বাস্তব ঘটনা নিয়ে তৈরি হয়েছে চলচ্চিত্র ‘দ্য আনওয়ান্টেড টুইন’। যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজী নওশাবা আহমেদ।
ছবিটি পরিচালনা করেছেন নানজীবা খান।
দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার আগেই এর শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে এটির প্রচারণামূলক কাজের প্রস্তুতি। ফেসবুকে প্রকাশ পেয়েছে নওশাবার একটি স্থিরচিত্র। মুখ পুড়ে যাওয়া এই ছবিটি দেখে নেটিজেনদের মধ্যে তৈরি হয়েছে আগ্রহ আর বিস্ময়।
জানা যায়, এতে নওশাবা ছাড়াও বেশ কয়েকটি নারী চরিত্র রয়েছে। যেগুলোতে অভিনয় করেছেন তাসনিয়া তানহা, আফসানা মিমি, দীপা খন্দকার, ফারজানা ববি, দিলারা জামান, ওয়াহিদা মল্লিক জলিসহ অনেকে।
এতে বয়সের বেশ কয়েকটি পর্যায়ে দেখা যাবে নওশাবাকে। থাকছেন কিশোরী ও প্রাপ্তবয়স্ক নারীর চরিত্রেও।
১৬ বছর বয়সে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে যমজ বাচ্চার মা হয়ে যাওয়া, পরবর্তী সময়ে বাচ্চা দুটিকে হারিয়ে ফেলা থাকছে গল্পের প্রথম ভাগে। এছাড়া গল্পে দেখা যাবে প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় হঠাৎ পুড়ে যায় নওশাবার মুখমণ্ডল!
সব বাধা পাশ কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত নওশাবা হয়ে ওঠেন একজন সাংবাদিক। খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন তার যমজ সন্তানদের! এতে তার চরিত্রের নাম খুশি।
চলচ্চিত্রটি প্রসঙ্গে নওশাবা বলেন, ‘এটা ফিকশনাল মুভি বলা যাবে না। কিছুটা ডকুবেজড কাজ। যেখানে বাস্তবের কিছু চরিত্রে অভিনয় করেছেন সহশিল্পীরা। যেমন-তাসনিয়া পুলিশ কর্মকর্তা, আফসানা মিমি পরামর্শদাতা, দীপা খন্দকার আইনজীবী ও আমার মা হিসেবে আছেন ওয়াহিদা মল্লিক জলি। পুরো গল্পটাই আমাকে ঘিরে আবর্তিত। বলা যায়, নারীর কিছু স্পর্শকাতর বিষয় এখানে তুলে ধরা হয়েছে।’
কাজটি গত বছর শুরু হয়। আর চলতি বছরের শুরু দিকে শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। মূলত এর মাধ্যমেই দীর্ঘদিন পর শুটিংয়ে ফেরেন নওশাবা।
‘২০১৮ সালের ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার পর আমি কাজে ফেরার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু কেউ-ই আমাকে প্রস্তাব দিচ্ছিলেন না। বাজারে একধরনের কথা চালু হয় যে, কাজ করতে আমার ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে। নানজীবাই প্রথম আমাকে ফোন দেয়। এবং বলে, আমি কাজ করবো কিনা বা আমার ওপর কোনও নিষেধ আছে কিনা! এভাবেই আমার আবার কাজে ফেরা। তাই এই কাজটি আমার জন্য অনেক বড় বিষয়। চেষ্টা করেছি, সেটা মাথায় রেখে কাজটি বের করে আনতে।’ বললেন নওশাবা।
জানান, সোয়া ১ ঘণ্টার এ চলচ্চিত্র মুক্তির জন্য এখন প্রস্তুত। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই এটি সবাই দেখতে পারবেন।