X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘সৌরভ গাঙ্গুলী প্রায়ই বলেন, তোমাদের দল অনেক উন্নতি করেছে’

রবিউল ইসলাম, বার্মিংহাম থেকে
০৩ জুলাই ২০১৯, ১৮:৪৩আপডেট : ০৩ জুলাই ২০১৯, ২০:১৭

ইংল্যান্ডের মাঠে পিয়া জান্নাতুল পিয়া জান্নাতুল। মডেলিংয়ে আন্তর্জাতিক পরিচিতি রয়েছে তার। সেই সূত্রে দেশের টিভি নাটক আর অনুষ্ঠান উপস্থাপনাতেও পাওয়া যায় তাকে। তবে এসব ছাপিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি নজরে এসেছেন চলমান ক্রিকেট বিশ্বকাপ আসরে সরাসরি যুক্ত হয়ে। ইংল্যান্ড থেকে প্রায় প্রতিটি ম্যাচের রিভিউ দিচ্ছেন মাঠে দাঁড়িয়ে জিটিভি-সহ দেশের বেশ কয়েকটি প্রচার মাধ্যমে। প্রতিটি ম্যাচ নিয়ে রোজ কথা বলছেন কিংবদন্তি বিশ্লেষক ও ক্রিকেটারদের সঙ্গে। বলে রাখা দরকার, বাংলাদেশ থেকে বিশ্বকাপ ক্রিকেট কাভার করতে এবারই প্রথম কোনও নারী উপস্থাপক গেলেন স্বদেশ ছেড়ে।
সেসব অনুভূতি, অভিজ্ঞতা আর নিজের ভূত-ভবিষ্যতের গল্পের ঝাঁপি খুলে বসলেন পিয়া জান্নাতুল। বার্মিংহাম শহরের এজবাস্টন মাঠে তখন (২ জুলাই) চলছিলো বাংলাদেশ-ভারত মধ্যকার হাইভোল্টেজ ম্যাচ। সেই ম্যাচের মধ্যবিরতিতে বাংলা ট্রিবিউন প্রতিনিধির সঙ্গে চলা গল্পের কিছু অংশ তুলে রাখা হলো—  
মাঠের বাইরে মডেলিংয়ে পিয়া জান্নাতুল বাংলা ট্রিবিউন: দুই মাস ধরে ইংল্যান্ডের এক শহর থেকে আরেক শহর ছুটে বেড়াচ্ছেন, কেমন লাগছে?
পিয়া জান্নাতুল: ভালোই! প্রায় প্রতিদিন যেহেতু এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যুতে যেতে হচ্ছে তাই ট্র্যাভেলের ওপর থাকতে হচ্ছে। এ কারণে হয়তো সেভাবে উপভোগ করতে পারিনি দেশটাকে। তবে মাঠে সময়টা খুব ভালো কাটছে।
বাংলা ট্রিবিউন: এ পর্যন্ত কোন শহরে গিয়ে সবচেয়ে ভালো লেগেছে?
পিয়া জান্নাতুল: সবচেয়ে ভালো লেগেছে ডারহাম ও সাউদাম্পটন। কী অসাধারণ শহর! ছবির মতো সাজানো। সাউদাম্পটনের রোজ বোল স্টেডিয়াম অসাধারণ। ওখানকার আবহাওয়াও চমৎকার। ছেলেমেয়ে সবাই দারুণ স্মার্ট। সাউদাম্পটনের চেয়ে ডারহাম শহরটা খুব ছোট। ছোট ছোট পুরনো সব বাড়ি, দেখতে অসাধারণ। পাহাড় ঘেরা শহর। সত্যিই অদ্ভুত সুন্দর এই শহরটি।
বাংলা ট্রিবিউন: মডেলিং কিংবা অভিনয় রেখে স্পোর্টস রিলেটেড উপস্থাপনা বেছে নেওয়ার কারণ কী?
পিয়া জান্নাতুল: স্পোর্টসে উপস্থাপনা করাটা বেশ আনন্দের, চ্যালেঞ্জও বটে। তবে আমি এখানে ক্যারিয়ার গড়বো এই চিন্তা করে আসিনি। ক্যারিয়ারের কথা ভাবলে, আইনজীবী কিংবা ব্যবসা নিয়ে মনোযোগী হতাম। দুটো অপশনই আমার ছিল এবং এখনও আছে। তবে আমি সব সময়ই প্রাধান্য দিয়েছি আমার ভালো লাগাকে।
বাংলা ট্রিবিউন: স্পোর্টস ঘরানায় আসার পেছনে বিশেষ কারও অবদান কিংবা অনুপ্রেরণা নিশ্চয়ই আছে?
পিয়া জান্নাতুল: অবশ্যই। আমান আশরাফ (গাজী টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক) ভাইয়ের কথা বলতেই হবে। উনি একদিন আমাকে বলছিলেন, আমরা প্রতিবছর কিছু হলেই বিদেশ থেকে মেয়েদের নিয়ে আসি। সেটা আন্তর্জাতিক হোক আর লোকাল কিছু হোক। তুমি নিজেকে প্রস্তুত করো। আমাদের এখানে কি স্মার্ট মেয়ে নেই? আমাদের কেন বাইরে থেকে মেয়ে নিয়ে আসতে হবে উপস্থাপনার জন্য?

তখন আমি ভাবলাম, সেই মেয়েটা আমি কেন নই! মনে হলো, ক্রিকেটের এই জায়গায় উপস্থাপক হিসেবে আমিও কাজ করতে পারি। খুব কম মানুষই পাওয়া যাবে, যারা পছন্দকে পেশা হিসেবে নিতে পারে। আমি ক্রিকেট পছন্দ করতাম, সেই পছন্দের জায়গাতেই কাজ করতে পারছি এখন।
আরেকজন মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ফটোগ্রাফার অপূর্ব। তিনিই আমাকে মিডিয়ায় কাজ করার প্রথম রাস্তাটা দেখান। মূলত এই দুজন মানুষের কাছে আমার অনেক ঋণ।
মাঠে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে কথা বলছেন পিয়া বাংলা ট্রিবিউন: সম্ভবত ২০১৭ সালের বিপিএল দিয়ে আপনার ক্রিকেটকেন্দ্রিক উপস্থাপনা শুরু হয়েছে।
পিয়া জান্নাতুল: হুম। ওই বছর আমাকে অফার করার পর অবশ্য শুরুতে মানা করে দিয়েছিলাম। কারণ, পারবো কিনা এই ভয়ে ছিলাম। ক্রিকেট নিয়ে উপস্থাপনা করাটা এতো সহজ নয়। অনেক রেকর্ড জানতে হয়, খেলোয়াড়দের প্রোফাইল মুখস্থ রাখতে হয়। সেসব চিন্তা করে মনে হয়েছিল পারবো না। তখন আমার হাসবেন্ড আমাকে সাহস দিয়েছে। তার অনুপ্রেরণায় এগিয়ে যাচ্ছি এখনও।
আমার একটা গুণ আছে, কোনও কিছুকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিলে সেটা ভালো করেই করি।
বাংলা ট্রিবিউন: ২০১৭ সাল থেকে ক্রিকেট ফলো করেন, নাকি তার আগে থেকে?
পিয়া জান্নাতুল: খেলাতো দেখি অনেক আগে থেকে। তবে উপস্থাপনা শুরুর পর থেকে পরিসংখ্যান নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছি নিয়মিত। কোন খেলোয়াড়ের কী অবস্থা, পুরনো পারফরম্যান্স কেমন ছিল, সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স কেমন—এসব নিয়ে এখন সময় কাটাতে হয়। উপস্থাপনা না করলে সাধারণ দর্শকদের মতো খেলাটা উপভোগ করতে পারতাম। এখন দেখার চোখটা অন্যরকম হতে হয়। খেয়াল রাখতে হয় কিছু মিস হয়ে গেলো না তো!
এজবাস্টনে পিয়া জান্নাতুল বাংলা ট্রিবিউন: প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে উপস্থাপনা করতে এসে মায়ান্তি ল্যাঙ্গার ও জয়নব আব্বাসের সঙ্গে কাজ করছেন। তাদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
পিয়া জান্নাতুল: মায়ান্তি ল্যাঙ্গার কিংবা জয়নব আব্বাস দুজনই খুব ভালো মানুষ। তাদের সঙ্গে সময়টা খুব ভালো কাটছে। দুইজনের উপস্থাপনা তুলনা করলে মায়ান্তি অসাধারণ। তার উপস্থাপনায় দারুণ কিছু ব্যাপার আছে। আমার মনে হয় সে এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা নারী উপস্থাপক।
বাংলা ট্রিবিউন: উপস্থাপক হিসেবে কাউকে ফলো করেন কি?
পিয়া জান্নাতুল: আমি সব সময় নিজের কাজের ওপর মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করি। মায়ান্তি কিংবা জয়নবের সঙ্গে চলাফেরা করছি এখন। কিন্তু তাদের কপি করতে চাই না। আমি সব সময় আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। কাউকে কপি করবো, এই ভাবনা কখনও ভাবি না। আমার যতখানি সামর্থ্য আছে, সেটাকে চর্চার মাধ্যমে উন্নতি করতে চাই।
ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে সৌরভ গাঙ্গুলীর সঙ্গে পিয়া বাংলা ট্রিবিউন: খুব কাছ থেকে বিভিন্ন ধারাভাষ্যকারের কথা শোনার সুযোগ হয়েছে এই টুর্নামেন্টে এসে। কার ধারাভাষ্য ভালো লেগেছে?
পিয়া জান্নাতুল: মাইকেল হোল্ডিংয়ের ধারাভাষ্য আমার খুব ভালো লাগে। উনি যখন কথা বলেন, কখনোই একঘেয়েমি লাগে না। আমি তার ধারাভাষ্য মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনি। তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হই। আমিও চাই তার মতো করে বলতে, যেন কারও বোরিং না লাগে। আমি চাই মানুষ যেন আমার উপস্থাপনা উপভোগ করতে পারেন। নেতিবাচক কিংবা ইতিবাচক যাই বলুক, তবুও যেন বলে। গল্পের মতো করে হোল্ডিং ব্যাখ্যা করেন। এটাই আসলে শ্রোতারা শুনতে চান। আমিও নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করছি।
বাংলা ট্রিবিউন: ক্রিকেট উপস্থাপনা করতে এসে ব্রিটেনে অনেক বাংলাদেশি, ভিনদেশি আপনার সঙ্গে ছবি-সেলফি তুলছে, দেশের বাইরে এসে তারকা খ্যাতি কতটা উপভোগ করছেন?
পিয়া জান্নাতুল: আমার কোনও অনুভূতি নেই। আমি কখনোই অ্যাটেনশন ফ্রিক ছিলাম না। মনে করেন, আমাকে কেউ  ভালো বললে আমি সুন্দর করে হাসি দেই। দ্যাটস ইট। এখানে হয়তো পাঁচশ জন বাংলাদেশি আমাকে চিনতে পেরেছে। তবুও খুব সাধারণের মতো আমিও তাদের পাশে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে খেলা দেখছি। অ্যাটেনশন নিজের দিকে টেনে আনার মানসিকতা আমার নেই।

