স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়া পাকিস্তানে ব্যাপকভাবে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আসায় সোমবার দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলোয় ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে জরুরি বিভাগের কর্মীরা। দেশটির সরকারের সবশেষ তথ্যমতে, বন্যায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬১ জন মৃত্যু হয়েছে।
গত জুন থেকে বৃষ্টিপাতে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান ও সিন্ধুসহ কয়েকটি প্রদেশ বন্যায় ভাসছে। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ভূমিধস ঘটছে। নদীর তীব্র স্রোতে ভেসে গেছে বহু ঘর-বাড়ি ও সেতু।
কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৩৩ লাখের বেশি নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত। পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শেরি রেহমান, একে দানব বর্ষা অবিহিত করেন।
একে ২০১০ সালের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। সে বছর বন্যায় ২ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। পাকিস্তানের এক পঞ্চমাংশ পানির নিচে ডুবে ছিল।
খলিল আহমেদ এএফপিকে বলেন, আমাদের উন্নত জাতের ৫ হাজার হেক্টর জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে, সব শেষ।
সিন্ধু প্রদেশের বেশির ভাগ জমি প্লাবিত। সেখানে বেশ ঝুঁকি নিয়ে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী। এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, বেশির ভাগ জায়গা পানিতে ডুবে থাকায় পাইলটরা অবতরণের জায়গা পাচ্ছে না। তাতেও উদ্ধার তৎপরতা থেমে নেই।
এদিকে ইসলামাবাদের আহ্বান সাড়া দিয়ে রবিবার (২৮আগস্ট) পাকিস্তানে প্রথম ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
সূত্র: এএফপি