মার্ভেল কমিসের সুপারহিরো থর চরিত্রে হাজির হয়ে বিশ্বজোড়া দ্যুতি ছড়িয়েছেন ক্রিস হেমসওর্থ। তবে ‘থর’, ‘দ্য অ্যাভেঞ্জার্স’, ‘থর: দ্য ডার্ক ওয়ার্ল্ড’, ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এজ অব আলট্রন’ কিংবা ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’ সিনেমা নয়, তার জন্য সবচেয়ে কঠিন ছিল ঢাকার পটভূমিতে তৈরি ‘এক্সট্র্যাকশন’। যা বলছেন খোদ থর নিজেই।
সম্প্রতি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে ছবির কিছু দৃশ্যের ভিডিও পোস্ট করেন ক্রিস। বলেছেন পরিচালক স্যাম হারগ্রেভকে নিয়েও।
সেখানে লেখেন, ‘খুবই জটিল কিছু অ্যাকশন দৃশ্য এতে আছে; যা আমি জীবনেও করিনি। বলা যায়, প্রথমে খুব একটা কঠিন ছিল না, কিন্তু পরিচালক দৃশ্যগুলো যেন আরও কঠিন করে তুলছিলেন। এমনকি ১২ মিনিট লম্বা অ্যাকশনদৃশ্য টানা শুট হয়েছে। ভাবুন! এটি করতে এতটাই ক্লান্তি চলে আসছিল যে, মনে হচ্ছিল এটুকু অংশই একটি পূর্ণ চলচ্চিত্র!’
By far the most complicated action sequence I’ve ever been part of, and if it wasn’t already complex enough, our director decided to shoot it as a “oner” — almost 12 minutes long and it’s about as exhausting to watch as it was to film. Strap in folks! pic.twitter.com/zQZtzm7tRW
— Chris Hemsworth (@chrishemsworth) April 14, 2020
নেটফ্লিক্সের জন্য নির্মিত এ চলচ্চিত্র আগামী ২৪ এপ্রিল মুক্তি পাবে। মুম্বাইয়ের এক গ্যাংস্টারের ছেলেকে অপহরণ করে বাংলাদেশের ঢাকায় আটকে রাখে স্থানীয় আরেক গ্যাংস্টার। সেই ছেলেকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করতে আনা হয় একজন মার্সেনারিকে। তিনিই ক্রিস হেমসওর্থ। চলে একের পর এক জীবন-মরণ অভিযান। হলিউডের এ ছবির গল্পটা এমনই।
২০১৮ সাল থেকেই এটি নিয়ে বেশ হুল্লোড়। কারণটা চলচ্চিত্রটির নাম ও প্রেক্ষাপট যে ছিল ‘ঢাকা’। তবে সর্বশেষ এটি নাম রাখা হয়েছে ‘এক্সট্র্যাকশন’।
সিনেমাটির কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ‘অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার’ ছবির পরিচালক জো রুশো ও অ্যান্থনি রুশো ভ্রাতৃদ্বয়। এর প্রযোজক তারাই। প্রধান ভূমিকায় থাকছেন ক্রিস হেমসওর্থ। এতে আরও অভিনয় করেছেন ডেভিড হারবার, ভারতীয় অভিনেতা রণদীপ হুদা, পঙ্কজ ত্রিপঠি, ইরানি গোলশিফতেহ ফারাহানিসহ অনেকে।
এতে পরামর্শক ও ভাষা কোচ হিসেবে যুক্ত আছেন বাংলাদেশের ওয়াহিদ ইবনে রেজা ও রাফায়েল আহসান।
ছবির ট্রেলার: