X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১
বারীণ মজুমদারের প্রয়াণদিন

জমিদারপুত্র থেকে সংগীত সাধক

বিনোদন ডেস্ক
০৩ অক্টোবর ২০২২, ০০:০৯আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২২, ১৩:৩৩

উপনিবেশে থেকে মাথা তুলে দাঁড়ানো যেকোনও জাতির জন্যই কঠিন। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এটা ধ্রুব সত্য। দীর্ঘদিন ব্রিটিশ শাসনে, এরপর পাকিস্তানের অধীনে থাকা বাঙালিরা সংস্কৃতির বিকাশ নিয়ে সীমাহীন লড়াই করেছিলো। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শিল্পচর্চার একটি পথ তৈরি করতে নীরবে-নিভৃতে অনেকেই কাজ করেছিলেন। তেমনই একজন সংগীত বিশারদ ওস্তাদ বারীণ মজুমদার। 

বঙ্গ অঞ্চলে রাগ ও উচ্চাঙ্গসংগীতের প্রসারে অসামান্য ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। তাকে বলা হয় আগ্রা ও রঙিলা ঘরানার যোগ্য উত্তরসাধক। সোমবার (৩ অক্টোবর) বরেণ্য এই সংগীতজ্ঞের প্রয়াণ দিবস। ২০০১ সালের এই দিনে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

জমিদারপুত্র বারীণ মজুমদার। তার বাবা নিশেন্দ্রনাথ মজুমদার ছিলেন পাবনার রাধানগরের জমিদার। সংগীত ও নাটকের সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক ছিলো। সেই সুবাদে পারিবারিক মহলে সংস্কৃতির চর্চা দেখেই বড় হয়েছেন বারীণ মজুমদার। যা তার পরবর্তী জীবনে দারুণ প্রভাব ফেলে। 

খ্যাতি নয়, সংগীত সাধনাই ছিলো বারীণ মজুমদারের মূল লক্ষ্য। বড় হওয়ার পর ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় থিতু হন শিল্পী। সেই বাড়িতে নিজে যেমন গানের চর্চা করতেন, আবার বহু শিক্ষার্থীকে শেখাতেন। জানা যায়, প্রতিদিন ১০-১২ ঘণ্টা রেওয়াজ করতেন বারীণ মজুমদার। 

সংগীতে এই চর্চার অভ্যাস তার ছোট ছেলে বাপ্পা মজুমদারের মাঝেও চলে আসে। বাবার পথ ধরে তিনিও নিজেকে সংগীতে নিবেদন করেছেন এবং সাফল্য কুড়িয়েছেন। আধুনিক গানে ক্লাসিক্যালের অসামান্য মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাপ্পা অনবদ্য সব গান উপহার দিয়েছেন। যা তাকে সংগীত জগতে আলাদা অবস্থান গড়ে দিয়েছে। অন্যদিকে বড় ছেলে পার্থ মজুমদারও বাবার ছায়া ধরে কাজ করছেন সংগীত পরিচালক হিসেবে। 

১৯৬৫ সাল থেকে টেলিভিশনের বিশেষ শ্রেণির শিল্পী হিসেবে নিয়মিত রাগসংগীত পরিবেশন করতেন বারীণ মজুমদার। এছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিষয়ক পরীক্ষা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

সংগীতে অসামান্য ভূমিকা রাখায় বারীণ মজুমদারকে ১৯৮৩ সালে একুশে পদকে ভূষিত করে সরকার। এরপর ২০০২ সালে তাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা থেকে সম্মাননা-পুরস্কার পেয়েছিলেন গুণী এই ব্যক্তিত্ব।
 
বারীণ মজুমদার তার যোগ্য উত্তরসূরি রেখে গেছেন পৃথিবীতে। যারা শিল্প-সংস্কৃতিতে দ্যুতি ছড়িয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি তিনি নিজে যে পথ প্রসারিত করে গেছেন, সে পথের পথিক হয়েছেন অগণিত শিল্পী। সুরের এই ভুবনে তাই তাকে স্মরণে রাখবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম।

/কেআই/এমএম/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
প্রেম নাকি বিয়ে, মুখ খুললেন ইলিয়ানা
প্রেম নাকি বিয়ে, মুখ খুললেন ইলিয়ানা
এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
এফডিসিতে মারামারি: যৌথ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত, রাফীর সিনেমাটি প্রদর্শনের অযোগ্য!
সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত, রাফীর সিনেমাটি প্রদর্শনের অযোগ্য!