X
বুধবার, ০১ মে ২০২৪
১৭ বৈশাখ ১৪৩১

সৌদি যুবরাজের সঙ্গে ট্রাম্প জামাতার সম্পর্কের আখ্যান

মিছবাহ পাটওয়ারী
২১ মার্চ ২০১৮, ১১:০২আপডেট : ২১ মার্চ ২০১৮, ১৬:৪০
image

মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতর হোয়াইট হাউসের ব্যাপক আড়ম্বরপূর্ণ ডাইনিং রুম। বছরখানেক আগে সেখানে সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সেখানে দুপুরের খাবার খান ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার। ওই খাবারের টেবিল থেকেই যুবরাজের সঙ্গে কুশনারের বন্ধুত্বের সূচনা। সেদিন সম্ভবত হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রিত অন্য গুরুত্বপূর্ণ অতিথিদের চেয়ে খানিকটা বেশিই সমাদৃত হয়েছিলেন সৌদি যুবরাজ। জ্যারেড কুশনার ও মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) মধ্যে সমিল রয়েছে। দুইজনই বয়সে তরুণ, কুশনার ৩৭ আর মোহাম্মদ ৩২ বছর বয়সী। মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে দুইজনেরই আগ্রহ রয়েছে। ২০ মার্চ মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সৌদি যুবরাজকে স্বাগত জানান ট্রাম্প। এই হাই প্রোফাইল সফরে জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে তার বৈঠকের কর্মসূচি রয়েছে। ইতোপূর্বে উভয়ের মধ্যে আরও বৈঠক হলেও যুক্তরাষ্ট্রে দুজনের এটিই প্রথম কোনও আনুষ্ঠানিক বৈঠক। এরমধ্যেই দুজনের মধ্যকার বন্ধন আরও দৃঢ় হয়েছে।
মোহাম্মদ বিন সালমান ও জ্যারেড কুশনার

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের প্রধান আলোচক কুশনার ও যুবরাজ মোহাম্মদ। ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের অন্যতম কারিগর মনে করা হয় ট্রাম্পের জামাতা ও হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা ইহুদি ধর্মাবলম্বী জ্যারেড কুশনারকে। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণার প্রতিবাদে তুরস্কে ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে বিভিন্ন মুসলিম দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা অংশ নিলেও সৌদি আরবের শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ের কেউ এতে অংশ নেননি। সৌদি সংবাদমাধ্যমগুলোতে জেরুজালেম সংক্রান্ত খবর প্রকাশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। জর্ডানে থাকা সৌদি নাগরিকদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়, ট্রাম্পের  ওই ঘোষণার প্রতিবাদে জর্ডানে আয়োজিত কোনও বিক্ষোভে যেন তারা অংশ না নেন। পূর্ব  জেরুজালেমের বদলে আবু দিস নামের একটি শহরকে রাজধানী হিসেবে বেছে নিতে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনকে চাপ দেওয়ার খবরও বেরিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, রিয়াদ আসলে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে অংশীদার হিসেবেই কাজ করছে।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনায় নিজ নিজ দেশের প্রধান আলোচক হিসেবে জ্যারেড কুশনার ও যুবরাজ মোহাম্মদ উভয়েই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে প্রমাণে আগ্রহী। দুইজনের ব্যক্তিগত যোগাযোগের বিষয়ে অবগত এমন ব্যক্তিরা দ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে জানিয়েছেন, বিশেষ করে গত কয়েক মাসে উভয়ের মধ্যে বহুবার ব্যক্তিগত ফোন কল বিনিময় হয়েছে।

ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম বিদেশ সফরে সৌদি আরব যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৭ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত তার ওই সফরের প্রথম দিনেই দুই দেশের মধ্যে ৩৫ হাজার কোটিরও বেশি ডলারে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সৌদি আরবের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা তুলে দেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুলআজিজ আল সৌদ। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আপত্তি সত্ত্বেও জ্যারেড কুশনারই প্রথম বিদেশ সফরে সৌদি আরবকে বেছে নিতে ট্রাম্পকে উৎসাহিত করেন।

যুক্তরাষ্ট্র সফরের অংশ হিসেবে ১৯ মার্চ সোমবার ওয়াশিংটন পৌঁছান সৌদি যুবরাজ। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক তাকে হোয়াইট হাউসে বরণের কথা রয়েছে। এদিন ট্রাম্পের সঙ্গে যুবরাজের বৈঠকে সৌদি আরবের নানা পরিবর্তনসহ সৌদি জোটের কাতারবিরোধী অবরোধ, ইরান পরিস্থিতি, ইয়েমেন যুদ্ধসহ মধ্যপ্রাচ্যের নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

হোয়াইট হাউসে যুবরাজের অভ্যর্থনার সামগ্রিক বিষয়াদির ব্যাপারে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। নির্ধারিত আনুষ্ঠানিক বৈঠকের বাইরেও উভয় দেশের কর্মকতাদের নিয়ে মোহাম্মদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ডিনারে অংশ নেবেন তিনি।

সৌদি যুবরাজের অভ্যর্থনায় ট্রাম্প জামাতার অপ্রত্যাশিত আচরণে রীতিমতো বিব্রত যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। জ্যারেড কুশনারের এমন আচরণের ব্যাপারে অবগত একাধিক ব্যক্তি দ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে জানিয়েছেন, জটিল সমস্যার মোকাবিলায় ট্রাম্প প্রশাসনের এই উপদেষ্টা সরকারি চ্যানেলের বদলে নিজের ব্যক্তিগত সম্পর্কের ওপর নির্ভর করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কর্মকর্তার আশঙ্কা, প্রেসিডেন্টের জামাতা দুনিয়ার সবচেয়ে অস্থির অঞ্চলটিতে পররাষ্ট্রনৈতিক উপদেশ সরবরাহ করছেন। যুবরাজ মোহাম্মদকে কুশনারের আলিঙ্গনে বিশেষ সতর্কতা রয়েছে। আধুনিকতার জন্য যুবরাজ এখন পশ্চিমা দুনিয়ায় প্রশংসিত হচ্ছেন। কিন্তু একইসঙ্গে সরকারে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ও সমালোচকদের গ্রেফতার নিয়েও সমালোচনা রয়েছে।

জ্যারেড কুশনার অবশ্য এসব বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তার মিত্র ও সহযোগীরা বলছেন, এই ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুবই কার্যকর। তাদের দাবি, কুশনার বিশ্বাস করেন যে তিনি মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা অর্জনে সহায়তা করবেন; শীর্ষস্থানীয় এমন একজন নেতার সঙ্গে মূল্যবান সম্পর্ক তৈরি করেছেন। মহৎ পন্থা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষায় তাদের দুজনের যৌথ স্বার্থ রয়েছে। বিদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশনারের প্রথম যোগাযোগের বিষয়টি দৃশ্যত কিছুটা বেপরোয়া মনে হলেও তিনি এখন আরও বেশি করে তার যোগাযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণ সম্পর্কে অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্রিফ করছেন।

জ্যারেড কুশনারের অ্যাটর্নি অ্যাবে লোয়েলের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পিটার মিরিজানিয়ান। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, কুশনার মধ্যপ্রাচ্য টিম, মেক্সিকো, কারাগার সংস্কার মতো বিষয় নিয়ে কাজ করছেন। এসব বিষয় সম্পর্কে তথ্য ফাঁসের অভাব সাক্ষ্য দেয় যে, তিনি ফলাফলের ওপর নজর রাখেন এবং বিষয়গুলো প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন না। তিনি জানেন, কিভাবে তথ্য রাখা এবং প্রশাসনের সঙ্গে তা ভাগ করে নিতে হয়।

তিনি বলেন, এটা প্রতীয়মান হয় যে যারা এই প্রশাসন ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবছে তারাই মিথ্যা তথ্যের উৎস। জ্যারেড কুশনার সব প্রাসঙ্গিক অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ প্রোটোকল ও পদ্ধতি অনুসরণ করেন।

