X
সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
১০ চৈত্র ১৪৩১

প্লাস্টিক দূষণ রোধে জাতিসংঘের বৈঠক, ঐকমত্যে পৌঁছায়নি দেশগুলো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৮আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫

বৈশ্বিক প্লাস্টিক দূষণ রোধে এবারও কোনও সমাধান হলো না। ১০০টিরও বেশি দেশ প্লাস্টিক উৎপাদনে সীমা আরোপের পক্ষে থাকলেও তেল উৎপাদনকারী কিছু দেশ কেবল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দিকেই স্থির থাকতে চেয়েছে। ফলে চুক্তি নিয়ে আলোচনায় সোমবার (২ ডিসেম্বর) কোনও চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

আলোচনার সভাপতি লুইস ভায়াস ভালদিভিয়েসো অবশ্য এখনও আশাবাদী। তিনি বলেছেন, আমরা অনেক ক্ষেত্রেই সফল হয়েছি। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে এখনও মতৈক্য প্রয়োজন।

জাতিসংঘের পঞ্চম আন্তঃসরকারি আলোচনাকারী কমিটির বৈঠকটি দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশগুলো কেবল গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত স্থগিত করতে ও আলোচনার জন্য পরে আবার সমবেত হতে সম্মত হয়েছে।

আলোচনায় চুক্তির মূল কাঠামো নিয়ে দেশগুলোর মতপার্থক্য ছিল। সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল প্লাস্টিক উৎপাদনে সীমা আরোপ, প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবস্থাপনা ও সংশ্লিষ্ট বিপজ্জনক রাসায়নিক নিয়ে আলোচনা। তাছাড়া, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য চুক্তি বাস্তবায়নে অর্থায়নের বিষয়টি নিয়েও তারা একমত হতে পারেনি।

সৌদি আরবসহ কিছু তেল উৎপাদনকারী দেশ প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো প্রচেষ্টার বিরোধিতা করেছে। তবুও, গ্রীনপিসের প্লাস্টিক ক্যাম্পেইনের নেতা গ্রাহাম ফোর্বস বলেন, এই বৈঠক সম্পূর্ণ বৃথা যায়নি।

তিনি বলেছেন, বিলিয়ন মানুষের প্রতিনিধিত্ব করা ১০০টিরও বেশি দেশ এমন একটি চুক্তির জন্য এগিয়ে এসেছে যা প্লাস্টিক উৎপাদন কমাবে, মানবস্বাস্থ্য রক্ষা করবে ও প্লাস্টিক দূষণ সংকট সমাধানে প্রয়োজনীয় রূপান্তরের জন্য অর্থায়ন নিশ্চিত করবে। আমি মনে করি, তাদের একছাতার নিচে আনতে পারাটাও এটি একটা ইতিবাচক দিক।

বৈশ্বিক প্লাস্টিক উৎপাদন হ্রাসের একটি দিকনির্দেশনা পাওয়া গেছে পানামার প্রস্তাবে। এটি ১০০টিরও বেশি দেশের সমর্থন পেয়েছে।  অন্যদিকে, আরেকটি প্রস্তাব ছিল যেখানে উৎপাদন সীমা অন্তর্ভুক্ত ছিল না।

বৈঠকের সভাপতির পক্ষ থেকে রবিবার প্রকাশিত একটি সংশোধিত নথিতে এই বিভাজন স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে। তবে, এই নথি ভবিষ্যতে একটি চুক্তির ভিত্তি হিসেবে কাজ করতে পারে।

/এসকে/
সম্পর্কিত
ইরানের সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র
কানাডায় আগাম নির্বাচনের ঘোষণা, ভোট ২৮ এপ্রিল
গাজায় নতুন করে যুদ্ধ শুরুর দায় হামাসের: মার্কিন দূত
সর্বশেষ খবর
জালিয়াত চক্রের সদস্য মাদ্রাসা শিক্ষকের সনদও জাল
জালিয়াত চক্রের সদস্য মাদ্রাসা শিক্ষকের সনদও জাল
আ.লীগ নেতার মেয়েকে অপহরণ করতে গিয়ে ধাওয়ার মুখে পালালেন বিএনপি নেতার ছেলে
আ.লীগ নেতার মেয়েকে অপহরণ করতে গিয়ে ধাওয়ার মুখে পালালেন বিএনপি নেতার ছেলে
ইরানের সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র
সেনাবাহিনী সম্পর্কে এমন বক্তব্য দেওয়া ঠিক হবে না: জোনায়েদ সাকি
সেনাবাহিনী সম্পর্কে এমন বক্তব্য দেওয়া ঠিক হবে না: জোনায়েদ সাকি
সর্বাধিক পঠিত
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সিলেটের আহ্বায়ক গ্রেফতার
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সিলেটের আহ্বায়ক গ্রেফতার
দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
ব্যাংক বন্ধ হলে আমানতকারী ফেরত পাবেন সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা
ব্যাংক বন্ধ হলে আমানতকারী ফেরত পাবেন সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা
কুড়িগ্রাম থেকে সাঁতরে চাঁদপুর, লক্ষ্য বঙ্গোপসাগর ছোঁয়া
কুড়িগ্রাম থেকে সাঁতরে চাঁদপুর, লক্ষ্য বঙ্গোপসাগর ছোঁয়া
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সেই মালেকের ১৩ বছরের কারাদণ্ড
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সেই মালেকের ১৩ বছরের কারাদণ্ড