করোনার পর লাইট-ক্যামেরা চালু না হলেও আলোচনা-সমালোচনায় মুখর হয়ে আছে চলচ্চিত্রপাড়া। সিনে পর্দার বাইরের একের পর এক ‘আগ্রাসী’ কর্মসূচি আসছে।
গত সপ্তাহে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে ১৮ সংগঠনের বয়কটের পর এবার তিনিসহ সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন শিল্পীদের একাংশ।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৮৪ জন সদস্যদের ভোটাধিকার অন্যায়ভাবে কেড়ে নিয়েছেন জায়েদ ও মিশা—এমন অভিযোগে তাদের পদত্যাগ চেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন ভোটাধিকার হারানো শিল্পীরা।
আজ বেলা সাড়ে ১১টায় বিএফডিসির মূল ফটকের সামনে তারা মানববন্ধনে অংশ নেন। সেখানে স্লোগান দেওয়া হয়, ‘যে নেতা শিল্পীদের সম্মান করেন না, তাকে আমরা চাই না।’
সেখানে উপস্থিত বেশ কয়েকজন শিল্পী কথা বলেন। এরমধ্যে একজন শান আরাফ। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শুধু শাকিব-অমিত প্যানেল আমাকে শিল্পী হিসেবে পদ দেওয়ায় আমার সদস্যপদটি বাতিল করেছেন জায়েদ। এটা পুরোপুরি অন্যায়। ফারুক সাহেব ও রোজিনা ম্যাডাম বলার পরেও জায়েদ খান তাদের কথা শোনেনি। সবসময় স্বেচ্ছাচারীভাবে কাজ করেছেন।’
প্রভাব খাটিয়ে মামলার অভিযোগ তোলেন অসংখ্য সিনেমায় খল চরিত্রে অভিনয় করা জামাল পাটোয়ারি। বলেন, ‘জায়েদ খান শিল্পী সমিতিকে ব্যবহার করছিলেন- এমন কথা আমি বলেছি। আর তাতে আমার সদস্যপদ হারাতে হয়েছে। এছাড়া মিথ্যা মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে আমার নামে মামলা করে। ক্ষমতা প্রয়োগ করে এফডিসির গেটে আমার ঢোকা বন্ধ করে দেয়।’
এর আগে ‘স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড’র দায়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির প্রধান দুই ব্যক্তি মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানকে ‘অবাঞ্ছিত’ বা ‘বয়কট’ করে চলচ্চিত্রের ১৮টি সংগঠন।
বুধবার (১৫ জুলাই) বিএফডিসির জহির রায়হান কালার স্টুডিওতে সংবাদ সম্মেলন করে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতারা। যার নেতৃত্বে ছিল প্রযোজক পরিবেশক সমিতি। এর বিপক্ষে আজ বিকালে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। এরমধ্যেই শিল্পী সমিতির নেতাদের বিরুদ্ধে হলো এই মানববন্ধন।