X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমারের বিচারে আরও একধাপ এগোচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত

বিদেশ ডেস্ক
২৭ জুন ২০১৯, ০৮:৫৬আপডেট : ২৭ জুন ২০১৯, ১৯:৫২

রোহিঙ্গা সংকটে পূর্ণ তদন্ত শুরু করতে আরও একধাপ এগিয়ে গেলো আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। বুধবার সংস্থাটির প্রসিকিউটররা জানান, মিয়ানমারে সহিংসতা থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন নিয়ে তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছেন তারা। এই তদন্ত শুরু হলে এটাই হবে  রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রথম আন্তর্জাতিক তদন্ত।

মিয়ানমারের বিচারে আরও একধাপ এগোচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত

মিয়ানমার সেই মুষ্টিমেয় দেশগুলোর একটি, যারা আইসিসি সনদে স্বাক্ষর করেনি। তাই সরাসরি মিয়ানমারের বিচারের এখতিয়ার আইসিসির নেই। এই অবস্থানে দাঁড়িয়ে শুরু থেকেই তারা আইসিসির বিচারিক এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছে। তবে আইসিসি মনে করছে, মিয়ানমার এই আদালতের সদস্য না হলেও বাংলাদেশ অন্যতম সদস্য দেশ। তাই এ ঘটনার বিচার করার এখতিয়ার আদালতের রয়েছে। কারণ আন্তঃসীমান্ত অনুপ্রবেশের ধরনের জন্যই এই বিচার সম্ভব। এক প্রসিকিউটরের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৬ সেপ্টেম্বর নেদারল্যান্ডসের হেগে সংস্থাটির তিনজন বিচারক বিশিষ্ট প্রি-ট্রায়াল কোর্ট বিচারের পক্ষে রায় দেন। আদালত বলেছে, মিয়ানমার এই আদালতের সদস্য না হলেও বাংলাদেশ অন্যতম সদস্য দেশ। তাই এ ঘটনার বিচার করার এখতিয়ার আদালতের রয়েছে। কারণ আন্তঃসীমান্ত অনুপ্রবেশের ধরনের জন্যই এই বিচার সম্ভব।

২০১৮ সালে একটি প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে আইসিসি।   প্রসিকিউটর জানান, তিনি পূর্ণ তদন্ত কমিটি খোলার জন্য আবেদন করবেন। প্রসিকিউটর ফাতু বেনসুদা এক বিবৃতিতে বলেন, তিনি আইসিসির সদস্য দেশ বাংলাদেশে তদন্তের ‘অন্তত একটি আলামত’ নিয়ে তদন্তের জন্য বিচারকদের কাছে অনুমতি চাইবেন। তিনি বলেন, এই তদন্তের আওতায় যেখানে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সেই স্থান অর্থাৎ মিয়ানমারের রাখাইনও থাকবে।

পৃথক এক বিবৃতিতে আইসিসি জানায়, তারা ইতোমধ্যে তিনজনের বিচারক প্যানেল তৈরি করেছেন। এই তদন্ত শুরু হলে আইসিসিই হবে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রথম আন্তর্জাতিক তদন্ত।

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৭ লাখেরও বেশি মানুষ। জাতিগত নিধনের ভয়াবহ বাস্তবতায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বড় অংশটি বাংলাদেশে পালিয়ে এলেও জাতিসংঘের হিসাবে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ এখনও সেখানে থেকে গেছে। জাতিসংঘ এই সামরিক অভিযানকে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ বলে আখ্যা দেয়।

/এমএইচ/
সম্পর্কিত
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
চীনের দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক ধসে নিহত ৩৬
লাইয়ের অভিষেক পরবর্তী চীনা সামরিক মহড়া নিয়ে সতর্ক অবস্থানে তাইওয়ান
সর্বশেষ খবর
বজ্রাঘাতে প্রাণ গেলো ১০ জনের
বজ্রাঘাতে প্রাণ গেলো ১০ জনের
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
বাবাকে খাবার পৌঁছে দিতে গিয়ে নিখোঁজ শিশুর লাশ মিললো নদীতে
বাবাকে খাবার পৌঁছে দিতে গিয়ে নিখোঁজ শিশুর লাশ মিললো নদীতে
বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম