গল্পটা মফস্বল শহরের। সেখানকার সাধারণ মানুষের আবেগ-অনুভূতি যেমন জড়িত, তেমনি আছে অন্ধকার জগতের ভয়াবহতা। সবকিছু ছাপিয়ে গল্পটিতে মুখ্য হয়ে ওঠে চিকিৎসকদের ত্যাগ ও বীরত্বের আখ্যান। সিনেমা আকারে সেই গল্প পর্দায় এসেছে। আজ শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দেশের ৩৫টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘বীরত্ব’।
বাংলা ট্রিবিউনকে হল সংখ্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনেমাটির পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান দ্য অভি কথাচিত্রের কর্ণধার জাহিদ হাসান অভি। তিনি বলেন, ‘৩৫টি হল চূড়ান্ত হয়েছে। আসলে উপজেলা পর্যায়ের অনেক হল থেকে সিনেমাটি নিতে চাচ্ছে, কিন্তু আমরা দিচ্ছি না। একদম ভালো মানের হলগুলো বাছাই করেছি। প্রথম সপ্তাহে এগুলোতে চলুক। দ্বিতীয় সপ্তাহে আমরা উপজেলা পর্যায়ের কথা চিন্তা করবো।’
‘বীরত্ব’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন সাইদুল ইসলাম রানা। এর মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক ইমন ও নবাগতা নিশাত নাওয়ার সালওয়া। এই সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় অভিষেক হলো সালওয়ার।
উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এই সুন্দরী তরুণী জানালেন, ‘শুটিংয়ের দিক থেকে বললে এটি আমার তৃতীয় সিনেমা। তবে মুক্তির নিরিখে প্রথম। দর্শক আমাকে প্রথমবার বড় পর্দায় দেখবে। ভাবতে ভালো তো লাগছেই, তবে তারা আমাকে কীভাবে-কতটা গ্রহণ করবেন, সেটা ভেবে একটু নার্ভাসও।’
এদিকে প্রায় আড়াই মাস পর বড় পর্দায় ফিরলেন ইমন। গত জুনে তাকে দেখা গেছে ‘আগামীকাল’ সিনেমায়। ‘বীরত্ব’ নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে এই নায়ক বললেন, ‘ভালো গল্পের প্রতি দর্শকের আগ্রহ বেড়েছে। তাই প্রত্যাশাও একটু বেশি। কেননা, আমাদের সিনেমাটির গল্প চমৎকার। আর প্রত্যেকেই দারুণ কাজ করেছেন। দর্শকের প্রতি একটাই আহ্বান, আপনারা হলে আসুন। আমাকে, আমাদের একটু সাপোর্ট দিন।’
সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে পিংপং এন্টারটেইনমেন্ট। এতে আরও অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার, অভিনেতা ইন্তেখাব দিনার, আহসান হাবিব নাসিম, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, কচি খন্দকার, বড়দা মিঠু, মনিরা আক্তার মিঠু, আরমান পারভেজ মুরাদ, শিল্পী সরকার অপু প্রমুখ।