X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১
কাশ্মীরে আসিফা হত্যা

সিবিআই তদন্ত চেয়ে গ্রেফতার দুই পুলিশের আইনজীবীর হাইকোর্টে আবেদন

বিদেশ ডেস্ক
২৪ এপ্রিল ২০১৮, ১৯:৫২আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০১৮, ১৯:৫৬

হাইকোর্টে আবেদন করেছেন ভারত শাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়ায় ৮ বছরের শিশু আসিফা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগে গ্রেফতার দুই পুলিশ সদস্য। সোমবার তাদের আইনজীবী ভিনু গুপ্তের করা আবেদনে বলা হয়েছে, আসিফা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ময়না তদন্ত প্রতিবেদন ও ফরেনসিক প্রতিবেদনের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। আর অপরাধ বিভাগের তদন্ত ‘সঠিক নয়’। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের পাশাপাশি রাজ্য অপরাধ বিভাগের তদন্ত স্থগিত করার আবেদন করা হয়েছে।

সিবিআই তদন্ত চেয়ে গ্রেফতার দুই পুলিশের আইনজীবীর হাইকোর্টে আবেদন

কাঠুয়ায় শিশু আসিফাকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগে রাজ্য পুলিশের উপপরিদর্শক আনন্দ দত্ত ও বিশেষ পুলিশ অফিসার দীপক খাজুরিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।  

হাইকোর্টে পিটিশনকারী অপরাধ শাখার তদন্ত স্থগিত করার যুক্তি হিসেবে বলেছেন, স্থানীয় পুলিশের কাছ থেকে তিন ধাপে এটা অপরাধ শাখায় যায়। সবশেষে তা বিশেষ তদন্ত দলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এতে বলা হয়, এটা বিস্ময়কর যে বিশেষ তদন্ত দলে এমন কর্মকর্তাকে রাখা হয়েছে যিনি কয়েক বছর আগে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। এমনকি কর্মকর্তা হওয়ার পরও তিনি তিন বছর পলাতক ছিলেন। পরবর্তীতে প্রমাণ না থাকায় তাকে বিচারে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। স্পর্শকাতর হওয়ার পরও তদন্ত দলে ওই কর্মকর্তাকে রাখা হয়েছে।

আবেদনে বলা হয়, আসিফা হত্যা মামলার ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক প্রতিবেদনে ব্যাপক গড়মিল রয়েছে। তাই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত। শিশুটিকে ‘মন্দির’ এর মধ্যে আটকে রাখা হয়েছিল বলে অপরাধ শাখার তথ্যের ব্যাপারে আপত্তি তুলে পিটিশনে বলা হয়, বিশেষ তদন্ত দল বানোয়াট প্রমাণ হাজির করেছে।

ভিনু গুপ্ত ওই প্রতিবেদনে অভিযোগ করেন, এই তদন্তের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সরকারি জমি উপজাতীয় লোকজনের দখল করার পথকে সহজ করা।

উল্লেখ্য, কাঠুয়া অঞ্চলের যাযাবর মুসলিম বাকারওয়াল গোষ্ঠীর মেয়ে ছিল ৮ বছরের ছোট্ট আসিফা। কাঠুয়ার উপত্যকায় ঘোড়া চরানোর সময় অপহরণ করা হয় তাকে। আদালতে দায়ের করা মামলার বিবরণ অনুযায়ী, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা সানজি রাম তার ভাগ্নে ও একজন পুলিশ সদস্যকে আশফিয়া নামের ওই শিশুকে অপহরণের নির্দেশ দেয়। নির্দেশ বাস্তবায়নের পর মন্দিরে আটকে রেখে তিন দিন ধরে একদল হিন্দু পুরুষ ধর্ষণ করে আসিফাকে। পরে মাথায় পাথর মেরে ও গলা টিপে হত্যা করা হয় তাকে। অভিযুক্তদের পক্ষে দাঁড়ান ক্ষমতাসীন বিজেপির স্থানীয় নেতা ও মন্ত্রীরা।

/আরএ/
সম্পর্কিত
পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো ভারত
নিজ্জার হত্যার অভিযোগে কানাডায় তিন ভারতীয় গ্রেফতার
‘বাংলাদেশ ও ভারত একই লক্ষ্যে এগোচ্ছে’
সর্বশেষ খবর
ঢাকা-রাজবাড়ী রুটে দুই কমিউটার ট্রেনের উদ্বোধন
ঢাকা-রাজবাড়ী রুটে দুই কমিউটার ট্রেনের উদ্বোধন
মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ডিবি
মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ডিবি
পদ্মশ্রী পাওয়া শিল্পী এখন দিনমজুর!
পদ্মশ্রী পাওয়া শিল্পী এখন দিনমজুর!
সিলেটে এয়ার অ্যাস্ট্রার বিজনেস পার্টনার মিট
সিলেটে এয়ার অ্যাস্ট্রার বিজনেস পার্টনার মিট
সর্বাধিক পঠিত
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে
মুক্তির পর থেকেই মামুনুল হককে ঘিরে অনুসারীদের ভিড়
মুক্তির পর থেকেই মামুনুল হককে ঘিরে অনুসারীদের ভিড়
বিসিএসে সফলতায় এগিয়ে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা
বিসিএসে সফলতায় এগিয়ে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা