X
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১

ফেসবুকে ভিডিও ক্লিপ: বিনোদন ও বাণিজ্যের নতুন ট্রেন্ড

মাহমুদ মানজুর
০৬ জুলাই ২০১৯, ১৯:৪৭আপডেট : ০৭ জুলাই ২০১৯, ১৫:০৮

ফেসবুকে ভিডিও ক্লিপ: বিনোদন ও বাণিজ্যের নতুন ট্রেন্ড গেলো প্রায় পাঁচ বছর ইউটিউবে বুঁদ হয়ে ছিল এই বাংলার মানুষ। গান, নাটক আর চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বুঝি অর্থহীন অথৈ সমুদ্রে খুঁজে পেলো ইউটিউব নামের একটি লাইফ গার্ড। তীরে ফেরা নয়, বরং মৎস্য শিকার করে আনন্দেই দিন কাটছিল সংশ্লিষ্টদের। এক কথায় ইউটিউবকে ঘিরে দেশের মৃতপ্রায় গান-নাটক-চলচ্চিত্র শিল্প ফের দম পেয়েছে। ইউটিউব চ্যানেল ঘিরে পুরনো প্রতিষ্ঠানগুলো জেগে উঠেছে, গড়ে উঠেছে অসংখ্য নতুন প্রতিষ্ঠান, লগ্নি হয়েছে হাজার কোটি টাকা।
অন্যদিকে শ্রোতা-দর্শকরাও হাতের মুঠোয় বসে ভালোই উপভোগ করছিলেন ইউটিউবভিত্তিক বিনোদন শিল্প। সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে এখনও।
তবে অতিসম্প্রতি এর সঙ্গে যুক্ত হলো বিশ্বের প্রধান সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকের ‘ভিডিও অন ওয়াচ’ নামের নতুন অপশন। যার দাপট সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে অন্তর্জাল দুনিয়ায়। তাই নয়, ফেসবুকের এই ‘ভিডিও ক্লিপ’ জোয়ারে গা ভাসাচ্ছেন দেশের সিংহভাগ শিল্পী-প্রযোজক-নির্মাতা এবং দর্শক। দর্শকরা বিষয়টিকে দেখছেন বিনোদনের বাড়তি মাত্রা হিসেবে। অন্যদিকে কনটেন্ট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটা হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য নতুন একটি মাধ্যম। তাদের তুলনা এমন, ‘ইউটিউব ছিল মৃত ইন্ডাস্ট্রির জন্য লাইফ সাপোর্টের মতো। আর ফেসবুক হলো স্বাভাবিক জীবনে ফেরার একটি রাস্তা। এখন দেখার বিষয়, সেটির সদ্ব্যবহার আমরা কে কীভাবে করতে পারি।’
পারছি, আবার না। কারণ, ফেসবুকের ভিডিও ক্লিপ ট্রেন্ডের মাধ্যমে মূলত ‘চটুল’ বিষয় উঠে আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত কয়েকটি ভিডিওর ক্যাপশন দেখলেই যেটি স্পষ্ট হওয়া যাবে। ‘গার্লফ্রেন্ডকে থাপ্পড় মারার জ্বালাটা কী হতে পারে দেখুন?’, ‘মুরগি চোর ধরা খেয়ে কী বলে দেখুন’, ‘কী মেয়েরে বাবা! পুলিশ নিয়ে বয়ফ্রেন্ড এর বাড়িতে হাজির!’, ‘পাশের বাসার ভাবী যখন ex-gf হয়!’, ‘আবাসিক হোটেল’, ‘গুলশানে যেভাবে ছেলে ভাড়া করে মেয়েরা’ ইত্যাদি। দেশের নাটক-চলচ্চিত্র থেকে কেটে নেওয়া ফেসবুকে এমন চটুল শিরোনামের ভিডিওর সংখ্যা প্রায় ৬০ ভাগ! বাকি ৪০ ভাগে রয়েছে কমেডি ও সামাজিক নানা ঘটনার চিত্র। রয়েছে মিউজিক ভিডিওর চুম্বক অংশও।
ভাইরাল হচ্ছে এসব ভিডিও ক্লিপ-ও:

