তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিক পিপলস পার্টির (সিএইচপি) আরও তিন মেয়রকে শনিবার (৫ জুলাই) গ্রেফতার করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ইস্তানবুলের প্রধান কৌঁসুলির দফতর এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
প্রধান কৌঁসুলির দফতর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির অভিযোগে দক্ষিণাঞ্চলীয় দুই শহর আদানা ও আদিয়ামানের মেয়রকে আটক করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে আরও আটজনকে হেফাজতে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রভাবশালী টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি জানিয়েছে, আনতালিয়া শহরের মেয়র এবং ইস্তানবুলের বুইউকচেকমেজে জেলার ডেপুটি মেয়রকেও আইনের আওতায় নেওয়া হয়েছে। গত বছরের অক্টোবর শুরু হওয়া এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ১১ জন মেয়রসহ শত শত সিএইচপি নেতাকর্মী সরকারের রোষের শিকার হয়েছেন।
ইস্তানবুল থেকে শুরু হওয়া এক মাসের বেশি সময় ধরে চলমান বিচারিক দমন প্রক্রিয়ার সর্বশেষ শিকার হলেন ওই তিন মেয়র।
সব অভিযোগ অস্বীকার করে চলমান তদন্ত ও গ্রেফতার প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করে আসছে সিএইচপি। যদিও ক্ষমতাসীনরা অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, তদন্ত আইন অনুযায়ীই চলছে।
চলতি বছরের মার্চে ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা শুরুর আগেই গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়, যদিও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। তার গ্রেফতারের পর তুরস্কজুড়ে গত এক দশকের সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে এবং তুর্কি অর্থনীতিতেও বড় ধাক্কা লাগে।
উল্লেখ্য, তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের অন্যতম রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন এই ইমামোগলু।