করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন বলিউড তারকারা। এজন্য সেলফ-আইসোলেশন বেছে নিয়েছেন তারা। ঘরের ভেতর দারুণ উপায়ে নিজেদের ব্যস্ত রাখছেন তারা। অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান, দীপিকা পাড়ুকোন, কঙ্গনা রনৌতসহ অন্যদের সময় কাটছে কীভাবে তা জানা যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
বুকসেলফের সামনে বসে সেলফি তুলেছেন কারিনা। তার পেছনে ফরাসি ভাষার মোটা একটি বই দেখা যাচ্ছে। তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ফ্রেঞ্চ ভালো লাগে… ফ্রাইস।’
এদিকে দীপিকার ভাবনায় স্বাস্থ্যকর খাবার। পরিচিত একজন নারীর সঙ্গে ভিডিওকলের সময় তরমুজের জুসের গ্লাসে চুমুক দেওয়ার ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। ক্যাপশনে লেখা, ‘মৌসুম ১: পর্ব ৩। জুস পান করছি। ফল খাচ্ছি।’
অন্যদিকে কঙ্গনার সময় কাটছে বই পড়ে। এটি হলো সাধগুরুর ‘ডেথ’। এছাড়া ভাইপো পৃথাবির জন্য রান্না করেছেন তিনি। তার বোন রঙ্গোলি চান্ডেল টুইটারে কঙ্গনার ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমার অনেক বন্ধু জানতে চেয়েছে কঙ্গনা কীভাবে সময় কাটায়।’ এরপর বই পড়া ও রান্নার তথ্য উল্লেখ করেন তিনি।
বলিউড তারকাদের বেশিরভাগই থাকেন মুম্বাইয়ে। করোনাভাইরাস মহামারিতে ভারতের এই ব্যস্ত শহর আছে লকডাউনে। তারকারা ঘরে আবদ্ধ থেকে শুয়েবসে দিন কাটাচ্ছেন তা কিন্তু নয়। জানভি কাপুর ছবি এঁকে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘সেলফ আইসোলেশনের ফসল।’
মালাইকা অরোরা রান্নাঘরে ব্যস্ত থাকার ভিডিও পোস্ট করেছেন। প্রিয়জনদের জন্য নিরামিষ রান্না করেছেন তিনি। তার কথায়, ‘পরিবার ও বন্ধুদের জন্য রাঁধতে ভালো লাগে আমার। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে সেই সুযোগ হয় খুব কম। এখন সেলফ আইসোলেশনে ফাঁকা সময় মিলে যাওয়ায় ভাবলাম কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার রান্না করি।’
কারিশমা কাপুর সেলফ আইসোলেশনে বই পড়ে সময় কাটাচ্ছেন। তিনি লিখেছেন, ‘জীবনে ছোট ছোট বিষয়গুলোর দিকে ফিরে তাকানোর সময় এখন। চলমান পরিস্থিতির সদ্ব্যবহারের সময় এখন।’
সোনাক্ষী সিনহা নিজের নাচের ভিডিও শেয়ার করেছেন। সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে ৩২ বছর বয়সী এই তারকা বলেন, ‘নাচলে ভালো লাগে আমার। আসুন ঘরেই ভালোলাগার কিছু খুঁজে একসঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়ি। আতঙ্কিত হয়ে বেশি করে নিত্যপণ্য কিনে অন্যের অসুবিধার কারণ হবেন না। চলুন যথাযথ নির্দেশনা মেনে চলি ও অন্যের মুখে হাসি ফোটাই।’
প্রথমবার ছোলা রান্না করে মাকে খুশি করেছেন ইয়ামি গৌতম। ইনস্টাগ্রামে খাবারের ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘খাবারটির ঐতিহ্য আছে। এটি আমাদের ‘পাহাড়ি ধাম’-এর একটি অংশ এবং বিশেষ দিবসে রান্না করা হয়। এমন পদ্ধতিতে ‘ছোলে’ প্রস্তুতি সাধারণ উপায়ের চেয়ে আলাদা। এর সুঘ্রাণ ও স্বাদ হিমাচল প্রদেশে ফেলে আসা দিনগুলোতে ফিরিয়ে নিয়ে যায় আমাকে। প্রথমবার এটি রান্নার চেষ্টা করায় মা খুব খুশি হয়েছেন।’
