আঠারোতে পা রেখেছেন গত মাসে (ডিসেম্বর, ২০১৯)। এরই মধ্যে বিশ্বসংগীতের সেনসেশনে পরিণত হয়েছেন আমেরিকান অল্টারনেটিভ পপ তারকা বিলি আইলিশ।
এবার জেমস বন্ডের ২৫তম ছবি ‘নো টাইম টু ডাই’র টাইটেল সং (শিরোনাম গান) গাইলেন তিনি। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ সংগীতশিল্পী হিসেবে এর থিম সং তৈরি করেছেন ও গেয়েছেন এই কিশোরী।
নতুন কাজটিকে বিরাট সম্মানের হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিলি আইলিশ। তার কথায়, ‘গানটির অংশ হতে পারা সবদিক দিয়েই উচ্ছ্বাসের ব্যাপার। এমন একটি সিরিজের একটি ছবির থিম সং গাওয়া অনেক সম্মানজনক। জেমস বন্ড চিরকালই দুর্দান্ত একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। এখনও আমার ঘোর কাটেনি!’
সিরিজের সবশেষ দুই কিস্তির মধ্যে ‘স্কাইফল’ (২০১২) ছবির টাইটেল সং গেয়ে অস্কার, গ্র্যামি ও গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডস জেতেন ব্রিটিশ গায়িকা অ্যাডেল। এরপর ‘স্পেক্টর’ ছবিতে ব্রিটিশ গায়ক স্যাম স্মিথের গাওয়া ‘রাইটিংস অন দ্য ওয়াল’ ২০১৬ সালে অস্কার জিতে নেয়।
বন্ড থিম সংয়ে কাজ করেছেন বিখ্যাত আরও কয়েকজন সংগীতশিল্পী। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্যার পল ম্যাককার্টনি, শার্লি ব্যাসি, ম্যাডোনা ও ডুরান ডুরান ব্যান্ড। এবার তাদের নামের পাশে যুক্ত হলো বিলি আইলিশের নাম। তবে নতুন গানটির শিরোনাম জানানো হয়নি এখনও।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে জেমস বন্ড নামের অ্যাকাউন্টে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে জানানো হয়েছে, বিলি আইলিশ তার ভাই ফিনিয়াস ও’কনেলকে নিয়ে গানটি লিখেছেন এবং এর সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন।
The #NoTimeToDie title song will be performed by @billieeilish. Billie has written the song with her brother @finneas and is the youngest artist in history to write and record a James Bond theme song. pic.twitter.com/Qd5cYIRlmg
— James Bond (@007) January 14, 2020
ফিনিয়াস বলেন, ‘‘বন্ড ছবির থিম সং তৈরি করা আমাদের জীবনজুড়ে দেখা স্বপ্নের মতো। ‘গোল্ডফিঙ্গার’ ও ‘লিভ অ্যান্ড লেট ডাই’র মতো সংগীত ও চলচ্চিত্রের বন্ধন খুব কমই পাওয়া গেছে। এমন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে ছোট একটি কাজ করতে পেরে আমরা ধন্য। জিরো জিরো সেভেন জিন্দাবাদ!’’
বিলি আইলিশের গায়কীকে অসাধারণ শক্তিশালী ও মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো বলে মন্তব্য করেছেন ছবির দুই প্রযোজক মাইকেল জি. উইলসন ও বারবারা ব্রকোলি। তারা মনে করেন, ছবিটির আবেগঘন গল্পের ভেতর অনবদ্যভাবে মিশে গেছে গানটি।
‘নো টাইম টু ডাই’র পরিচালক ক্যারি জোজি ফুকুনাগার ভাষ্য, ‘বিলি ও ফিনিয়াসের ভক্ত আমি। তাদের সৃজনশীল পরিপূর্ণতা ও প্রতিভা অতুলনীয়। তারা নতুন কী গান করেছেন তা শ্রোতাদের শোনাতে মুখিয়ে আছি। এতে নতুন প্রজন্মের জন্য প্রতিধ্বনিত হবে একটি নতুন কণ্ঠ।’
বন্ডের নতুন ছবির প্রিমিয়ার যখন হয়, সাধারণত সেই মাসে প্রকাশ্যে আসে থিম সং। ‘নো টাইম টু ডাই’ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে এ বছরের ৩ এপ্রিল। এটাই জেমস বন্ড চরিত্রে ড্যানিয়েল ক্রেগের পঞ্চম ও শেষ ছবি। গল্পে অপহৃত একজন বিজ্ঞানীকে উদ্ধার করতে গিয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ রহস্যময় ভিলেনের মুখোমুখি হবে জেমস বন্ড। তার নতুন শত্রু সাফিন চরিত্রে আছেন অস্কারজয়ী রামি মালেক। নতুন জিরো জিরো সেভেন হিসেবে থাকছেন লাশানা লিঞ্চ। মেট্রো-গোল্ডওয়াইন-মেয়ার ও ইওএন প্রোডাকশন্স প্রযোজিত ছবিটির পরিবেশনা করবে ইউনিভার্সাল পিকচার্স।
গত বছর প্রকাশিত হয় বিলি আইলিশের প্রথম অ্যালবাম ‘হোয়েন উই অল ফল অ্যাস্লিপ, হোয়্যার ডুউই গো?’ এর ‘ব্যাড গাই’, ‘অল দ্য গুড গার্লস গো টু হেল’ গান দুটি গোটা দুনিয়ায় সাড়া জাগিয়েছে। এবারের গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসে বর্ষসেরা অ্যালবাম ও সেরা নবীন শিল্পীসহ ছয়টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। লস অ্যাঞ্জেলেসে নিজেদের বাড়ির ছোট্ট একটি কক্ষে ভাইবোন মিলে অ্যালবামটির বেশিরভাগ গান তৈরি করেছেন।
জেমস বন্ড ছবির থিম সংয়ের কণ্ঠশিল্পীদের মধ্যে এতদিন সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন স্কটিশ গায়িকা শিনা ইস্টন। ১৯৮১ সালে ‘ফর ইউর আইজ অনলি’ রেকর্ডিংয়ের সময় তার বয়স ছিল ২২ বছর।
সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি
আরও পড়ুন-
অন্তর্জালে নতুন জেমস বন্ড ছবির প্রথম ট্রেলার
জেমস বন্ডের মরার সময় নেই!
২০ সালের প্রতীক্ষিত ২০ চলচ্চিত্র
বিশ্বসংগীত: নজর থাকবে যাদের ওপর