদেশকে চেনেন, যারা বাংলাদেশের সমুদ্র ও নদী পাড়ের মানুষকে চেনেন- তারা জানেন, নদীর চড়ার এই বালু ও কাদা দিয়ে মূর্তি ও মিনার গড়ার খেলা সেই অনাদিকাল থেকে আছে। আর সে সব সত্যি সত্যি মূর্তি ও মিনার হয়। যদিও তা জোয়ারের পানিতে ধুয়ে যায়। সংরক্ষণ হয় না কখনও। তারপরেও সেগুলোর শিল্পমূল্য যেমন হিসাব করা যায় না তেমনি এই খেলা বলে দেয়, ভাস্কর্য বাঙালির রক্তে গেঁথে থাকা এক সংস্কৃতি। এক সহজাত শিল্পী সত্তা বাঙালির এই মাটির তৈরি মূর্তির সঙ্গে রক্তে যোগ হয়ে আছে। আর তাই তো হাজার বছর ধরে এত মাটির খেলনা, মাটির পুতুল, মাটির তৈজসপত্র। আর টেরাকোটা!  সে তো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্মের একটা। কখনও কখনও হার মানিয়ে দেয় মায়া আজটেক গুহাচিত্র থেকে খাজুরোহ অবধি। আর এই ভাস্কর্য শিল্পসত্তা যেখানে সহজাতভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ পায়, যেখানে এখনও মাটির তৈজস তৈরি হয়, সেখানে একজন প্রকৃত শিল্পী তার পৃথিবীকে বড় করার জন্যে যাবেই। তা সে যত দুর্গম এলাকা হোক না কেন।

নোনা জলের কাব্য: কুসংস্কারই এই ছবির কেন্দ্রবিন্দু নোনা জলের কাব্য
পরিচালক: রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত
প্রযোজক: ইলান জিরার্ড ও রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত
চিত্রনাট্যকার: রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত
শ্রেষ্ঠাংশে: তিতাস জিয়া, তাসনুভা তামান্না, ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, অশোক ব্যাপারি, আমিনুর রহমান মুকুল, রোজি সিদ্দিকী, দুলারি তাহিম প্রমুখ 
সুরকার: শায়ান চৌধুরী অর্ণব
চিত্রগ্রাহক: চানানুন চতরুংগ্রোজ
সম্পাদক: ক্রিস্টেন স্প্রাগ, লুইজা পারভ্যু ও শঙ্খজিৎ বিশ্বাস
প্রযোজনা: আরসাম ইন্টারন্যাশনাল (ফ্রান্স), মাই পিক্সেল স্টোরি (বাংলাদেশ) ও হাফ স্টপ ডাউন (বাংলাদেশ)
পরিবেশক: ফিল্ম রিপাবলিক (আন্তর্জাতিক) ও স্টার সিনেপ্লেক্স (বাংলাদেশ)
মুক্তি: ১৩ অক্টোবর ২০২০ (লন্ডন) এবং ২৬ নভেম্বর ২০২১ (বাংলাদেশ)
দৈর্ঘ্য: ১০৬ মিনিট
ভাষা: বাংলা

কাহিনি এখানে এসে আবার ডালপালা বিস্তার করে। রুদ্র যেমন একদিকে তার শিল্পকর্ম নিয়ে কুসংস্কারের প্রতিবন্ধকতায় পড়েছে। যে প্রতিবন্ধকতায় পড়ে অনেকটা অসহায় রুদ্র রাজনীতিবিদদের মুখের ভুল শব্দার্থ ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে। তাকেও বাংলা অভিধানকে ঢেকে রেখে বলতে হচ্ছে, মূর্তি ও ভাস্কর্য এক নয়। অন্যদিকে রুদ্রর পৃথিবীর আকারও বাড়ছে। তার পৃথিবীতে যেমন গ্রামের ওই সহজাত শিল্পী বালক বালিকারা আসছে তেমনি তার পৃথিবীর আকার বাড়াতে এসে যোগ হয় এক অক্ষরজ্ঞানহীন কিশোরী টুনি। শত বিপদেও টুনি রুদ্রর পাশে থাকছে। যা ঘটে আসছে পৃথিবীর আবহমানকাল ধরে -তরবারি যুদ্ধ থেকে শিল্পের যুদ্ধ- সবখানেই নারী বীরত্বকে দিয়েছে আরও শৌর্য। টুনিও তাই দেয় এ চলচ্চিত্রে রুদ্রকে।