সৌদি আরবের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, সৌদি বাদশা ও যুবরাজ উভয়ের সঙ্গেই ফোনে ট্রাম্প ও কুশনারের কথা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে ‘দৃঢ় অংশীদারিত্ব’ অব্যাহত রাখতে মার্কিন পররাষ্ট্র ও জাতীয় নিরাপত্তা দফতরের অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূতের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে।

এই কর্মকর্তা বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তি প্রক্রিয়ার তত্ত্বাবধানে কুশনারকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছেন। এটি জ্যারেড কুশনার ও মহামান্য যুবরাজের আলোচনার প্রাথমিক বিষয়।

সৌদি যুবরাজের সফরে কুশনারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার বিষয়টি কয়েক সপ্তাহ আগে হোয়াইট  হাউসের চিফ অব স্টাফ জন কেলি’র এক প্রশ্নে স্পষ্ট হয়ে উঠে। এক গোয়েন্দা ব্রিফিংয়ে তিনি সৌদি যুবরাজের সফর প্রস্তুতি হিসেবে সৌদি আরবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সংবেদনশীল নীতির ব্যাপারে জানতে চান। উত্তরে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাকে জানান, সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তাদের যেসব কথোপকথন হয়েছে তা জ্যারেড কুশনার ও মোহাম্মদ বিন সালমানের বিষয়। সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি দ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে হোয়াইট  হাউসের চিফ অব স্টাফ জন কেলি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ট্রাম্প জামাতার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবগত একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জ্যারেড কুশনার এবং তার কর্মচারীরা প্রায়ই সৌদি যুবরাজ এবং অন্যান্য দেশের ঊর্ধ্বতন নেতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত কথোপকথন ব্যবস্থা করেন। এসব কথোপকথন সবসময় জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা বা কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে করা হয় না।

জ্যারেড কুশনার ও যুবরাজ এমবিএসের মধ্যকার একক যোগাযোগ নিয়ে কিছু সংখ্যক জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তার মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। গতবছর অন্তর্বর্তীকালীন সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ছাড়পত্র পাওয়া কুশনার ওই ছাড়পত্র হারিয়েছেন বলে এরইমধ্যে খবর এসেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে দ্য ওয়াশিংটন পোস্টে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, কুশনারের স্থায়ী নিরাপত্তা ছাড়পত্র পাওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে নির্দিষ্ট কিছু বিদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ গোয়েন্দা প্রতিবেদন ‘প্রেসিডেন্টস ডেইলি ব্রিফ’ পাওয়ার অনুমতি হারান ট্রাম্পের জামাতা কুশনার।

৩৭ বছরের কুশনার হোয়াইট হাউসের সিনিয়র উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্যের ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতর আরও কঠোর হলে এর ধাক্কায় ‘প্রেসিডেন্টস ডেইলি ব্রিফ’ পাওয়ার অনুমতি হারান কুশনার। হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা এবং এ বিষয়ে অবগত অন্য একটি সূত্র তখন দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করে। তবে কুশনারের আইনজীবী আবে লোয়েল এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে দেরি হচ্ছে। তবে কুশনারের ব্যাপারে হোয়াইট হাউসে কোনও উদ্বেগ উত্থাপিত হয়নি।

নিরাপত্তা ছাড়পত্র নিয়ে জ্যারেড কুশনারের ব্যাপারে তদন্ত এখনও পর্যন্ত মুলতবি রয়েছে। এরমধ্যেই হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ জন কেলি কর্তৃক সরকারি গোপন সংবেদনশীল তথ্যে প্রবেশাধিকার থেকে ছিটকে পড়লেন কুশনার।

