X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত স্থগিত

বিদেশ ডেস্ক
০৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৫:৩৩আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ২০:৫৬
image

ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত আবারও ৬ মাসের জন্য স্থগিত করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন কর্মকর্তাদের সূত্রে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, আইন মেনে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে রাজধানী স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেননি তিনি। ফলে দ্বিতীয়বারের মতো তিনি বিগত সরকারগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষা করলেন। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান সিদ্ধান্ত স্থগিতের খবরটি নিশ্চিত করেছে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের মিত্রদেশগুলো এ নিয়ে ট্রাম্পকে চাপ দেওয়ার কারণে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইসরায়েলি পতাকা
মার্কিন দূতাবাসকে তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করতে ১৯৯৫ সালেই একটি আইন প্রণয়ন করে মার্কিন কংগ্রেস। তখন থেকে এ পর্যন্ত কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেননি। ওই আইনের বিধান অনুযায়ী, সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নের সামগ্রিক ক্ষমতা মার্কিন প্রেসিডেন্টের। চাইলে তারা জাতীয় নিরাপত্তা ও অন্যান্য জাতীয় স্বার্থের বিবেচনায় প্রতি ৬ মাস পর পর স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। সেই ১৯৯৫ সাল থেকেই প্রত্যেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আইনগত সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন। ফলে তেল আবিবেই থেকে গেছে মার্কিন দূতাবাস। ট্রাম্পও দ্বিতীয়বারের মতো একই সিদ্ধান্ত নিলেন।
গত জুনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল মনে করে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের দূতাবাসগুলো জেরুজালেমেই হওয়া উচিত। তবে সেই 

১৯৯৫ সালের পর থেকে প্রত্যেক প্রেসিডেন্টই দূতাবাস সরানোর প্রক্রিয়া স্থগিতের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন। ২০১৬ সালে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক নিয়ে কাজ করা অন্যতম শক্তিশালী সংগঠন আইপ্যাককে বলেছিলেন, ‘আমরা মার্কিন দূতাবাস ইহুদীদের কাছে নিয়ে যাবো। তাদের রাজধানী জেরুজালেমে নিয়ে যাবো।’ ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি আপনাদের ইসরায়েল নিয়ে আশা দিতে আসিনি। রাজনীতিবিদরা এমনটা করে। শুধু কথা বলে কাজ করে না। আমাকে বিশ্বাস করুন।’ তা সত্ত্বেও দ্বিতীয় দফায় তিনি দূতাবাস স্থাপনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করলেন। 

ট্রাম্পের আগেও প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা জেরুজালেমে দূতাবাস সরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু হোয়াইট হাউসে যাওয়ার পর কেউই এই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেননি। ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে জর্জ ডব্লিউ বুশ আইপ্যাককে বলেছিলেন, দায়িত্ব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলের পছন্দের রাজধানীতে সরিয়ে নেওয়া হবে। পারেননি তিনি। ১৯৯২ সালে প্রার্থী হিসেবে বিল ক্লিনটন বলেন, ‘আমি মনে করি জেরুজালেমেই আমাদের দূতাবাস সরিয়ে নেওয়া উচিত। তবে শান্তি প্রক্রিয়া ব্যহত করে আমাদের কিছু করা ছিক হবে না।’ ক্লিনটনের পক্ষেও দূতাবাস স্থানান্তর সম্ভব হয়নি। 

/এফইউ/বিএ/
সম্পর্কিত
মিসরে চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনা, গাজায় বোমা ফেলছে ইসরায়েল
দ্বিতীয় সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ, আটক ২ সহস্রাধিক
মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা নীতিগত সিদ্ধান্ত, আইনি নয়: কাদের
সর্বশেষ খবর
ব্রাজিলে বৃষ্টিপাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৮, এখনও নিখোঁজ অনেকে
ব্রাজিলে বৃষ্টিপাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৮, এখনও নিখোঁজ অনেকে
হারিয়ে গেছে প্রাণ, নদীর বুকে বুনছে ধান
হারিয়ে গেছে প্রাণ, নদীর বুকে বুনছে ধান
টিভিতে আজকের খেলা (৬ মে, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (৬ মে, ২০২৪)
নারায়ণগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৩
নারায়ণগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৩
সর্বাধিক পঠিত
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?