তবে এসবের ভিড়েও নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘বড় ছেলে’ নাটকের একটি আবেগী ক্লিপ ব্যাপক ভাইরাল হয় ফেসবুকে। এটি প্রকাশ হয় সিডি চয়েস-এর পেজে। এটি ছিল ফেসবুক ভিডিও অপশনের প্রথম দিককার ক্লিপ। যদিও আবেগের সেই জায়গাটা এখন আর নেই। কারণ, বেশিরভাগ কনটেন্ট প্রোভাইডাররা এখন ছুটছে সস্তা জনপ্রিয়তা আর সহজে টাকা আয়ের পথে।
এ প্রসঙ্গে নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ান বলেন, ‘প্রথমত এটাকে আমি মনে করি মূল কনটেন্টের (নাটক বা সিনেমা) প্রমোশন অপশন হিসেবে। পজেটিভ যে কোনও প্রমোশনই ভালো। খুব সুন্দর একটা ক্লিপ তুলে এনে দর্শকদের মধ্যে কাজটি সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি করাই এর মূল কাজ। কিন্তু এটার নামে যদি বাজে ক্যাপশন দিয়ে ক্লিপ প্রকাশ করা হয়, অথবা একটা ভালো কাজের ছোট্ট একটি অংশ তুলে দিয়ে ভিন্ন বার্তা দেওয়ার চেষ্টা হয়−তাহলে তো বিষয়টি মাঠে মারা যাওয়ার অবস্থা। এর দায় তখন নির্মাতার ওপরে এসে পড়ে। অথচ এসব কাজের বেশিরভাগই হয় প্রযোজকদের পক্ষ থেকে।’
আরও বলেন, ‘‘যেমন আমার ‘বড় ছেলে’ নাটকের একটি অংশ ফেসবুকে প্রকাশের পর সেটি ভাইরাল হয়। যার মাধ্যমে আমাদের মূল নাটকটিতেও দর্শক সমাগম বাড়ে। এটা আমার নিজের চোখে দেখা। আমি আশা করবো ফেসবুকের এই ভিডিও অপশনটাকে আমরা যেন পজেটিভলি কাজে লাগাই। সবচেয়ে বড় কথা এই ছোট ছোট সুন্দর সুন্দর ক্লিপ দিয়ে যদি টাকা পাওয়া যায়, তাহলে তো আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্যই ভালো। ফলে এটাকে সস্তা জনপ্রিয়তার লোভে উল্টাপাল্টা ক্যাপশন দিয়ে নষ্ট করা ঠিক হবে না। কষ্টের বিষয়, সেটাই বেশি হচ্ছে এখন।’’
‘বড় ছেলে’ নাটকের যে দৃশ্য দেখে অনেকেই কেঁদেছিল:

কণ্ঠশিল্পী ও প্রযোজক ধ্রুব গুহ এ প্রসঙ্গে নিজের একটা ঘটনা উল্লেখ করেন। বলেন, ‘মাস ছয়েক আগে মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে হঠাৎ চোখের সামনে ভেসে উঠলো অসংখ্য ভিডিও ফুটেজ! প্রথমে দেখে ঘাবড়ে গেলাম। ভাবলাম, এসব আবার কী? স্ক্রল করে দেখলাম দেশ-বিদেশের অসংখ্য ভিডিও ক্লিপ এখানে ভেসে বেড়াচ্ছে। যার মধ্যে চটুল বা মজার ভিডিওর সংখ্যাই বেশি। তখনও আমি জানতাম না, ফেসবুক ভিডিও প্রকাশের এই অপশনটি ক্রিয়েট করেছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানলাম, ফেসবুক এখন ভিডিওতেও নজর দিয়েছে। এখন আমার প্রতিষ্ঠানও নিয়মিত এই অপশনে ভিডিও প্রকাশ হয়। তবে সেগুলো মোটেই চটুল কিছু নয়।’
তিনি বলেন, ‘এই অপশনটি সবার জন্যই মঙ্গল। তবে সেটির সদ্ব্যবহারটা খুব জরুরি। বাড়তি হিটের জন্য, টাকার লোভে আমরা যেন কুরুচিপূর্ণ কিছু না করি, সে দিকটায় দেখা দরকার। কারণ, ফেসবুক তো এখন প্রতিটি মানুষের হাতে হাতে।’
ফেসবুক নিয়ে নিয়মিত কাজ করেন অন্তর্জাল বিশেষজ্ঞ কামাল হোসেন রনি। তিনি জানান, ফেসবুক তাদের ভিডিও অপশনটি শুরু করেছে প্রায় দুই বছর হলো। অনেক যাচাই-বাছাই শেষে সেটি বাণিজ্যিকভাবে প্রকাশ পেয়েছে মাস ছয়েক হলো। মানে মনিটাইজেশন করা পেজ থেকে ভিডিও প্রকাশ হলে তার ভিউ অনুপাতে অর্থ দেবে ফেসবুক। সে অর্থের পরিমাণ নির্ভর করে অনেক কিছুর ওপর। বিশেষ করে এর ভিউ, ডিউরেশন, বিজ্ঞাপন প্রাপ্তি ইত্যাদি। তবে ফেসবুক মূলত উৎসাহ দেয় তিন থেকে চার মিনিটের ভিডিওগুলোকে। তিন মিনিটের কম ব্যাপ্তির ভিডিও হলে কোনও অর্থ দেবে না ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে পাঁচ মিনিটের বেশি ব্যাপ্তির ভিডিও’র প্রতিও অনাগ্রহ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
কলকাতার একটি ছবির ক্লিপ:

