X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

আজ নাট্যজন মামুনুর রশীদের ১৮তম জন্মদিন!

বিনোদন রিপোর্ট
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০১আপডেট : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:১১

মামুনুর রশীদ মামুনুর রশীদ। ১৯৪৮ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি অধিবর্ষে জন্ম এই নাট্যজনের। তাই চার বছর পর পর আসে জন্মদিনটি।
বয়স ৭২ হলেও এবার তাকে ঘিরে চলছে ১৮তম জন্মোৎসব!  
নিজের জন্মদিন প্রসঙ্গে এই অভিনেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চার বছর পর পর জন্মদিন হয়, বিষয়টি তো ভালো লাগে। এতদিন পর ১৮তম জন্মদিন হচ্ছে। নিজেকে এখনও তরুণই মনে হচ্ছে।’
এদিকে জন্মদিন ঘিরে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ‘দ্রোহ দাহ স্বপ্নের নাট্য আয়োজন’ শিরোনামের উৎসব। চলবে ৩ মার্চ পর্যন্ত। উৎসব সাজানো হয়েছে মামুনুর রশীদ রচিত পাঁচটি নাটকের মঞ্চায়ন, সংগীত, নৃত্য, সেমিনার, প্রদর্শনী, গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, সংবর্ধনা ও থিয়েটার আড্ডা দিয়ে।
সেই ধারাবাহিকতায় আজ (২৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় নাট্যশালায় মামুনুর রশীদের রচনা ও নির্দেশনায় আরণ্যক নাট্যদলের নতুন প্রযোজনা ‘ফেসবুক’-এর উদ্বোধনী প্রদর্শনী হবে। ১ মার্চ একই নাটকের দ্বিতীয় প্রদর্শনী হবে।
২ মার্চ জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চায়িত হবে মামুনুর রশীদের রচনা ও ফয়েজ জহিরের নির্দেশনায় বাঙলা থিয়েটারের প্রযোজনা ‘চে’র সাইকেল’। ৩ মার্চ জাতীয় নাট্যশালায় মামুনুর রশীদের রচনা ও নির্দেশনায় ‘সংক্রান্তি’ নাটকের প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপনী হবে।
মামুনুর রশীদ একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের মঞ্চ আন্দোলনের পথিকৃৎ। তার নাট্যকর্মে প্রখর সমাজ সচেতনতা লক্ষণীয়। শ্রেণি-সংগ্রাম তার নাটকের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু। তিনি টিভির জন্যেও অসংখ্য নাটক লিখেছেন এবং অভিনয় করেছেন। বিভিন্ন সামাজিক ইস্যু নিয়ে, শ্রেণি-সংগ্রাম, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা অধিকার আদায়ের নানা আন্দোলন নিয়ে নাটক রচনা ও নাট্য পরিবেশনা বাংলাদেশের নাট্য জগতে মামুনুর রশীদকে একটা আলাদা স্থান করে দিয়েছে।
১৯৬৭ সালে তিনি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে টেলিভিশনের জন্য নাটক লিখতে শুরু করেন, যার বিষয়বস্তু ছিল মূলত পারিবারিক। নাট্যশিল্পের প্রতি তার প্রকৃত ভালোবাসা শুরু হয় টাঙ্গাইলে তার নিজ গ্রামে যাত্রা ও লোকজ সংস্কৃতির সঙ্গে নিবিড় পরিচয়ের সূত্র ধরে। তার যাত্রার অভিনয় অভিজ্ঞতা নাট্য-ভাবনাকে খুবই প্রভাবিত করেছিল।
১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং জড়িত হন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সঙ্গে। মুক্তিযুদ্ধকালীন তিনি তার প্রথম রচিত নাটক ‘পশ্চিমের সিঁড়ি’ কলকাতার রবীন্দ্র-সদনে মঞ্চায়নের চেষ্টা করেন; কিন্তু তার আগেই ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীনতা অর্জন করায় নাটকটি আর তখন মঞ্চায়িত হয়নি।
১৯৭২ সালে কলকাতা থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে তিনি তৈরি করেন তার আরণ্যক নাট্যদল। দলটি নিয়ে এখনও সরব রয়েছেন তিনি।
নাট্যকলায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১২ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন এই কিংবদন্তি।

/এমএম/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী
পুরনো লাইনআপে ফিরছে ‘ব্ল্যাক’!
পুরনো লাইনআপে ফিরছে ‘ব্ল্যাক’!
ফটোগ্রাফারদের ওপর খেপলেন নোরা ফাতেহি!
ফটোগ্রাফারদের ওপর খেপলেন নোরা ফাতেহি!
শিল্পকলায় মঞ্চায়িত হলো আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ‘হি-রোজ’
শিল্পকলায় মঞ্চায়িত হলো আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ‘হি-রোজ’
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…