পরিচালক টুনিকে তাই শেষ পর্যন্ত রুদ্রর পৃথিবীর বাসিন্দাই তৈরি করে। বাস্তবে সমুদ্র পাড়ের কাহিনি নিয়ে বেশি ক্ষেত্রে চলচ্চিত্রকাররা সামুদ্রিক ঝড় এনে একটা করুণ ট্রাজেডিতে নিয়ে যান। এখানেও শেষের দিকে এসে তেমনটি মুহূর্তের জন্যে মনে হতে পারে। তখন একটু বোদ্ধা দর্শকদের মনে হতে পারে, কাহিনিকার কি এখানে গতানুগতিক পথে গিয়ে একটি সম্ভাবনাময় চলচ্চিত্রের মৃত্যু ঘটাবেন? না, তরুণ পরিচালক সুমিত, পরিপক্ব পরিচালক ও কাহিনিকারের মতো সেখানে বাঁচিয়ে দিয়ে গেছেন। তিনি ছায়াছবির মোড় ঘুরিয়ে দেন ওই সামুদ্রিক ঝড়ের মাঝে বসেও। ঝড়ের ভেতর থেকে উদ্ধার করতে আসা রুদ্র শেষ অবধি টুনিকে নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রেও যায়নি, প্রচণ্ড ঝড়ে গাছ চাপাও পড়েনি। তাকে নিয়ে সে ঢুকে পড়ে তার ভাস্কর্যগুলো রাখা বাক্সে। যাকে সে তার পৃথিবী বলেই জানে। আর ওই পৃথিবীতে টুনি আর রুদ্র পাশাপাশিই থাকে।

খুব যে দ্রুত গতির ছায়াছবি এটা- তা বললে, অসত্য বলা হবে। তবে এখানে এসে ছবির বাঁক নিয়েছে খুবই দ্রুত গতিতে। যা ছবির শেষ মুহূর্তে হলেও অনেক বেশি গতি যোগ করেছে। এখানে রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের চমক শুধু নয়, তার চিন্তার গতির গভীরতাও বলা যেতে পারে। আর শেষ মুহূর্তে ছবির এ বাঁকে টুনি যে গতি দিতে পেরেছে, তার মূলেও আছে গোটা সিনেমাটাজুড়ে টুনিই অভিনয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। টুনির ভূমিকায় শিল্পী তাসনুভা তামান্নার অভিনয়ই মূলত ছবির প্রাণ হয়ে উঠেছে। তামান্নার কাছে জানতে চেয়েছিলাম, সে মঞ্চে অভিনয় করেছে কিনা? মঞ্চে সে কোনোদিন অভিনয় করেনি। মঞ্চে অভিনয় না করেও এ ধরনের চরিত্রে এত শক্তি নিয়ে অভিনয় করা সত্যিই অনেক বড়। তাকে জাত শিল্পীই বলা যায়।  রুদ্রর ভূমিকায় থাকা শিল্পী তিতাস জিয়া এবং চেয়ারম্যানের ভূমিকায় থাকা প্রবীণ অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবুর জন্যে পরিচালক ও কাহিনিকার অনেক স্পেস রেখেছিলেন। রুদ্রর ভূমিকায় তিতাস জিয়া ভালো অভিনয় করলেও তার স্পেসে অনেকখানি জায়গা ফাঁকা থেকে গেছে। ফজলুর রহমান বাবু তার স্বাভাবিক অভিনয়ের বৃত্তকে এখানে ভেঙে অনেক দূর যেতে পারতেন। কেন তিনি গেলেন না- তা একটা বড় প্রশ্ন। তারপরেও তিনি বড় অভিনেতা। তাই তার অভিনয় দৃষ্টি কাড়বে সবার।

এখন সর্বশেষ প্রশ্ন আসে, এ ছবি কি বক্স অফিস হিট হবে?  কারও নাম উল্লেখ না করেই সবার প্রতি সম্মান রেখেই বলতে হয়, এ পৃথিবীতে ভালো ফিল্ম তৈরির কাজে যারা নিয়োজিত ছিলেন ও আছেন এদের এক গোষ্ঠী জনপ্রিয় হন আরেক গোষ্ঠী শুধু বোদ্ধাদের কাছেই পৌঁছান। এর মূলে হয়তো অনেক কিছুই আছে। যা এই স্বল্প পরিসরে আলোচনা করার নয়, আর এ লেখায় সেটা মোটেই মূল বিষয় নয়। তবে এক লাইনে বলা যায়, যাদের সিনেমার দর্শন গল্পের পিছে পিছে হাঁটে, তাদের চলচ্চিত্র জনপ্রিয় হয়। সিনেমায় থাকে মধ্যএশীয় ঘোড়ার গতি। আর যাদের সিনেমায় গল্প দর্শনের পিছে পিছে হাটে তাদের সিনেমা শুধু বোদ্ধা পাড়ায় পড়ে থাকে। তরুণ সুমিত কোন দিকে যান তার জন্যে এখন আমাদের অপেক্ষাই শুধু। দীর্ঘ ভবিষ্যতই বিষয়টি পরিষ্কার করবে।

লেখক: একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক

/এমএম/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
হলিউডের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন ক্যাটরিনা!
হলিউডের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন ক্যাটরিনা!
টিভি ধারাবাহিকে খলনায়িকা রিনা খান
টিভি ধারাবাহিকে খলনায়িকা রিনা খান
এই গরমে শিরোনামহীনের শীতল সুর!
এই গরমে শিরোনামহীনের শীতল সুর!
নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি জয়া
নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি জয়া
কানের ধ্রুপদি বিভাগে শ্যাম বেনেগালের ‘মন্থন’
কান উৎসব ২০২৪কানের ধ্রুপদি বিভাগে শ্যাম বেনেগালের ‘মন্থন’