গ্যালারিতে পিয়া জান্নাতুল বাংলা ট্রিবিউন: মডেলিং, অভিনয়, উপস্থাপনা—এই তিনটির মধ্যে একটিকে বেছে নিতে বললে কোনটিকে নেবেন?
পিয়া জান্নাতুল: এখন তো অলরাউন্ডার হওয়া ছাড়া উপায় নেই। আমি নিজেকে সাকিব আল হাসান ভাবি! ব্যাটে-বলে অসাধারণ এক অলরাউন্ডার সে (হাসি)। গোটা বিশ্ব তার দিকে তাকিয়ে থাকে।
নিজেকে সাকিব দাবি করে জাস্ট মজা করলাম। আমি আসলে তেমনই অলরাউন্ডার হতে চাই। এরমধ্যে অভিনয় অবশ্যই বেশি প্রিয় নয়। আমি কখনো সেভাবে অভিনয় করিনি। গল্প ভালো পেলে হয়তো করেছি। ক্রিকেটে উপস্থাপনা খুব নতুন আমার জন্য। আমার আসল জায়গা সব সময়ই মডেলিং। ফলে মডেলিং ঠিক রেখে অন্যগুলোও করার চেষ্টা করছি। কারণ, অলরাউন্ডার সাকিবকে আমি পছন্দ করি।  
বাংলা ট্রিবিউন: ক্রীড়াকেন্দ্রিক উপস্থাপনা নিয়ে নিজের কোনও আলাদা পরিকল্পনা আছে কি?
পিয়া জান্নাতুল: প্রথমবারের মতো আমি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আমাকে দেখে নতুন নতুন মেয়েরা যেন আসে। ক্রিকেট এমন একটা জায়গায় চলে গেছে, এটাকে পেশা হিসেবে নেওয়া যেতে পারে। এজন্য নিজের কিছু প্রস্তুতি জরুরি। আমি ব্যক্তিগতভাবে সবকিছু এমনভাবে উপস্থাপনা করতে চাই, যেন মানুষ লাইভ দেখার অনুভূতি পায়। আমার উপস্থাপনায় মানুষ যেন এন্টারটেইন হয়, একঘেয়ে যেন না হয়।
বাংলা ট্রিবিউন: বিশ্বকাপের প্রায় শেষের দিকে। এক মাঠ থেকে আরেক মাঠে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন, এই সময়টাতে সবচেয়ে কঠিন কাজ কোনটা মনে হয়েছে?

