X
রবিবার, ১১ মে ২০২৫
২৮ বৈশাখ ১৪৩২

মিয়ানমারের সাগাইংয়ে সেনাবাহিনীর তাণ্ডব, বাস্তচ্যুত হাজারো মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৯ জুলাই ২০২২, ১১:৫৩আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২২, ১২:১৪

মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মাত্রা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।  বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সালিঙ্গি শহরে নতুন করে জান্তা অভিযানের পর আতঙ্কে পালিয়ে গেছে এক হাজারের বেশি মানুষ।

মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর খবরে বলা হয়েছে, ইয়ে খার এবং শ্বে হতাউক গ্রামের বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে প্রায় ১৫০ জন সেনা সদস্য। সালিঙ্গির এক বাসিন্দা বলেন, ‘গত মাসে জান্তা বাহিনী এখানে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছিল। যারা প্রাণ নিয়ে পালাতে পেরেছিলেন তারা ক'দিন আগেই ফিরেছেন। এরমধ্যে আবারও হামলা চালালো সেনারা’।

খবরে বলা হয়েছে, ইয়ে খার এবং শ্বে হতাউকে সব মিলিয়ে আড়াই শতাধিক ঘর আছে। সেনা সদস্যদের লাগানো আগুনে কতগুলো ঘরে পুড়ে গেছে, তাৎক্ষণিকভাবে বের করতে পারেনি গ্রামবাসী। সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের জন্য দ্রুত খাদ্য সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন অনেকে।

গত জুনেও সালিঙ্গির গ্রামে সামরিক অভিযানে কয়েক হাজার বেসামরিক লোক নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। যাদের অনেকে এখনও নিজ বাড়িতে ফিরতে পারেনি।

সালিঙ্গিকে মিয়ানমারের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের শক্ত ঘাঁটি বলে ধারণা করা হচ্ছে। সু চি’র সরকার ক্ষমতাচ্যুতের পর থেকেই দেশটির সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ছোট বড় বিভিন্ন গোষ্ঠী। সাবেক সেনা, পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠন হওয়া এসব গোষ্ঠীগুলো প্রায় সময় সেনা বহরে হামলা চালিয়ে আসছে।

মিয়ানমারের সাগাইংয়ে সেনাবাহিনীর তাণ্ডব, বাস্তচ্যুত হাজারো মানুষ

জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর সাগাইং অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি মানুষ বাস্তচ্যুত হয়েছেন। অভ্যুত্থানের আগে মিয়ানমারে অনেক বাস্তুচ্যুত জনসংখ্যা ছিল এবং জাতিসংঘের সংস্থা ধারণা করছে দেশটির ১২ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

সু চি’র সরকার পতনের আগে ২০১৭ সালে রাখাইনে সামরিক বাহিনীর দমন-পীড়নে সাড়ে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। সব মিলিয়ে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজার, উখিয়াসহ সীমান্তবর্তী এলাকায় শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করছে।

সূত্র: ইরাবতী

/এলকে/
সম্পর্কিত
অপারেশন সিঁদুরপাকিস্তানে শতাধিক জঙ্গি হত্যার দাবি ভারতের, রাফাল নিয়ে নীরব
কাশ্মীর বিরোধ সমাধানে কাজ করতে চান ট্রাম্প
প্রথম বিদেশ সফরে মধ্যপ্রাচ্য যাচ্ছেন ট্রাম্প
সর্বশেষ খবর
আমিরাতে সিঙ্গাপুরের গ্র্যান্ডমাস্টারের সঙ্গে তাহসিনের ড্র
আমিরাতে সিঙ্গাপুরের গ্র্যান্ডমাস্টারের সঙ্গে তাহসিনের ড্র
ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
কিশোরগঞ্জে বজ্রাঘাতে তিন কৃষকের মৃত্যু
কিশোরগঞ্জে বজ্রাঘাতে তিন কৃষকের মৃত্যু
ছাত্রলীগের আরেক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেফতার
ছাত্রলীগের আরেক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেফতার
সর্বাধিক পঠিত
আওয়ামী লীগ কচু পাতার পানি না: কাদের সিদ্দিকী
আওয়ামী লীগ কচু পাতার পানি না: কাদের সিদ্দিকী
ব্যাংকে টাকা আসছে নাকি বের হয়ে যাচ্ছে
ব্যাংকে টাকা আসছে নাকি বের হয়ে যাচ্ছে
যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
বেসরকারি ব্যাংক সরকারি মালিকানায় নেওয়া যাবে, অধ্যাদেশ জারি
বেসরকারি ব্যাংক সরকারি মালিকানায় নেওয়া যাবে, অধ্যাদেশ জারি
মহাসড়কের পাশে দুই যুবকের লাশ, একজনের গলাকাটা অপরজনের চোখ উপড়ানো
মহাসড়কের পাশে দুই যুবকের লাশ, একজনের গলাকাটা অপরজনের চোখ উপড়ানো