X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন অভিযোগ গঠন

বিদেশ ডেস্ক
১৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:১৯আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:৩১
image

ক্ষমতার অপব্যহারের অভিযোগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অভিশংসনের অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। দীর্ঘ প্রকাশ্য শুনানির পরে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্য বলে ঘোষণা দিয়েছে হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের সদস্যরা। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) প্রতিনিধি পরিষদের হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটিতে অভিশংসন অভিযোগেরও ওপর ভোটগ্রহণ করা হয়। এতে ২৩-১৭ ভোটে প্রস্তবটি পাস হয়। এর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে আগামী সপ্তাহে প্রতিনিধি পরিষদে ভোট হবে। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন অভিযোগ গঠন

 

সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রাম্পের ওই ফোনালাপ ফাঁস হলে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে ঝড় উঠে। ফাঁস হওয়া ফোনালাপে দেখা যায়, সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে রীতিমতো চাপ দিচ্ছেন ট্রাম্প। ওই ফোনালাপের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থার একজন সদস্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করার পর ট্রাম্পের অভিশংসনের দাবি সামনে আসে। তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে তদন্ত শুরু করে ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ। তদন্তের শুনানিতে অংশ নিতে ট্রাম্পকে ডেকে পাঠায় পরিষদের গোয়েন্দা কমিটি। তবে তাতে সাড়া দেননি তিনি। ওই তদন্তকে ন্যাক্কারজনক হিসেবে আখ্যায়িত করে ট্রাম্পের দাবি, তাকে অভিশংসনের ক্ষমতা বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ আগামী সপ্তাহের প্রথম ভাগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন বা ইম্পিচম্যান্ট আনুষ্ঠানিকভাবে দায়ের করবে। এর আগে প্রতিনিধি পরিষদে বিচার বিভাগীয় কমিটিতে ট্রাম্পের অভিশংসনের পক্ষে ভোট হয়।
প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসনের পক্ষে ভোট পড়লে তা রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেটে ভোটাভুটির জন্য যাবে। তবে রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেটে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা কিংবা ক্ষমতা থেকে অপসারিত করার সম্ভাবনা নেই বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ অর্থাৎ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে বর্তমানে ট্রাম্পের বিরোধীরা সংখ্যাগুরু। ফলে অধিকাংশ ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবের স্বপক্ষে ভোট দিলে পরের পর্যায়ে তদন্ত অনুষ্ঠিত হবে সিনেটে। প্রেসিডেন্টকে পদ থেকে অপসারণের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সিনেটরের সম্মতি প্রয়োজন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনও প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করার উদ্যোগ এই প্রথম নয়। বিল ক্লিনটন সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট যাকে এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। সেটা ১৯৯৮ সালের ঘটনা। অ্যান্ড্রু জনসন প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট যার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিম্নকক্ষ অর্থাৎ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ। সেটা ১৮৬৮ সালের ঘটনা। তবে তাদের কাউকেই সিনেট দোষী সাব্যস্ত করেনি।

/এইচকে/
সম্পর্কিত
ডব্লিউএইচও এর সম্মেলনে যোগদানের বিষয়ে যা বললো তাইওয়ান
রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারী আটক
সর্বশেষ খবর
ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি পেছালো
অর্থ আত্মসাতের মামলাড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি পেছালো
তিন ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হলো রাজবাড়ীর ট্রেন চলাচল
তিন ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হলো রাজবাড়ীর ট্রেন চলাচল
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
ডব্লিউএইচও এর সম্মেলনে যোগদানের বিষয়ে যা বললো তাইওয়ান
ডব্লিউএইচও এর সম্মেলনে যোগদানের বিষয়ে যা বললো তাইওয়ান
সর্বাধিক পঠিত
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
সিয়াম-পরীর গানের ভিউ ১০০ মিলিয়ন!
সিয়াম-পরীর গানের ভিউ ১০০ মিলিয়ন!