সাধারণত শুটিংয়ের শুরুতে মহরত বা শুভযাত্রা অনুষ্ঠান দিয়ে কাজে হাত দেন চলচ্চিত্র নির্মাতারা। আর শুটিং শেষ বা এর খবরাখবর অনেকটা অগোচরেই থেকে যায়।
ব্যতিক্রম দেখা গেল পুলিশ অ্যাকশন থ্রিলার সিনেমা ‘মিশন এক্সট্রিম’ টিমের ক্ষেত্রে। গত বছর সম্পন্ন হয়েছে আলোচিত এ ছবির প্রথম পর্বের শুটিং।
সেটি মুক্তির আগেই গতকাল ১৯ জানুয়ারি রাতে শেষ হলো সানী সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদ পরিচালিত চলচ্চিত্রটির সিক্যুয়েলের শুটিং।
আর তাই এ উপলক্ষে গতকাল সন্ধ্যায় বিএফডিসির ৭নং ফ্লোরে টিম সদস্যদের নিয়ে ‘ক্যামেরা ক্লোজিং অনুষ্ঠান’ আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘কাট, শুটিং প্যাক আপ’ বলে ক্যামেরা ক্লোজ করেন পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সিটিটিসির প্রধান মনিরুল ইসলাম।
সিনেমার অন্যতম পরিচালক, কাহিনিকার এবং প্রযোজক সানী সানোয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আরিফিন শুভ, জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী, সাদিয়া নাবিলা, সুমিত সেনগুপ্ত, মাজনুন মিজান, এহসান রহমান, দীপু ইমামসহ পুরো সিনেমাটি পুরো টিম।
অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যে শুভ বললেন, ‘‘মিশন এক্সট্রিম নিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের এই পরিশ্রম এবং ত্যাগ তখনই সার্থক হবে যখন দর্শকরা এটি পছন্দ করবেন।’’
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী বলেন, ‘এত বড় স্কেলের একটি সিনেমার মাধ্যমে আমার অভিনয় ক্যারিয়ার জীবন শুরুর সুযোগ সৃষ্টির জন্য সানী ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
অপর পরিচালক ফয়সাল আহমেদের ভাষ্য, ‘এবার ডাবিং, এডিটিং যুদ্ধে জয়ী হবার পালা। তবেই আমরা নিজেরা সিনেমাটি যেভাবে দেখেছি সেভাবে দর্শকদের দেখাতে পারবো।’
সানী সানোয়ার সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জানান, খুব শিগগিরই দুই পর্বের ডাবিংই শুরু হচ্ছে। প্রথম পর্ব মুক্তি পাবে রোজার ঈদে এবং সে উদ্দেশ্যে ফেব্রুয়ারি থেকে প্রথম পর্বের পুরোদমে প্রমোশনের কাজ শুরু হবে।
কপ ক্রিয়েশনের ব্যানারে নির্মিত বাংলাদেশের দ্বিতীয় পুলিশ অ্যাকশন থ্রিলার ‘মিশন এক্সট্রিম’। ক্রাইম, থ্রিল, সাসপেন্স এবং অ্যাকশন নির্ভর একটি মৌলিক গল্পের ওপর ভিত্তি করে সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে।
‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমাটি পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তথা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ‘সিটিটিসি’র কিছু শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।