বরখাস্ত হওয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচ আর ম্যাকমাস্টার-ও ইতোপূর্বে জ্যারেড কুশনার কর্তৃক মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি অন্যত্র সরবরাহের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। কিছু ক্ষেত্রে কুশনারের ফোন কলের কোনও অফিসিয়াল রেকর্ড না থাকার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন ম্যাকমাস্টার। তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের অসন্তোষের মাত্রা ছিল আরও বেশি। একবার তিনি মন্তব্য করেন, ‘এখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কে?’ এ ব্যাপারে যোগাযোগ করেও মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ম্যাকমাস্টার এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি জ্যারেড কুশনারের অবদানকে মূল্যায়ন করেন।

২০১৭ সালের ৪ নভেম্বর থেকে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের নামে সৌদি যুবরাজের নির্দেশে দেশটির রাজপরিবারের অনেক সদস্যকে আটক করা হয়। এর মধ্যে রাজপরিবারের নারী সদস্যও ছিলেন। ওই ধরপাকড়ের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।

সৌদি যুবরাজের ওই ধরপাকড়ের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ছিলেন দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মিত্র ধনকুবের বিনিয়োগকারী প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন তালাল। নির্বাচনি প্রচারণা মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধের প্রস্তাব করায় ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘কলঙ্ক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন প্রিন্স তালাল। ওই ধরপাকড়ের ঘটনায় ট্রাম্প মন্তব্য করেন, 'সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান ও যুবরাজের ওপর আমার ব্যাপক আস্থা রয়েছে। তারা যা করছেন তা যথার্থভাবেই বুঝেশুনে করছেন। যাদের প্রতি তারা এখন কঠোর হয়েছেন ওই লোকগুলো বছরের পর বছর ধরে তাদের দেশকে চুষে খাচ্ছে।'

এ বছরের জানুয়ারিতে মার্কিন সাংবাদিক মাইকেল উলফের বইয়ের বরাত দিয়ে বিবিসি’র খবরে বলা হয়, মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি যুবরাজ হওয়ার পর ট্রাম্প এর কৃতিত্ব দাবি করেছিলেন। বন্ধুদের ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি এবং তার জামাতা জ্যারেড কুশনার সৌদি আরবে একটি 'অভ্যুত্থানের পেছনে' কলকাঠি নেড়েছেন। ট্রাম্পের ভাষায়, ‘আমরা আমাদের একজন লোককে শীর্ষ পদে বসিয়েছি।’ সূত্র: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট, আল জাজিরা, বিবিসি।

/বিএ/

/বিএ/
সম্পর্কিত
আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে ট্রাম্পকে ৯ হাজার ডলার জরিমানা
যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকার কতটুকু আছে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
চুক্তি হোক বা না হোক রাফাহতে ইসরায়েলি অভিযান চলবে: নেতানিয়াহু
সর্বশেষ খবর
মন্ত্রী-এমপি’র আত্মীয়দের নিয়ে আ.লীগ কী ‘ইউটার্ন’ নিচ্ছে!
উপজেলা নির্বাচনমন্ত্রী-এমপি’র আত্মীয়দের নিয়ে আ.লীগ কী ‘ইউটার্ন’ নিচ্ছে!
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’
বরগুনায় দুই সাংবাদিকসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা
বরগুনায় দুই সাংবাদিকসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা
ভিনিসিয়ুসের জোড়ায় প্রথম লেগে বায়ার্নকে জিততে দেয়নি রিয়াল
চ্যাম্পিয়নস লিগ, সেমিফাইনালভিনিসিয়ুসের জোড়ায় প্রথম লেগে বায়ার্নকে জিততে দেয়নি রিয়াল
সর্বাধিক পঠিত
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
সিস্টেম লস কমাতে সার্বক্ষণিক ম্যাজিস্ট্রেট চায় পেট্রোবাংলা
সিস্টেম লস কমাতে সার্বক্ষণিক ম্যাজিস্ট্রেট চায় পেট্রোবাংলা
এক ফ্রেমে এত ‘সুন্দরী’, স্মৃতিকাতর সকলেই!
এক ফ্রেমে এত ‘সুন্দরী’, স্মৃতিকাতর সকলেই!
সাতক্ষীরার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড 
সাতক্ষীরার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড 
আজকের আবহাওয়া: তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার আভাস