রনি বলেন, ‘আমার অভিজ্ঞতা বলে ফেসবুক চায় শত ব্যস্ততার মাঝে মানুষকে রিচার্জ করতে। সে ভাবনা থেকেই এই ভিডিও ক্লিপ অপশনটি চালু করা। ভিডিওর ধরন ও সাইজ দেখলে সেটাই বোঝা যায়। তবে এটাও সত্যি, আমাদের ফিল্ম, ড্রামা ও অডিও ইন্ডাস্ট্রির জন্য এই ভিডিও অপশনটি আশীর্বাদের মতোই। কারণ, এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টরা অর্থনৈতিক সুবিধা পাচ্ছেন। এবং সেটার পরিমাণ বেশ স্মার্ট। সম্ভবত সে কারণেই দেশের প্রায় সব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান তো বটেই, শিল্পীদের অনেকেই এখন ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই ভিডিও ক্লিপগুলো নিয়মিত প্রকাশ করছেন ফেসবুক পেজে। এতে করে সহজে প্রচারণাও হচ্ছে, জনপ্রিয়তাও পাচ্ছেন, সঙ্গে টাকা! খারাপ কী?’
এদিকে ‘ফেসবুকে ভিডিও আপ করলেই প্রচুর ডলার আসে’ এমন হুজুগে অসংখ্য সাধারণ মানুষও বিভিন্ন নাটক-সিনেমা-গানের বিশেষ অংশ কেটে প্রকাশ করছেন ফেসবুকে। যার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তাদের প্রতি দেশের অন্যতম প্রযোজনা-পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান সিএমভি মিউজিকের আইটি এক্সপার্ট সালেহীন খান শাওন বললেন, ‘এসব কাজ যারা আগে ইউটিউবে করেছে, এখন তারাই সেটা ফেসবুকে করার চেষ্টা করছে। যা তারা ভুল করছে। কারণ, ইউটিউবের চেয়ে ফেসবুক এখন এ বিষয়ে বেশি কঠোর। আমার কোনও ভিডিও কিংবা ভিডিওর অংশ যদি অন্য কেউ প্রকাশ করে, তার বিরুদ্ধে আমি ক্লেইম দিলে তার পেজ-ও ডিজেবল হয়ে যেতে পারে, অথবা ভিডিওটি ব্লক করে দেওয়া হবে। কারণ এটার সঙ্গে কপিরাইট ও অর্থ জড়িত।’
নাটক ‘আবাসিক হোটেল’:

তিন থেকে চার মিনিট ব্যাপ্তির এই ভিডিও ক্লিপগুলো গত তিন-চার মাস ধরে নিয়মিত প্রকাশ করছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া, সিএমভি, সিডি চয়েস, ঈগল মিউজিক, ধ্রুব মিউজিক স্টেশন, গানচিল, অনুপম রেকর্ডিং, লেজার ভিশন, জি সিরিজসহ দেশের প্রায় সব টিভি চ্যানেল। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গড়ে প্রতিদিন প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ১০ থেকে ১৫টি করে ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করছে, যার বেশিরভাগই পুরনো দিনের সিনেমা ও নতুন নাটক থেকে নেওয়া। রয়েছে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের সংবাদ ক্লিপও।
ফেসবুকের এই ভিডিও ক্লিপ ট্রেন্ড নিয়ে বিরক্ত দেশের অনেক তারকা শিল্পী। বিশেষ করে চলমান ক্রিকেট বিশ্বকাপ উপলক্ষে সম্প্রতি ফেসবুকে ভালোই ভাইরাল হয়েছে শাকিব খান ও জয়া আহসানের সিনেমা ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনি-২’-এর একটি ক্লিপ। যে ক্লিপটি শাকিব খান ও জয়া আহসানের রাজকীয় ক্যারিয়ারের জন্য বড় একটি দাগ হয়ে ধরা দিলো। এমন আরও অনেক তারকারই ভিডিও ক্লিপ রয়েছে, যা তাদের জন্য অস্বস্তিকর।
শাকিব-জয়া আহসানের একটি ভাইরাল ক্লিপ:

তবে ফেসবুকের এই ভিডিও ট্রেন্ড নিয়ে বেশ পজেটিভ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। তিনি বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশেই নয়, এই ট্রেন্ডটা সারা দুনিয়ায় চলছে এখন। বিশ্বের নামকরা যে সিরিজগুলো হয়, সেগুলোর ক্লিপ আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতেই পাই। আগ্রহ নিয়ে দেখি। কারণ, সিরিজটি তো দেখতে পারছি না। এটা আসলে পজেটিভ। শুধু প্রচারের হিসেব করলেও বিষয়টা খুবই ভালো। যেমন ধরুন, হয়তো আমার একটা নাটক অনেকেই দেখেনি। সেই নাটকের একটি ক্লিপ ফেসবুকে প্রকাশ হলো। সেটি দেখে পুরো নাটকটি দেখার আগ্রহ পেল। একজন অভিনেত্রী হিসেবে এটাকে আমি পজেটিভলি দেখি। কিন্তু নেগেটিভ তো একটু আছেই। সেটা থাকবেই। সেটি নিয়ে আমি আসলে বদার্ড না।’
চুরি বিদ্যা মহা বিদ্যা যদি না পড় ধরা:

এদিকে ফেসবুকের এই ভিডিও অপশনটিকে খানিক ভিন্ন চোখে দেখছেন মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এমআইবি) মহাসচিব ও সিএমভি’র কর্ণধার এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু। তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা ফেসবুক চেয়েছে ইউটিউবের অলটারনেটিভ কিছু করতে। ধরুন, ফেসবুকে আমরা আড়াই ঘণ্টার সিনেমা, এক ঘণ্টার নাটক আর ৫-১০ মিনিটের মিউজিক ভিডিও ছাড়তে অভ্যস্ত। সেই পরিস্থিতি থেকে ফেসবুক আমাদের নিয়ে এলো একেবারে স্বল্পদৈর্ঘ্যে। মানে ফেসবুক চেয়েছে ছোট দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র অথবা তথ্যচিত্র তৈরি ও প্রকাশে উৎসাহ তৈরি করা। যদিও সেদিকে না গিয়ে আমরা পুরনো নাটক আর সিনেমাগুলোকেই কাটছি। তাই আমার পরিকল্পনা আছে ফেসবুকের জন্য ছোট ছোট চলচ্চিত্র নির্মাণ করার। সেভাবেই কাজ করছি এখন।’
তবে ফেসবুকে প্রকাশিত এই পুরনো নাটক-সিনেমার ভিডিও ক্লিপগুলো বিক্রি করে কেমন আয় হচ্ছে মাসে অথবা রোজ, সে বিষয়ে কেউই স্পষ্ট কোনও তথ্য দিতে পারেননি কিংবা দিতে চাননি। প্রায় প্রত্যেকেই বলেছেন, ইনভেস্ট অনুপাতে আয়ের পরিমাণ অনেক ভালো। কারণ, পুরনো নাটক-সিনেমা টুকরো টুকরো করে প্রতিটি ক্লিপ আলাদা প্রকাশ করে যে অর্থ মিলবে, সেই ভাবনাই তো ভাবেনি কখনও কেউ!
হুমায়ূন আহমেদ-এর  ধারাবাহিক ‘বহুব্রীহি’: 

/এমএম/এমএমজে/
সম্পর্কিত
গার্মেন্টসকর্মীদের জীবনের গল্প ‘ঈদের ছুটি’!
গার্মেন্টসকর্মীদের জীবনের গল্প ‘ঈদের ছুটি’!
গানের নাম ‘টাকা দ্য পা পা পা’! (ভিডিও)
গানের নাম ‘টাকা দ্য পা পা পা’! (ভিডিও)
গানচিত্র নির্মাণে সিনেমার প্রযোজক!
গানচিত্র নির্মাণে সিনেমার প্রযোজক!
ঢাকার গীতিকবিতায় ফের বলিউডের অন্বেষা
ঢাকার গীতিকবিতায় ফের বলিউডের অন্বেষা
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
কানের সমান্তরাল তিন বিভাগে কোন কোন দেশের ছবি
কান উৎসব ২০২৪কানের সমান্তরাল তিন বিভাগে কোন কোন দেশের ছবি
চীনে মুক্তি, নতুন ইতিহাস গড়বে ‘টুয়েলভথ ফেল’?
চীনে মুক্তি, নতুন ইতিহাস গড়বে ‘টুয়েলভথ ফেল’?
রেকর্ড স্টোর ডে: এবারও বিশেষ আয়োজন
রেকর্ড স্টোর ডে: এবারও বিশেষ আয়োজন
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন: কোন পদে লড়ছেন কে
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন: কোন পদে লড়ছেন কে
রাজকুমার: ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ এক বিয়োগান্তক ছবি
সিনেমা সমালোচনারাজকুমার: ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ এক বিয়োগান্তক ছবি