পিয়া জান্নাতুল: ম্যাচশেষে সব সময়ই আমাকে খেলোয়াড়দের ইন্টারভিউ নেওয়া লাগে। কিন্তু হেরে যাওয়া দলের খেলোয়াড়দের ইন্টারভিউ নেওয়ার সময় বেশি সতর্ক থাকতে হয়। কেননা, হেরে যাওয়া দলের খেলোয়াড়দের প্রশ্ন করার ব্যাপারে আমাকে সচেতন থাকতে হয়। এমন কোনও প্রশ্ন যেন না হয়, যেটাতে ওই খেলোয়াড় ব্যথিত কিংবা বিব্রত হয়। এই কাজটা আমার জন্য কঠিন লাগে।
বাংলা ট্রিবিউন: উপস্থাপনা করতে গিয়ে মজার কোনও অভিজ্ঞতা কিংবা স্মৃতি মনে পড়ে?
পিয়া জান্নাতুল: ব্যক্তিগত জীবনে আমি অনেক বেরসিক মানুষ! বেশিরভাগ সময়ই আমি সিঙ্গেল সময় কাটাই। আমার আশপাশে হয়তো মজার অনেক অভিজ্ঞতা ঘটে। কিন্তু আমি এটাকে নরমাল মনে করি। আসলে বুঝতে পারি না।

ডানে ব্রায়ান লারার সঙ্গে পিয়া বাংলা ট্রিবিউন: বিশ্বকাপের মতো একটি ইভেন্টে টিভি উপস্থাপক হিসেবে কাজ করছেন, এটাকে কীভাবে দেখছেন?
পিয়া জান্নাতুল: অবশ্যই, এটা আমার পোর্টফলিওতে অনেক ভ্যালু যোগ করবে। ভাবতে ভালো লাগছে, অনেক দিন পর অ্যাড করার মতো কিছু করতে পেরেছি। আমি সবসময় ভাবি, আমাকে এমন কিছু করতে হবে যেটা আমার পোর্টফলিওতে প্রভাব ফেলবে! শুধু টাকা কিংবা ফ্রেমের জন্য কাজ করি, তেমনটা নয়। কারণ, আমার কাছে সময়ের মূল্য অনেক বেশি। এই অর্জন কাজে লাগিয়ে কতখানি যেতে পারবো, সেটা তো ভবিষ্যতের ব্যাপার। অবশ্যই এটা আমার জন্য অনেক বড় অর্জন।

বাংলা ট্রিবিউন: ব্রায়ান লারাসহ অনেক সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটারের সঙ্গে দেখা হয়েছে, এই অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

পিয়া জান্নাতুল: সত্যিই আমার জন্য এটা গ্রেট অপরচুনিটি। ওয়াসিম আকরাম, সৌরভ গাঙ্গুলি, মাইকেল ক্লার্ক, ব্রায়ান লারা, ওয়াকার ইউনুসদের সঙ্গে বসে থাকছি। তাদের সঙ্গে কথা বলছি, কাজ করছি। ক্রিকেট ভক্তরা যাদের ব্যাপারে অন্ধ, তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারছি। এই বয়সে এটা আমার জন্য সৌভাগ্যের। সত্যি কথা বলতে, আমার জন্য গ্রেট অভিজ্ঞতা।
বাংলা ট্রিবিউন: বাংলাদেশ দল নিয়ে তাদের ধারণা কেমন?
পিয়া জান্নাতুল: ওরে বাবা! সবাই খুব প্রশংসা করছেন। বাংলাদেশ নিয়ে সবাই খুব ভালো ভালো কমেন্ট করেছেন। যদিও বাংলাদেশের কাছে তাদের সবার প্রত্যাশা বেশি ছিল। সৌরভ গাঙ্গুলী প্রায়ই বলেন, ‘তোমাদের দল তো অনেক উন্নতি করেছে।’
বাংলা ট্রিবিউন: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
পিয়া জান্নাতুল: আপনাকেও ধন্যবাদ। বাংলাদেশ থেকে আপনি এই ইভেন্ট কাভার করতে এসেছেন, এটাও অনেক বড় বিষয়।
এজবাস্টনে বাংলা ট্রিবিউন প্রতিবেদকের সঙ্গে পিয়া

/এমএম/এমওএফ/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
নায়কের জন্মদিনে নায়িকারা...
নায়কের জন্মদিনে নায়িকারা...
শাকিব খান: নির্মাতা-প্রযোজকদের ফাঁকা বুলি, ভক্তরাই রাখলো মান!
শাকিব খান: নির্মাতা-প্রযোজকদের ফাঁকা বুলি, ভক্তরাই রাখলো মান!
ঢাকার পর্দায় আবার গডজিলা-কিং কং
ঢাকার পর্দায় আবার গডজিলা-কিং কং
পুষ্পা: আসবে তৃতীয় কিস্তি!
পুষ্পা: আসবে তৃতীয় কিস্তি!