সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জোসেফ স্তালিন। তাকে নিয়ে ‘স্তালিন’ নামে ঢাকার মঞ্চে নাটক নিয়ে আসেন নির্দেশক কামালউদ্দিন নীলু।
ডার্ক-হিউমার যোগে নাটকে তার কর্তৃত্ববাদী চরিত্র তুলে ধরা হয়। গত ১০ জুন হয় নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন। এরপর ১১-১২ জুন এর আরও দুটি প্রদর্শনী হয়। দ্বিতীয় প্রদর্শনীর পর নাটকটিকে ঘিরে আপত্তি তুলে বাংলাদেশের স্তালিন ভক্ত বেশ কয়েকজন বামপন্থি নেতাকর্মী। এর পর থেকে থেমে থেমে আরও চারটি প্রদর্শনী হয়েছে।
আগামী মাসে আবারও মঞ্চে আসছে নাটকটি। আগামী ১৩ ও ১৪ নভেম্বর বেইলী রোডের মহিলা সমিতি মিলনায়তনে এর প্রদর্শনী হবে। এটি বাংলা ট্রিবিউন নিশ্চিত করেছেন নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতা মো. শাহাদত হোসেন।
তিনি বলেন, ‘প্রথমদিকে যে বিতর্ক হয়েছে, তা এখন অনেকের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। সমালোচকরা মোটাদাগে এটি দেখে সমালোচনা করেছিলেন। এখন তারাও সেটি বুঝতে পেরেছেন বলে আশা করি। এছাড়া গত শোতে দেশের অনেক বরেণ্য ব্যক্তিত্বরা এসেছেন। তার খুব প্রশংসাও করেছেন নাটকটি নিয়ে। এতে আমরা মূলত সেসময়ের বাস্তবতা তুলে ধরেছি। যা এখনও বিদ্যমান।’
নাটকটির কেন্দ্রীয় চরিত্র ১৯২২ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জোসেফ স্তালিন। যেখানে ক্ষমতাধর ব্যক্তিটিকে ঘিরে থাকা নানা চাটুকারিতার নজির তুলে ধরা হয়।
নাটকটি প্রসঙ্গে নির্দেশক কামালউদ্দিন নীল জানান, স্তালিন একজন গণনায়ক ও কর্তৃত্ববাদী শাসক। পাশাপাশি তিনি এমন এক বিশাল ছায়া, যা তার মৃত্যুর পরও দুনিয়াকে আবিষ্ট করতে পারে। ছিল কিছু বাস্তবতাও। সেগুলোই নাটকে থাকছে।
পৌনে তিন ঘণ্টার নাটকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শাহাদাত হোসেন। আরও আছেন সাবিনা সুলতানা, রায়হান আখতার, এ কে আজাদ, মোহাম্মদ রাফী সুমন, শাওন কুমার দে, শিপ্রা দাস, শান্তনু চৌধুরী, সুব্রত প্রসাদ বর্মণ, মর্জিনা মুনা, মেজবাউল করিম, চিন্ময়ী গুপ্তা, কাবেরী জান্নাত প্রমুখ।