ক্লান্তির কারণে চলমান মামলায় হাজিরার সময় কমিয়ে আনতে আদালতের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন মিয়ানমারের গৃহবন্দি নেত্রী অং সান সু চি। ঘন ঘন আদালতে হাজিরা দেওয়া ৭৫ বছর বয়সী সু চি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তার প্রধান আইনজীবী খিন মউং ঝাও।
সোমবার আইনজীবী ঝাও বলেন আটক সু চি’র মামলার শুনানি প্রতি সপ্তাহে নয়, দুই সপ্তাহ পর পর শুনানির অনুরোধ জানিয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বার্তা সংস্থা রয়র্টাস জানতে চাইলে ঝাও বলেন, ‘একাধিক মামলায় নিয়মিত হাজিরা দিতে থাকায় তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। তবে তিনি অসুস্থ নন। এই বয়সে প্রতিদিন শুনানির জন্য বসে থাকা সু চির জন্য বেশ অসুবিধা’। তবে এ নিয়ে মিয়ানমারের জনগণের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই বলে মনে করেন তিনি।
গৃহবন্দি সু চির বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির বিচারকাজ শুরু করেছে জান্তা সরকার। বিচারকাজে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রত্যেকটির জন্য ১৫ বছরের সাজা হতে পারে তার। সামরিক সরকার সু চিকে দশকের পর দশক বন্দি রাখার ব্যবস্থা করছে বলে অভিযোগ করেন আইনজীবী।
গত বছরের নির্বাচনে করোনার বিধিনিষেধ লঙ্ঘন এবং অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাও চলছে তার বিরুদ্ধে।
গত ফেব্রুয়ারিতে সু চির গণতান্ত্রিক সরকারকে জোরপূর্বক সরিয়ে ক্ষমতায় বসে জান্তা সরকার। এরপরই তাকে গৃহবন্দি করা হয়। তখন থেকেই জান্তার বিরুদ্ধে রাজপথে প্রবল আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির নানা পেশার মানুষ। চলমান বিক্ষোভে সামরিক বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন ১ হাজারের বেশি। গ্রেফতারের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৮ হাজার।