একজন বামপন্থী বিপ্লবীর জীবনের গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে ‘রূপসা নদীর বাঁকে’ চলচ্চিত্রটি। গত মার্চে ছবিটির শুটিং ও সম্পাদনা শেষের খবর জানান নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেল।
মাঝে লকডাউন পেরিয়ে এই নির্মাতা জানালেন নতুন খবর। চলচ্চিত্রটি গোয়াতে অনুষ্ঠিতব্য ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়া-তে আমন্ত্রিত হয়েছে।
১৬-২৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ৫১তম এই উৎসবে ‘রূপসা নদীর বাঁকে’ চলচ্চিত্রটি ওয়ার্ল্ড প্যানারোমা বিভাগে প্রদর্শিত হবে। দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ এই বিভাগে দেখানো হয়ে থাকে।
আন্তর্জাতিক এই উৎসবে পরিচালক তানভীর মোকাম্মেলকেও নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এমনটাই জানান ছবিটির নির্মাণ প্রতিষ্ঠান কিনো-আই ফিল্মস-এর পক্ষ থেকে ওয়াসিউদ্দিন আহমেদ।
বিশেষ এই চলচ্চিত্রে বামপন্থী নেতার বিভিন্ন বয়সের চরিত্রে অভিনয় করেছেন খায়রুল আলম সবুজ, জাহিদ হাসান শোভন ও তওসিফ সাদমান তূর্য। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাজিবা বাশার, রামেন্দু মজুমদার, চিত্রলেখা গুহ, ঝুনা চৌধুরী, আফজাল কবির, রাজীব সালেহীন, মাসুম বাশার, অলোক বসু, আবদুল্লাহ রানা, মহসিন শামীম, বৈশাখী ঘোষ, শরীফ হোসেন ইমন, মাহমুদ আলম, পার্থ প্রতিম, দেবাশীষ ঘোষ, খন্দকার সোহান, পংকজ মজুমদার, ইকবাল আহমেদ, ইব্রাহীম বিদ্যুৎ, মিলি বাশার, শ্যামল বিশ্বাস, সঙ্গীতা চৌধুরী, স্বপন গুহ, সুশীল সাহা, জাহাঙ্গীর হোসেন, আছির উদ্দীন মিলন, মেহেদী আল আমীন, আব্দুস সেলিম, নবকুমার সরকার, শিশুশিল্পী হিয়া, হিমু ও অন্যরা।
তানভীর মোকাম্মেল ছবিটি নির্মাণ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বাংলাদেশে শ্রমজীবী মানুষদের অধিকার, অসাম্প্রদায়িকতা ও গণতন্ত্রের সংগ্রামে এবং সার্বিকভাবে সমাজ প্রগতির লক্ষ্যে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে বামপন্থীদের অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা ও জেল-নির্যাতনের এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। তাছাড়া এ দেশে সুস্থ ও মানবিক ধারায় সংস্কৃতির বিকাশেও বামপন্থীদের অবদান অনেক। কিন্তু তাদের এই ত্যাগ ও অবদানের কথা তেমনভাবে বলা হয় না। সেই ভাবনা থেকে চলচ্চিত্রটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি।’
আরও জানান, দুই ঘণ্টা দৈর্ঘ্যের ‘রূপসা নদীর বাঁকে’ ছবিটিতে তিরিশ দশকের স্বদেশি আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলন, রাজশাহী জেলের খাপড়া ওয়ার্ডে কমিউনিস্টদের হত্যাসহ বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো একজন বিপ্লবীর জীবনের পরিপ্রেক্ষিতে বর্ণিত হবে।
জানা গেছে, ছবিটির বাজেট মাত্র ছিয়ানব্বই লাখ টাকা। এরমধ্যে বাংলাদেশ সরকার পঞ্চাশ লাখ টাকা অনুদান হিসেবে দিয়েছে। বাকি অংশ ক্রাউড-ফান্ডিং বা গণঅর্থায়নের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে।