দু’পাশে প্রতিভায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় যথাক্রমে কম্পিউটার ও ক্যালকুলেটর, মাঝে লাল শাড়িতে প্রথম হওয়ার গর্ব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন বিদ্যা বালান। চুলগুলো ছোট।
‘শকুন্তলা দেবী- হিউম্যান কম্পিউটার’ নামের একটি ছবির প্রথম পোস্টারে এভাবেই হাজির হয়েছেন তিনি। গণিতের জিনিয়াস শকুন্তলা দেবীর বায়োপিক এটি। এতে নাম ভূমিকায় দেখা যাবে ৪০ বছর বয়সী এই তারকাকে।
‘শকুন্তলা দেবী- হিউম্যান কম্পিউটার’ ছবির টিজারে বিদ্যার চরিত্রটিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে এভাবে– ক্ষুরধার, দাম্ভিক, অদ্ভুত, নিষ্করুণ, মজার, স্পষ্টবাদী ও জিনিয়াস।
বলিউডের বাণিজ্য বিশ্লেষক তরণ আদর্শ টুইটারে জানান, অনু মেননের পরিচালনায় লন্ডনে ছবিটির শুটিং শুরু হয়েছে। সনি পিকচার্স নেটওয়ার্কস প্রোডাকশন্সের প্রযোজনায় ২০২০ সালে মুক্তি পাবে এটি।
ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বিদ্যা বলেছেন, ‘বড় পর্দায় কিংবদন্তি শকুন্তলা দেবীর চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে আমি অনেক উচ্ছ্বসিত। স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য, নারীবাদী কণ্ঠস্বর ও সাহসিকতার মাধ্যমে সাফল্যের শিখরে পৌঁছান তিনি। সাধারণত মজার মানুষদের গণিতে যুক্ত করা যায় না। কিন্তু শকুন্তলা দেবী ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি এই ধারণা পুরোপুরি বদলে দিয়েছেন।’
ভারতের সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ক নারীদের একজন ভাবা হয় শকুন্তলা দেবীকে। ছোট শহরে বেড়ে উঠে একসময় গণিতের জাদুকরে পরিণত হন তিনি। সময়ের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন এই অসাধারণ নারী। আনুষ্ঠানিক কোনও শিক্ষা না নিলেও কম বয়স থেকেই যেকোনও সংখ্যা দ্রুত গণনার প্রতিভা ছিল তার। গণিতে দক্ষতার সুবাদে ১৯৮২ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নেন তিনি। কঠিন গাণিতিক সমস্যার সহজ সমাধানে তার সামর্থ্য ছিল অতুলনীয়। পাঁচ বছর বয়সে তার এই প্রতিভা আবিষ্কার হয়। তখন ১৮ বছরের এক ছাত্রের গণিতের সমাধান করেন দেন তিনি।
গণিতের বাইরে জ্যোতিষি, রন্ধন বিষয়ক গ্রন্থের লেখক ও সাহিত্যিক হিসেবে পরিচিতি ছিল শকুন্তলা দেবীর। গাণিতিক ধারণা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন তিনি। কলেজ, মঞ্চ, রেডিও, টেলিভিশনে তার উপস্থিতি ছিল ব্যাপক।
বিদ্যাকে সবশেষ ‘মিশন মঙ্গল’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় দেখা গেছে। ইতোমধ্যে এটি শুধু ভারতেই ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। এখনও বক্স অফিস মাতাচ্ছে ছবিটি। এতে আরও আছেন অক্ষয় কুমার, তাপসী পান্নু, সোনাক্ষী সিনহা, কীর্তি কুলহারি ও নিত্য মেনন। এতে ভারতের মঙ্গল অভিযানের গল্প বলা হয়েছে যা নারী বিজ্ঞানীদের একটি দলের অর্জন।
She was extraordinary, in every sense of the word! Know the story of the child prodigy & the human computer, #ShakuntalaDevi @sonypicsprodns @Abundantia_Ent @anumenon1805 @vikramix @SnehaRajani pic.twitter.com/P2PAqPp5Tt
— vidya balan (@vidya_balan) September 16, 2019
সূত্র: বলিউড হাঙ্গামা